প্রচণ্ড দাবদহে নাজেহাল মানুষ ৷ আমাদের চোখে পড়ুক বা না পড়ুক, আশপাশে গাছের ডালের ফাঁকে বা বাড়িঘরের খাঁজে বাসা বেঁধে থাকে প্রচুর পাখি । সারাদেশে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ । ঘরে হোক বা বাইরে মরুভূমির উত্তাপ । এই গরমের উত্তাপ মানুষের জীবনকে নাজেহাল করে দিয়েছে ৷ এই গরমে চারপাশ শুকিয়ে যায় ফলে মানুষ থেকে শুরু করে পশু পাখিরও অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায় ৷ জলকষ্টেই এই সময়ে বহু পাখি ও পশু মারা যায় ।
গ্রীষ্মকালে এই প্রাণীগুলি আমাদের মতোই দুর্বল ৷ তবে আপনার একটি ফ্রিজ আছে, ঠান্ডা হাওয়া উপভোগের জন্য ফ্যান আছে ৷ কিন্তু এই ছোট ছোট পাখিদের নেই ৷ আমরা যখন এসির হাওয়া খাই ঠান্ডা গ্লাসে চুমুক দিই তখন অন্যদিনে প্রাণীরা কষ্ট পায় ৷ তাদের এই গ্রীষ্মে সাহায্য় করা ভীষণভাবে দরকার ৷
কোনও পাত্রে ছাদে বা বারান্দাতে জল রাখুন ৷ এই গরমে জল হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ৷ বেশি কানা উঁচু পাত্র দেওয়ার দরকার নেই । এমন পাত্রে জল দেবেন, যার কানায় বসে পাখি জলপান করতে পারে । গ্রীষ্মের দুপুরের দাবদাহে এমনি করেই বহু পাখির তেষ্টা মিটিয়ে দিতে পারেন আপনিও । একটি মাটির পাত্রই ভালো । বাড়ির বাইরেও একটা পাত্র রেখে দিতে পারবেন ৷ এতে কুকুর, বিড়াল জল খেয়ে জলকষ্ট থেকে মুক্তি পাবে ৷

বাড়ির বারান্দা হোক বা কোনও ছাদের একপাশে বাসা বানিয়ে রাখতে পারেন ৷ এই গরমের সময় পাখিদের বাসা বানানো ভীষণ কষ্টকর হয়ে থাকে ৷ নিজের বাগানে বা বারান্দার কোণে পাখির জন্য ছোট বাসা বানিয়ে দিতে পারেন আপনি । অনলাইনেও এই ধরনের বাসা কিনতে পাওয়া যায় । সেগুলি কিনেও ঝুলিয়ে রাখতে পারেন আপানর পছন্দের কোনও জায়গাতে ৷
এছাড়াও গরমের রাস্তায় চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না ৷ রাস্তার পশু পাখিদের খাবার দিয়েও তাদের প্রাণ বাঁচাতে পারেন ৷ দই ভাত, জলে ভেজানো সাধারণ রুটি, সেদ্ধ ডিম, বিস্কুট কুকুরদের দিন ৷ গরুকে তরমুজের খোসা, কলার খোসা খাওয়ান ৷ সকালে বা সূর্যাস্তের পরে যখন তাপ কম থাকে তখন খাওয়ান । এতে তাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য় করে ৷