স্বাস্থ্যই সম্পদ, আর ভালো স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ফিটনেস রুটিন মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি । আধুনিক জীবনের চাপে এবং দৈনন্দিন কাজের ব্যস্ততায় শরীরচর্চার জন্য আলাদা সময় বের করা কঠিন মনে হলেও, এটি আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত । ফিটনেস রুটিন কেবলমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করে না, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সঠিক রুটিন শরীরকে শক্তিশালী করে ৷
বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা, অভিনয়ের থেকে তাঁর হটনেস এবং ফিটনেসের জন্য বেশি পরিচিত । অনেকেরই মনে একই প্রশ্ন জাগে যে 52 বছর বয়সে এসেও কীভাবে এত ফিট রয়েছেন মালাইকা ? চলুন অভিনেত্রীর ডায়েট এবং রুটিন সম্পর্কে জেনে নিই, যার কারণে 52 বছর বয়সেও তাঁকে 22 বছর বয়সি দেখায় । এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনিও দীর্ঘ সময় ধরে ফিট থাকতে চান, তাহলে আপনি অভিনেত্রীর রুটিন অনুসরণ করতে পারেন ।
মালাইকা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁর ফিটনেস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন ৷
মালাইকার সকালের ফিটনেস রুটিন: মালাইকা তাঁর দিন শুরু করতে পছন্দ করেন জল অথবা যে কোনও ডিটক্স পানীয় পান করে । সারাদিন শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য তিনি সাধারণত এক কাপ গরম জলে লেবু ও মধু অথবা জিরে জল অথবা এক গ্লাস সাধারণ জলও পান করে থাকেন । এছাড়াও, মালাইকা সকালে স্বাস্থ্যকর স্মুদি খেতে পছন্দ করেন । স্মুদিতে ওটস, গুড় এবং মধু থাকে ।
মালাইকা দুপুরের খাবারও পেট ভরে খান । যার মধ্যে থাকে মাংস, কিছু সবুজ শাকসবজি এবং ভালো চর্বি জাতীয় খাবার। মালাইকা ভারতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন । দুপুরের খাবারে তিনি ভাত, সবজি, রুটি, ডাল এবং মাংস বা মাছ খেতে পছন্দ করেন । সন্ধ্যায় জিমে যাওয়ার 1 ঘণ্টা আগে মালাইকা পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ খেতে পছন্দ করেন ।
মালাইকা স্বাস্থ্যকর এবং ডিটক্স পানীয় খেতে পছন্দ করে । রাতের খাবারে অভিনেত্রীর সেদ্ধ সবজির স্যুপ এবং সালাদ খেয়ে থাকেন । সন্ধ্যা 7 টার মধ্যে তাঁর রাতের খাবার খাওয়া শেষ হয়ে যায় ।
সঠিক ফিটনেস রুটিন কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
সঠিক ফিটনেস রুটিন গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের শরীর ও মনের সার্বিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য । নিয়মিত শরীরচর্চা রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং শারীরিক সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, যা দৈনন্দিন কাজকর্মে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে । ব্যায়াম ও শরীরচর্চা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ফিটনেস রুটিন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি স্ট্রেস, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমায় এবং মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে । নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা সুখানুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং মানসিক চাপ কমায় । তাই, সঠিক ফিটনেস রুটিন শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)
- ভারতে কোভিড-19 আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে, এই ধরনের ব্যায়াম করোনাকে বলবে বাই বাই
- ক্যাটরিনা থেকে শুরু করে নেহা ধুপিয়ার মতো পাবেন আকর্ষণীয় কলারবোন, আজ থেকেই শুরু করে দিন এই ব্যয়ামগুলি
- 'নীল রঙ ছিল ভীষণ প্রিয়'- অভিনেত্রীদের মতো আপনার পার্টির নীল পোশাকের সেরা সম্ভার
- ত্বককে সুন্দর করতে প্রতিদিন সকালে এই জিনিস করলেই হবে জেল্লাময়