ইসলামাবাদ, 20 মে: নূর খান এবং রহিম ইয়ার খান এয়ারবেসের মতো আটটি বায়ু সেনাঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৷ এদিকে ভারত-পাক সংঘর্ষে সেনা প্রধানের অবদানের জন্য আসিম মুনিরকে পুরস্কৃত করল পাক সরকার ৷ সেনা প্রধানকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শালে উন্নীত করল সরকার ৷ পাকিস্তানের সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
আসিম মুনিরের আগে 1959 সালে জেনারেল আয়ুব খান ফিল্ড মার্শাল এই পদ পেয়েছিলেন ৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, "পাকিস্তান সরকার জেনারেল আসিম মুনিরের (নিশান-এ-ইমতিয়াজ মিলিটারি) ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হওয়া মঞ্জুর করেছে ৷ উচ্চ-রণনীতি সম্পন্ন শত্রুকে পরাজিত করে তিনি দেশের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করেছেন ৷"
গত 6-7 মে গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারতীয় সেনা ৷ পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) ন'টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ক্ষেপণাস্ত্র ৷ এরপর পরপর চারটি রাত ভারতের সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় হামলা চালায় পাক সেনা ৷ মানুষের বসতি এলাকা ও সামরিক ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে পাকিস্তান ৷ এর জবাবে 9-10 মে রাতে ভারতও পাকিস্তানের আটটি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ৷ সেই ক্ষয়ক্ষতির ছবি, ভিডিয়ো দেখিয়েছে সেনা ৷
গত 10 মে দুই দেশের সামরিক অভিযানের ডিরেক্টর জেনারেলদের (ডিজিএমও) মধ্যে সংঘর্ষ স্থগিত নিয়ে সমঝোতা হয় ৷ এর দেড় সপ্তাহ পরেই পদোন্নতি হল জেনারেল মুনিরের ৷ ভারতীয় সেনার তরফে বারবার জানানো হয়েছে পাকিস্তানই এই স্থগিত চেয়ে ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে হটলাইনে যোগাযোগ করে ৷
পাকিস্তান সরকারের কার্যালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত-পাক সংঘর্ষে সেনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেনারেল মুনির ৷ তাঁর সাহসিকতা, দৃঢ়তা, রণ কৌশল এবং সেনা বাহিনী পরিচালনায় তিনি যে অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন, তা অতুলনীয় ৷ তাই ক্যাবিনেট জেনারেল মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷