বিয়েবাড়ি হোক কিংবা বিশেষ দিনের ভুরিভোজ কিংবা হোক জমজমাট আসর মাছ ছাড়া বাঙালির আড্ডা অসম্পূর্ণ ৷ বাঙালি বাজারে গেলেই থলিতে আর কিছু থাকুক বা নাই থাকুক, রুই-কাতলা থাকবেই থাকবেই । ওই দুই মাছ ছাড়া বাঙালির একেবারেই চলে না । তবে কাতলা দিয়ে হয় জিরে বাটা ঝোল আর না হয় দই মাছ । রোজ একই স্বাদের মাছ খেতে বড্ড একঘেয়ে লাগে ৷ ওই মাছ দিয়ে নতুন কী পদ বানানো যায় ভাবছেন ? বেড়ালের সঙ্গে মাছের সম্পর্ক যেমন, বাঙালির সঙ্গে মাছ-ভাতের সম্পর্ক অনেকটা তেমনই । স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ বাজারে গিয়ে ছোট মাছের খোঁজ করলেও বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত হেঁশেলে রুই, কাতলার আধিপত্য বেশ দেখা যায় । তেমনই নতুন কিছু রেসিপির সন্ধান দিলেন অর্পিতা দাস ৷ পাত্রানী কাতলা ৷ নাম শুনেছেন ? 30 মিনিটে ঝটপট তৈরি হয়ে যাবে এই ভিন্ন স্বাদের মাছ ৷ যা একবার পাতে পড়লেই হাত চাটবেন ৷ জেনে নিন কীভাবে বানাবেন ?
উপকরণ:
- মাছ- 3 পিস
- ধনে পাতা- 1 কাপ
- কাঁচা লঙ্কা- 3টি
- রসুন- 2-3টি
- আদা- 1 চা চামচ
- নারকেল- 1 কাপ
- লেবুর রস- 1 টেবিল চামচ
- জিরে- 1 চা চামচ
- চিনি- 1 চা চামচ
- নুন- স্বাদ অনুযায়ী
- কলা পাতা- 4টি
- টুথ পিক- 6টি
পদ্ধতি:
একটা পাত্রে ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা, আদা বাটা, নারকেল কোঁড়া ও রসুনের কোয়া, গোটা জিরে, নুন চিনি ও খুব সামান্য জল দিয়ে ভালো করে পেষ্ট বানিয়ে নিতে হবে ৷ এরপর মাছের পেটিতে নুন হলুদ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে ৷ এরপর কলাপাতাগুলিকে শেঁকে নিতে হবে যেভাবে পাতুরির মতো কলাপাতা শেকা হয় ৷ কলাপাতার মধ্যে পেষ্ট করে রাখা মশলা ও মাছ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে দু'দিক থেকে টুথ পিকের সাহায্যে মুড়ে নিতে হবে ৷ এভাবে সব মাছ মুড়ে নিয়ে দশ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে ৷ এরপর ভাপার মতো কলাপাতা দিয়ে সব মাছগুলিকে স্টিম করে নিতে হবে 25 মিনিটের জন্য ৷ ভালো করে স্টিম হয়ে গেলেই রেডি পাত্রানী কাতলা ৷ এরপর সাজিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ৷
যা খেতেও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ৷ এই রান্না তৈরি করতে তেল ব্যবহৃত হয় না ফলে দুপুরের পাতে এটি স্বাস্থ্যকর রেসিপি হবে ৷