ETV Bharat / international

পাঁচ মাস পর জামিন পেলেন বাংলাদেশের হিন্দু সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস - CHINMOY KRISHNA DAS BAIL

জামিন পেলেন ইসকন-এর প্রাক্তন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ৷ গত 25 নভেম্বর দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ ৷

Chinmoy Krishna Das gets bail in a sedition case
হিন্দু সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 30, 2025 at 3:18 PM IST

3 Min Read

ঢাকা, 30 এপ্রিল: দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্দি থাকার পর জামিন পেলেন সনাতনী হিন্দু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'দ্য ডেইলি স্টার' এই খবর প্রকাশ করেছে ৷ গত নভেম্বরের শেষে তাঁকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷

বাংলাদেশ হাইকোর্টের তরফে এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, "দু'জন বিচারপতির বেঞ্চ এই জামিন কেন মঞ্জুর করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন ৷" এদিন চূড়ান্ত শুনানির পর সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি আলি রেজার বেঞ্চ ৷

চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, এর আগে চলতি বছরের 2 জানুয়ারি চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় ৷ তারপর তিনি বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান ৷ ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট সনাতনী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কারণে জামিন কেন দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চায় ৷ সন্ন্যাসীর আইনজীবী অপূর্বকুমার ভট্টাচার্য এএনআইকে বলেন, "বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে দু'সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বলেছিল হাইকোর্ট ৷"

তিনি আরও বলেন, "আমরা 2 জানুয়ারি চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন সেশনস আদালতে সওয়াল-জবাবে বলেছিলাম যে, এই সন্ন্যাসী বাংলাদেশকে তাঁর মায়ের মতো দেখেন ৷ সম্মান করেন ৷ তিনি বিশ্বাসঘাতক নন ৷ তা সত্ত্বেও তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারপতি মহম্মদ সইফুল ইসলাম ৷"

গত বছরের 31 অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতওয়ালি থানায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ 19 জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় ৷ এরপর ওই বছরেরই 25 নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ৷ তিনি সম্মিলত সনাতনী জাগরণ জোট-এর মুখপাত্রও ৷ তার আগে বাংলাদেশের ইসকন-এর সদস্য ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ৷ তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ওঠে ৷

গ্রেফতারের পরেই তিনি চট্টগ্রামের একটি আদালতে জামিনের আবেদন করেন ৷ কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় ৷ এরপরই ঢাকা, চট্টগ্রাম-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে ৷ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ এর মধ্যে মৃত্যু হয় সহকারী সরকারি আইনজীবী সইফুল ইসলাম আলিফের ৷

এদিকে সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং তাঁকে জামিন না দেওয়ার ঘটনায় ভারত কড়া সমালোচনা করে ৷ এর জবাবে বাংলাদেশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ভারত যেন প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলায় ৷ এটা দু'দেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ নয় ৷ এছাড়া চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিষয়টি এখন আদালতের বিচার্য ৷ এক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই ৷

এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করে বাংলাদেশের ইসকন ৷ তারা কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানায়, হিন্দুরা যেন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে পারে ৷ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সনাতনী নেতা হলেও তাঁর বিচার যেন নিরপেক্ষ হয় ৷ এরপর 3 ডিসেম্বর বাংলাদেশের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি থাকলেও তা হয়নি ৷ এই মামলার শুনানির জন্য কোনও আইনজীবী আদালতে হাজির হননি ৷ যদিও এই হিন্দু সনাতনী নেতার জামিনের জন্য পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর সমর্থক আইনজীবী রমেন রায় ৷ কিন্তু চিন্ময়কৃষ্ণর জামিনের আবেদনের শুনানির একদিন আগেই তাঁর উপর হামলা হয় ৷ তিনি সেই সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৷ এরপর 2 জানুয়ারি মামলার শুনানি হয় ৷ কিন্তু জামিন পাননি চিন্ময়কৃষ্ণ ৷

ঢাকা, 30 এপ্রিল: দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্দি থাকার পর জামিন পেলেন সনাতনী হিন্দু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'দ্য ডেইলি স্টার' এই খবর প্রকাশ করেছে ৷ গত নভেম্বরের শেষে তাঁকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷

বাংলাদেশ হাইকোর্টের তরফে এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, "দু'জন বিচারপতির বেঞ্চ এই জামিন কেন মঞ্জুর করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন ৷" এদিন চূড়ান্ত শুনানির পর সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি আলি রেজার বেঞ্চ ৷

চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, এর আগে চলতি বছরের 2 জানুয়ারি চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় ৷ তারপর তিনি বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান ৷ ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট সনাতনী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কারণে জামিন কেন দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চায় ৷ সন্ন্যাসীর আইনজীবী অপূর্বকুমার ভট্টাচার্য এএনআইকে বলেন, "বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে দু'সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বলেছিল হাইকোর্ট ৷"

তিনি আরও বলেন, "আমরা 2 জানুয়ারি চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন সেশনস আদালতে সওয়াল-জবাবে বলেছিলাম যে, এই সন্ন্যাসী বাংলাদেশকে তাঁর মায়ের মতো দেখেন ৷ সম্মান করেন ৷ তিনি বিশ্বাসঘাতক নন ৷ তা সত্ত্বেও তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারপতি মহম্মদ সইফুল ইসলাম ৷"

গত বছরের 31 অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতওয়ালি থানায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ 19 জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় ৷ এরপর ওই বছরেরই 25 নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ৷ তিনি সম্মিলত সনাতনী জাগরণ জোট-এর মুখপাত্রও ৷ তার আগে বাংলাদেশের ইসকন-এর সদস্য ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ৷ তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ওঠে ৷

গ্রেফতারের পরেই তিনি চট্টগ্রামের একটি আদালতে জামিনের আবেদন করেন ৷ কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় ৷ এরপরই ঢাকা, চট্টগ্রাম-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে ৷ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ এর মধ্যে মৃত্যু হয় সহকারী সরকারি আইনজীবী সইফুল ইসলাম আলিফের ৷

এদিকে সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং তাঁকে জামিন না দেওয়ার ঘটনায় ভারত কড়া সমালোচনা করে ৷ এর জবাবে বাংলাদেশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ভারত যেন প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলায় ৷ এটা দু'দেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ নয় ৷ এছাড়া চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিষয়টি এখন আদালতের বিচার্য ৷ এক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই ৷

এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করে বাংলাদেশের ইসকন ৷ তারা কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানায়, হিন্দুরা যেন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে পারে ৷ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সনাতনী নেতা হলেও তাঁর বিচার যেন নিরপেক্ষ হয় ৷ এরপর 3 ডিসেম্বর বাংলাদেশের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি থাকলেও তা হয়নি ৷ এই মামলার শুনানির জন্য কোনও আইনজীবী আদালতে হাজির হননি ৷ যদিও এই হিন্দু সনাতনী নেতার জামিনের জন্য পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর সমর্থক আইনজীবী রমেন রায় ৷ কিন্তু চিন্ময়কৃষ্ণর জামিনের আবেদনের শুনানির একদিন আগেই তাঁর উপর হামলা হয় ৷ তিনি সেই সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৷ এরপর 2 জানুয়ারি মামলার শুনানি হয় ৷ কিন্তু জামিন পাননি চিন্ময়কৃষ্ণ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.