সিওল, 4 জুন: মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী প্রার্থী লি জে-মিয়ং। এই জয়ের ফলে দক্ষিণ কোরিয়াতে কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটতে চলেছে, যা বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত রক্ষণশীল নেতা ইউন সুক-ইওলের 'মার্শাল ল' জারির আকস্মিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। লির নির্বাচন দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশনীতিতে কোনও বড় এবং তাৎক্ষণিক পরিবর্তন আনবে কিনা তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় 3 জুন অনুষ্ঠিত বিশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং রক্ষণশীল প্রার্থী কিম মুন-সুকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। নির্বাচনে 85 শতাংশেরও বেশি ভোট গণনার ফলাফলে লি বিশাল ভোটের ব্যবধানে কিম মুন-সু-এর থেকে এগিয়ে থাকায় দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদে পরিবর্তন এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বুধবার লি জে-মিয়ংকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের (রিপাবলিক অফ কোরিয়া) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় মিস্টার লি জে-মিয়ংকে অভিনন্দন। ভারত-কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।"
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশেষ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় যখন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল 3 ডিসেম্বর 2024-এ সামরিক আইন জারি করেন, যা দেশজুড়ে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেয়। 1987 সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পর এটাই প্রথমবার যখন কোনও প্রেসিডেন্ট সেনাবাহিনীর সাহায্যে শাসন করার চেষ্টা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে ছিলেন লি জে-মিয়ং, যিনি সংসদে ইউনের বিরুদ্ধে 'ইমপিচমেন্ট' বা অপসারণের প্রস্তাব পাস করেন। 2025 সালের এপ্রিল মাসে, সাংবিধানিক আদালত ইউনকে পদ থেকে অপসারণ করে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ফৌজদারি বিচার শুরু হয়। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে 2025 সালের জুনে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশেষ নির্বাচন করা জরুরি হয়ে পড়ে।
উত্তপ্ত দক্ষিণ কোরিয়া ! দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার প্রেসিডেন্ট ইওল