অনামিকা ভট্টাচার্য্য
'আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি...' সেই গানই তাঁর পরিচিতির বাঁধন খুলে দিয়েছে । পৌঁছে দিয়েছে শ্রোতার কাছে । লকডাউনে তাঁর গাওয়া সেই গান ইউটিউবে আজও ট্রেন্ডিং। তিনি সঙ্গীতশিল্পী দেব গৌতম ৷ সু-গায়কের পাশাপাশি বাদ্যযন্ত্র শিল্পী, সঙ্গীতায়োজক । তাঁর সঙ্গীতায়োজনে সমৃদ্ধ হচ্ছে বাংলা গান । সঙ্গীতের একাধিক বিভঙ্গে তাঁর অহরহ যাতায়াত ।
একজন গায়ক হয়ে ওঠার গল্প সাধারণত ব্যক্তির সংগীত প্রতিভার বিকাশ, কঠোর অনুশীলন এবং পেশাদার জগতে পদার্পণ করার পথ নিয়ে গঠিত হয় । অনেক শিল্পী ছোটবেলা থেকেই গান বা বাদ্যযন্ত্রের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন ।
তাদের মধ্যে কেউ হয়তো পরিবারের সংগীত পরিবেশে বেড়ে ওঠেন আবার কেউ হয়তো গান শোনার মাধ্যমে সংগীতের প্রতি অনুরাগী হয়ে ওঠেন । দেব গৌতম এমনই গানকে ভালোবেসে নিজের জীবনের অঙ্গীকার হিসাবে তৈরি করেছেন ৷

সঙ্গীত শিল্পী দেব গৌতম ইটিভি ভারতকে বলেন, "প্রথমে আমার জীবনকে সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে প্রাধন্য দিয়ে থাকি ৷ পরবর্তীকালে কম্পোজিশন করি ও অ্যারেঞ্জমেন্ট করি ৷ দুটো সমানতালে চলতে থাকে ৷ আমার সবধরনের জনারের গান গাইতে ভালোলাগে ৷ তবে বিশেষকরে ফোক আর গজল আমাকে বেশি করে টানে ৷ কারণ গজলের কথা আমার মনে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে ৷ যেটা বাংলা দিয়ে বোঝানো যায় না ৷ ভাষার সঙ্গে সুরের এমন এক সামঞ্জস্য আছে ও একটা রোমান্টিসিজম ব্যাপার সেখানে আমার গজলকে বেশি টানে ৷"
তিনি আরও বলেন, "আমি নৈহাটিতে থাকি মফঃস্বল শহর ৷ এখানে অনেক বিখ্যাত মানুষের জন্ম ৷ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতো মানুষরা ৷ তবে আমি নিজেও জানতাম না এই গানটাকে আমার প্রফেসন করবো ৷ প্রথমে আমি আঁকতাম ৷ তখন তুলি দিয়ে আঁকতাম এখন সুর দিয়ে আঁকি ৷"

তিনি জানান, গান করার জন্য প্রাকটিস খুব জরুরি ৷ ভালো গুরুর প্রয়োজন ৷ প্রতিদিন গান গাওয়া গলা ঠিক রাখা প্রয়োজন ৷ আমি সব কিছু খাই সেভাবে মেইনটেন হয় না ৷ অটোমেটিক আসে ভিতর থেকে ৷

"ছোটবেলা থেকে আমি দুটো জিনিসই সমানভাবে করতাম ৷ কখন গভীরভাবে ঢুকে গিয়েছি বলতে পারবো না ৷ তবে আমার চটকদার গান ঠিক আসে না ৷ আমি যা কিছুই করি সবকিছুই গুরু গম্ভীর ৷ গান তো ভাষা ঠিক হতে হবে, সুর ঠিক হতে হবে ৷ তবে আমি করতে পারি না সেটা নয় ৷ কোনও সিনেমার জন্য যদি এই ধরনের গান বলা হয় তখন আমাকে করতেই হবে ৷"