তেহরান, 23 জুন: তেহরান, 23 জুন: ইরান ও আমেরিকার মধ্যে চলা উত্তেজনা এখন সামরিক সংঘাতে পরিণত হয়েছে। আজ, ইরান আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছে এবং কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ইরানি সেনাবাহিনী "অপারেশন বাশাইর আল ফতেহ্"-এর অধীনে এই হামলা চালিয়েছে, যাকে তারা পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সোমবার, কাতারে আমেরিকার বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলার পর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাহরিন, কুয়েত এবং ইরাক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের আকাশসীমা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Major General Abrolrahim Mousavi, Chief-of-Staff of Iranian Armed Forces:
— Iran in India (@Iran_in_India) June 23, 2025
“Trump violated our sovereignty, attacked three locations on our soil….This will not go unanswered.”
“The United States carried out an attack against 3 nuclear sites within our dear nation, contrary to… pic.twitter.com/KKs4f4uEkJ
ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) এক বিবৃতিতে বলেছে যে, আবা আবদুল্লাহ আল-হুসেনের কোড-নাম অনুযায়ী, আমরা কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিটিকে একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছি যা এটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আবরোলরহিম মুসাভিইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্রোলরহিম মুসাভি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "ট্রাম্প আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছেন, আমাদের মাটিতে তিনটি স্থানে আক্রমণ করেছেন... এর উত্তর না দিলে চলবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের মধ্যে তিনটি পরমাণু কেন্দ্রের উপর আক্রমণ চালিয়েছে, যা সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। তারা এই অঞ্চলে তার প্রতিনিধি ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থাকে বাঁচানোর জন্য এটি করেছিল। ঈশ্বরের ইচ্ছায়, এই পদক্ষেপের জবাব না দিলে চলবে না। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী নেতানিয়াহুকে সর্বশক্তি দিয়ে শাস্তি দিতে থাকবে, যতক্ষণ না তাঁকে হতাশা ও দুর্দশার দিকে ঠেলে দেওয়া যায়।"
এই ঘাঁটিটি মার্কিন বিমান বাহিনীর সদর দফতর এবং পশ্চিম এশিয়ায় এটিকে তাদের বৃহত্তম কৌশলগত সামরিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) আরও বলেছে যে, ইরানের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। এই হামলার পর ইরানের তরফে জানানো হয়েছে, 'আর কোনও আপোস করা হবে না'। এই বার্তা হোয়াইট হাউস এবং তার মিত্রদের জন্য।
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে যে, আমেরিকার আক্রমণাত্মক এবং অপমানজনক পদক্ষেপের প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইরান স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এই পদক্ষেপ তার প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ কাতারের বিরুদ্ধে নয়।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর, ভারত থেকে কাতারগামী দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। একটি ফ্লাইট ছিল ইন্ডিগোর, যা দিল্লি থেকে ওড়ার কথা ছিল এবং অন্যটি ছিল কোচিন থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কোচিন থেকে দোহা হয়ে মাস্কাটে তাদের ফ্লাইটটি ঘুরিয়ে দেয় এবং কন্নুর থেকে ফ্লাইটটি ফিরিয়ে দেয়।
হামলার প্রতিশোধ! কাতার, ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে মিসাইল ছুড়ল ইরান