ঢাকা, 28 মে: রেমালের তাণ্ডবে বাংলাদেশে প্রাণ গেল 10 জনের ৷ মৃতদের মধ্যে ভোলা এবং বরিশাল জেলার 6 জন, সাতখিরা, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং পটুয়াখালির 4 জন বাসিন্দা রয়েছেন ৷ সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় লক্ষেরও বেশি বাড়ি ৷ এমনই তথ্য দিল বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রক ৷ ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সাংবাদিক বৈঠক করেন দুর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ মোহিবুর রহমান ৷ তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে দেশের একাধিক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে 1 লক্ষ 50 হাজার 457টি বাড়ি ৷ এর মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের 107টি ইউনিয়ন ও 914টি পুরসভায় 35 হাজার 483টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ৷
রবিবার রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ৷ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের মোকবিলায় আগে থেকেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল ৷ উপকূলের জেলাগুলিতে মোট 9 হাজার 424টি ত্রাণ শিবির খোলা হয় ৷ ঝড়ের আগে 8 লক্ষেরও বেশি মানুষকে সেখানে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ স্থানান্তরিত করা হয় 52 হাজার 146টি গবাদি পশুকেও ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গৃহিত পদক্ষেপের জন্য এই দুর্যোগে বড় কোনও বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে ৷
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার তাণ্ডব চালানোর পর সোমবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে রেমাল ৷ তবে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আগে পর্যন্ত লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে একাধিক উপকূলীয় এলাকা ৷ দুর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বিপর্যস্তদের চিকিৎসার জন্য মোতায়েন রয়েছে 1 হাজার 471টি মেডিক্যাল দল রয়েছে ৷ প্রতিমন্ত্রী মোহিবুর রহমান জানিয়েছেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মোট 6 কোটি 85 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ৷ তবে কবে তিনি এলাকা পরিদর্শনে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি ৷
ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে 10টি আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করা হয় ৷ এমনকী খারাপ আবহাওয়ার কারণে ছেড়ে যাওয়ার পরও ফিরিয়ে আনা হয় তিনটি বিমানকে ৷ পরে সেই বিমানের যাত্রীদের অন্য বিমানে স্থানান্তরিত করা হয় ৷