ETV Bharat / international

আওয়ামী লীগ বানের জলে ভেসে আসেনি ! ভার্চুয়াল বৈঠকে তোপ হাসিনার - SHEIKH HASINA

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথা প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ৷ একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে এনিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন নেত্রী শেখ হাসিনা ৷

Deposed Bangladesh PM Sheikh Hasina
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)
author img

By PTI

Published : April 9, 2025 at 6:45 PM IST

5 Min Read

ঢাকা, 8 এপ্রিল: আওয়ামী লীগ বানের জলে ভেসে আসেনি বা যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা আগাছাও নয় ! বাংলাদেশে তাঁর দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন শেখ হাসিনা ৷ আওয়ামী লীগ নেত্রী দলের সদস্যদের চাঙ্গা করতে বৈঠকে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও হিসেবে দাবি করেছেন ৷

ওই বৈঠকেই তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে কড়া আক্রমণ করেন এবং বলেন, "ওদের (অন্তর্বর্তী প্রশাসন) ঔদ্ধত্য আমাকে অবাক করছে ৷" এদিকে গত 4 এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই বৈঠকে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের কথা উত্থাপন করেছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ এবিষয়ে ভারত কী উত্তর দিয়েছে, তা অবশ্য সামনে আসেনি ৷

এর দু'দিন যেতে-না-যেতেই ভারতে থেকে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শেখ হাসিনা ৷ এমনকী তিনি ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেই দাবি করেছেন ৷ তিনি বলেন, "তারা যেন এটা না ভাবে যে আমি সব ছেড়ে চলে এসেছি ৷ সাংবিধানিক দিক দিয়ে আমি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৷ মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে তাদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে বেছে নিয়েছে ৷ আমাকে সংসদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করেছে ৷"

গত বছরের 5 অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের জেরে বাংলাদেশ ছেড়ে আসতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা ৷ সেই থেকে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন ৷ তাঁর 16 বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে ৷ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে প্যারিস থেকে বাংলাদেশে পৌঁছন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস ৷ হাসিনার দেশ ছাড়ার মাত্র তিনদিন পর 8 অগস্ট তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠিত হয় ৷

এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতার উদ্যোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে নয়া রাজনৈতিক দল 'জাতীয় নাগরিক পার্টি' (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ করে ৷ এই রাজনৈতিক দলটিকে প্রকাশ্যে শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ৷ এদিকে তাঁর প্রশাসনই আওয়ামী লীগের ছাত্র দল ছাত্র লীগকে কার্যত নিষিদ্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ ৷

এই প্রসঙ্গে হাসিনা জানান, 1948 সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জন্ম হয় আওয়ামী লীগের ৷ মানুষের অধিকারের জন্য লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল এই দল ৷ সেই দল মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল ৷ শেখ মুজিবুর রহমান 1971 সালের মুক্তি যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ৷

মুজিবুর-কন্যা বলেন, "আজকে তারা যে দেশে বাস করছে, সেই নামটাও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেওয়া ৷ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে ৷ দেশকে স্বাধীন করেছেন ৷ এই বিষয়টা যেন কেউ ভুলে না যায় ৷"

77 বছর বয়সি নেত্রী হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে ৷ আওয়ামী লীগের বহু সদস্য গা ঢাকা দেন ৷ অনেককে গ্রেফতার করে ইউনূস প্রশাসন ৷ কেউ কেউ আবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন ৷ এই অবস্থায় বারবারই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সওয়াল করেছে বিরোধী দলগুলি ৷ যদিও লীগের চরম বিরোধী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) এনিয়ে কিছু বলেনি ৷

সদ্য জন্ম নেওয়া এনসিপি এবং কয়েকটি ডানপন্থী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা দাবি তুলেছে ৷ তারা 1972 সালের সংবিধানকে মাটির তলায় পুঁতে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে ৷ এই সংবিধানকে তারা 'মুজিবের দলিল' বলে আক্রমণ করেছে ৷

রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবে গত বছরের 15 জুলাই থেকে 15 অগস্ট- এক মাস সময়ের মধ্যে প্রায় 1 হাজার 400 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ কেউ পুলিশি অত্যাচারে, আবার কেউ বা তৎকালীন শাসকদলের ছাত্র লীগের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৷ এই ঘটনায় শেখ হাসিনা-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ইউনূস প্রশাসন ৷

এই প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, "এবার আমাদের হিসেবনিকেশ করতে হবে ৷ ওদের তালিকায় কতজন শহিদ আছে এবং তার বাইরে কতজন আওয়ামী লীগ কর্মী, পুলিশ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ কর্মী, ছাত্র ও শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে তা দেখতে হবে ৷" তিনি নিশ্চিত যে এই হিসেবে উল্টো দিকের তালিকাটি ভারী হয়ে উঠবে ৷

আওয়ামী লীগের নেত্রীর ক্ষোভ, বাংলাদেশে তাঁর সরকার থাকাকালীন ইসলামি ছাত্র শিবির, ডানপন্থী জামাত-ই-ইসলামি বা বিএনপি'র ছাত্র সংগঠন ছাত্র দলের মতো কোনও দলের সদস্যের পড়াশোনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি সরকার ৷ এখন সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে ৷ নেত্রীর কথায়, "এখন ছাত্র লীগের সঙ্গে কারও কোনও যোগাযোগ পাওয়া গেলেও তাঁর সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে ৷ তাঁদের পড়াশোনা করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ তাহলে স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ত কে ? কাকে এই দেশে নিষিদ্ধ করা উচিত ?"

দেশের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মুহাম্মদ ইউনূসকে তুলোধনা করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ইউনূসকে দখলদার বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷ বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা এখন দেশ চালালেও তাঁর কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই বা তিনি কোনও জনাদেশ পাননি, অভিযোগ নেত্রীর ৷ বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থের শক্তিতে তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন এবং সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের ভুল বোঝাচ্ছেন, বৈঠকে বলেন ক্ষুব্ধ হাসিনা ৷

হুঁশিয়ারির সুরে তিনি আরও বলেন, "ইউনূসের টাকা নিয়ে যাঁরা এই আন্দোলন সংগঠিত করেছে, একদিন না একদিন বাংলাদেশের মাটিতে তাঁদের বিচার হবে ৷ ইউনূসও ছাড় পাবেন না ৷ বিশ্বের সামনে তাঁর মুখোশ খুলে গিয়েছে ৷ তিনি একজন ভণ্ড, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গি ৷ তিনি কোনও আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেননি ৷ ওটা একটি চতুর পরিকল্পনা ছিল ৷" এর পাশাপাশি ইউনূসের সরকারের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনা ।

ঢাকা, 8 এপ্রিল: আওয়ামী লীগ বানের জলে ভেসে আসেনি বা যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা আগাছাও নয় ! বাংলাদেশে তাঁর দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন শেখ হাসিনা ৷ আওয়ামী লীগ নেত্রী দলের সদস্যদের চাঙ্গা করতে বৈঠকে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও হিসেবে দাবি করেছেন ৷

ওই বৈঠকেই তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে কড়া আক্রমণ করেন এবং বলেন, "ওদের (অন্তর্বর্তী প্রশাসন) ঔদ্ধত্য আমাকে অবাক করছে ৷" এদিকে গত 4 এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই বৈঠকে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের কথা উত্থাপন করেছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ এবিষয়ে ভারত কী উত্তর দিয়েছে, তা অবশ্য সামনে আসেনি ৷

এর দু'দিন যেতে-না-যেতেই ভারতে থেকে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শেখ হাসিনা ৷ এমনকী তিনি ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেই দাবি করেছেন ৷ তিনি বলেন, "তারা যেন এটা না ভাবে যে আমি সব ছেড়ে চলে এসেছি ৷ সাংবিধানিক দিক দিয়ে আমি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৷ মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে তাদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে বেছে নিয়েছে ৷ আমাকে সংসদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করেছে ৷"

গত বছরের 5 অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের জেরে বাংলাদেশ ছেড়ে আসতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা ৷ সেই থেকে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন ৷ তাঁর 16 বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে ৷ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে প্যারিস থেকে বাংলাদেশে পৌঁছন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস ৷ হাসিনার দেশ ছাড়ার মাত্র তিনদিন পর 8 অগস্ট তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠিত হয় ৷

এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতার উদ্যোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে নয়া রাজনৈতিক দল 'জাতীয় নাগরিক পার্টি' (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ করে ৷ এই রাজনৈতিক দলটিকে প্রকাশ্যে শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ৷ এদিকে তাঁর প্রশাসনই আওয়ামী লীগের ছাত্র দল ছাত্র লীগকে কার্যত নিষিদ্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ ৷

এই প্রসঙ্গে হাসিনা জানান, 1948 সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জন্ম হয় আওয়ামী লীগের ৷ মানুষের অধিকারের জন্য লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল এই দল ৷ সেই দল মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল ৷ শেখ মুজিবুর রহমান 1971 সালের মুক্তি যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ৷

মুজিবুর-কন্যা বলেন, "আজকে তারা যে দেশে বাস করছে, সেই নামটাও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেওয়া ৷ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে ৷ দেশকে স্বাধীন করেছেন ৷ এই বিষয়টা যেন কেউ ভুলে না যায় ৷"

77 বছর বয়সি নেত্রী হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে ৷ আওয়ামী লীগের বহু সদস্য গা ঢাকা দেন ৷ অনেককে গ্রেফতার করে ইউনূস প্রশাসন ৷ কেউ কেউ আবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন ৷ এই অবস্থায় বারবারই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সওয়াল করেছে বিরোধী দলগুলি ৷ যদিও লীগের চরম বিরোধী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) এনিয়ে কিছু বলেনি ৷

সদ্য জন্ম নেওয়া এনসিপি এবং কয়েকটি ডানপন্থী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা দাবি তুলেছে ৷ তারা 1972 সালের সংবিধানকে মাটির তলায় পুঁতে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে ৷ এই সংবিধানকে তারা 'মুজিবের দলিল' বলে আক্রমণ করেছে ৷

রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবে গত বছরের 15 জুলাই থেকে 15 অগস্ট- এক মাস সময়ের মধ্যে প্রায় 1 হাজার 400 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ কেউ পুলিশি অত্যাচারে, আবার কেউ বা তৎকালীন শাসকদলের ছাত্র লীগের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৷ এই ঘটনায় শেখ হাসিনা-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ইউনূস প্রশাসন ৷

এই প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, "এবার আমাদের হিসেবনিকেশ করতে হবে ৷ ওদের তালিকায় কতজন শহিদ আছে এবং তার বাইরে কতজন আওয়ামী লীগ কর্মী, পুলিশ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ কর্মী, ছাত্র ও শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে তা দেখতে হবে ৷" তিনি নিশ্চিত যে এই হিসেবে উল্টো দিকের তালিকাটি ভারী হয়ে উঠবে ৷

আওয়ামী লীগের নেত্রীর ক্ষোভ, বাংলাদেশে তাঁর সরকার থাকাকালীন ইসলামি ছাত্র শিবির, ডানপন্থী জামাত-ই-ইসলামি বা বিএনপি'র ছাত্র সংগঠন ছাত্র দলের মতো কোনও দলের সদস্যের পড়াশোনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি সরকার ৷ এখন সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে ৷ নেত্রীর কথায়, "এখন ছাত্র লীগের সঙ্গে কারও কোনও যোগাযোগ পাওয়া গেলেও তাঁর সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে ৷ তাঁদের পড়াশোনা করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ তাহলে স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ত কে ? কাকে এই দেশে নিষিদ্ধ করা উচিত ?"

দেশের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মুহাম্মদ ইউনূসকে তুলোধনা করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ইউনূসকে দখলদার বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷ বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা এখন দেশ চালালেও তাঁর কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই বা তিনি কোনও জনাদেশ পাননি, অভিযোগ নেত্রীর ৷ বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থের শক্তিতে তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন এবং সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের ভুল বোঝাচ্ছেন, বৈঠকে বলেন ক্ষুব্ধ হাসিনা ৷

হুঁশিয়ারির সুরে তিনি আরও বলেন, "ইউনূসের টাকা নিয়ে যাঁরা এই আন্দোলন সংগঠিত করেছে, একদিন না একদিন বাংলাদেশের মাটিতে তাঁদের বিচার হবে ৷ ইউনূসও ছাড় পাবেন না ৷ বিশ্বের সামনে তাঁর মুখোশ খুলে গিয়েছে ৷ তিনি একজন ভণ্ড, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গি ৷ তিনি কোনও আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেননি ৷ ওটা একটি চতুর পরিকল্পনা ছিল ৷" এর পাশাপাশি ইউনূসের সরকারের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.