জেরুজালেম, 16 ফেব্রুয়ারি: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গিডিওন সার ইজরায়েলের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সংযুক্ত করার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সময় জয়শঙ্কর এবং গিডিওন সার বৈঠক করেন। এটি বিশ্বের নিরাপত্তা-কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। গিডিওন সার বলেন যে, ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ককে কৌশলগত গুরুত্ব দেয় ইজরায়েল।
ইজরায়েলের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর এবং গিডিওন সার হুতি এবং ইরানের বাণিজ্য পথে হামলার ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলি নিয়েও কথা বলেছেন। ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের সময়, হুতিরা কৌশলগত বাব-আল-মান্দেব অঞ্চলে বারবার জাহাজে আক্রমণ করেছে।
Great to meet FM @gidonsaar of Israel on sidelines of #MSC2025.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) February 15, 2025
Exchanged views on the current situation in West Asia/Middle East. Underlined the strength and significance of our bilateral partnership.
🇮🇳 🇮🇱 pic.twitter.com/65g5HjDhGY
জয়শঙ্কর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "#MSC2025 এর ফাঁকে ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গিডিয়ন সারের সঙ্গে দেখা করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। পশ্চিম এশিয়া/মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের শক্তি এবং গুরুত্ব তুলে ধরেছি ৷"
প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক যৌথ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন যে, আমেরিকা ও ভারত ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাণিজ্য রুট তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, এই রুটটি ভারত থেকে ইজরায়েল, ইতালি এবং তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবে। বন্দর, রেলপথ এবং সমুদ্রতলের যোগাযোগ পথের মাধ্যমে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে। এর অনেকটা কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছিল:
ট্রাম্প বলেছিলেন যে, এর জন্য অনেক অর্থ খরচ হবে। আমরা ইতিমধ্যেই এর জন্য কিছু অর্থ খরচ করেছি। এটিকে আরও এগিয়ে নিতে এবং সামনের সারিতে থাকতে আমাদের আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। 2023 সালের G20 শীর্ষ সম্মেলনে ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে ইউরোপের সঙ্গে সংযোগের পরিকাঠামো তৈরির একটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তখন এটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সহযোগিতা প্রকল্প হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, এটি মধ্যপ্রাচ্য, ইজরায়েলের চেহারা বদলে দেবে এবং সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করবে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাধাহীন বিশ্ব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।