ওয়াশিংটন, 5 এপ্রিল: ভারতের দায়িত্বে থাকা শীর্ষকর্তার বক্তব্যের দায় নিল না আইএমএফ। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কেমন হতে পারে তা নিয়ে নিজের অনুমান প্রকাশ্যে এনেছিলেন কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন। সংস্থার তরফে ভারতের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের মতো গুরু দায়িত্ব সামলান এই কৃষ্ণমূর্তি। স্বশাসিত সংস্থা জানিয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে বক্তব্য তিনি রেখেছিলেন তার সঙ্গে আইএমএফের কোনও যোগ নেই ৷ উল্লেখ্য, কৃষ্ণমূর্তি আইএমএফে ভারতের প্রতিনিধি এবং 2022 সালে তিনি আইএমএফ এক্সিকিউটিভ বোর্ডের ডিরেক্টর মনোনীত হয়েছিলেন ৷
গত 28 মার্চ কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, 2047 সালের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি 8 শতাংশ হয়ে যেতে পারে ৷ যা সাম্প্রতিক সময়ে আইএমএফের প্রকাশিত ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারের তুলনায় অনেকটাই বেশি ৷ কৃষ্ণমূর্তির বক্তব্য ছিল, "গত 10 বছরে ভারতে একটি নির্দিষ্ট হারে আর্থিক বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। গত 10 বছরে দেশে বেশ কিছু কার্যকর নীতি নিয়েছে। সেগুলির বাস্তবায়নও হয়েছে। আর্থিক ক্ষেত্রে সংস্কারও হয়েছে। এভাবে এগিয়ে গেলে এবং কয়েকটি বিষয়ে আরও খানিকটা উন্নতি করলে 2047 সাল পর্যন্ত আর্থিক বৃদ্ধির হার 8 শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে ৷"
এ নিয়ে আইএমএফের মুখপাত্র জুলি কোজাক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "যে মতামত কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন পেশ করেছেন, তা আইএমএফে ভারতের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বলেছেন ৷ আমাদের এক্সিকিউটিভ বোর্ড আছে ৷ আর এই বোর্ড গঠিত হয় এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরদের নিয়ে ৷ যাঁরা একটি বা একাধিক দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ৷ আর তাঁদের নিয়েই আইএমএফের এক্সিকিউটিভ বোর্ড গঠন হয় ৷ আর অবশ্যই এই বোর্ডের কাজ আইএমএফের কর্মীদের থেকে আলাদা ৷" মানে বোঝাই যাচ্ছে কৃষ্ণমূর্তি যা বলেছেন তার দায় নিতে নারাজ আইএমএফ।
উল্লেখ্য, 2023-24 অর্থবর্ষে বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সার্বিক রিপোর্ট কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করবে আইএমএফ ৷ এনিয়ে জুলি কোজাক বলেন, "জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত আনুমানিক বৃদ্ধির হার 6.5 শতাংশ ছিল ৷ সেটা অক্টোবরে প্রকাশিত রিপোর্টের থেকে কিছুটা বেশি ৷ তাই আবারও বলছি, আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান আর্থিক বৃদ্ধির আনুমানিক হার প্রকাশ করব ৷"
আরও পড়ুন: