হায়দরাবাদ: ভারতে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার নিরিখে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভুগছেন ওরাল ক্যানসারে । নিয়মিত জর্দা-খৈনি-পান-পানমশলা এবং সিগারেট প্রভৃতি তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য সেবনের জন্যই এই ফল। একটু সতর্ক হয়ে রোজ একটু মুখের খেয়াল রাখলেই ওরাল ক্যানসার কিন্তু প্রতিরোধ করা যায় । এই ওরাল ক্যানসার নিয়ে জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ৷
তিনি বলেন, "ওরাল ক্যানসার খুবই বেদনাদায়ক ৷ শুধুমাত্র ব্যথা বা জ্বালা যন্ত্রণার বিষয় নয়, আপনার মুখে হচ্ছে এমন জায়গা যেখানে অপারেশন করতে হলে মুখের আদলই বদলে যায় ৷ এটা এমন একটা জায়গায় যেখানে রেডিয়েশন হলে মুখ কালো হয়ে যাওয়া বা চামড়া উঠে যায় ৷ এই ক্য়ানসারের একটা বড় কারণ হয়ে দাড়িয়েছে, ওরাল টোবাকো অর্থাৎ তামাক জাতীয় পদার্থ ৷ পানের মধ্যে যে সুপরি ব্যবহার করা হয় তা এই ওরাল ক্যানসারের অন্যতম কারণ হতে পারে ৷ এগুলি এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন ৷
সবার জানা দরকার ওরাল টোবাকোর কারণে ওরাল ক্যানসার বেড়ে গিয়েছে ৷ তারপরও বলা হয়ে থাকে যদি কেউ এইসব পণ্য ব্যবহার নাও করেন তাহলেও তাঁরা ওরাল ক্যানসার হতে পারে ৷ তবে সেটার সংখ্যা খুবই কম ৷ 20 থেকে 30 শতাংশ ৷ কিন্তু বাকি 70 শতাংশ মানুষের জীবন সমস্যা নেমে আসে গুটকা বা পান মশলা খাওয়ার ফলে ৷ এগুলির সঙ্গে ধূমপানও এড়িয়ে যেতে হবে ৷"
তিনি আরও বলেন, তামাক এমনই বিষাক্ত যা শুধুমাত্র ফুসফুসের নয় ওরাল ক্যানসারেরও একটা বড় কারণ ৷ তিনি উদাহরণ হিসাবে বলেন, সাধারণ দাঁত ব্যথা হলে তা অস্বস্থিকর ফলে যার ক্যানসার হয়েছে তার অবস্থা ভয়ানক হয় ৷ ফলে তার খাওয়া-দাওয়া কমে যায় ৷ আমাদের শরীরে যে কোনও ট্রিটমেন্ট করতে গেলে খাওয়া-দাওয়া ভীষণভাবে কার্যকরী ৷ কেমোথেরাপি হোক বা রেডিয়েশন থেরাপি হোক বা সার্জারি হোক সব ক্ষেত্রেই ঠিক মতো খাওয়া-দাওা ৷ অর্থাৎ মুখে কোনও রোগ হলে খাওয়াটাই কমে যাচ্ছে । তিনি বলেন, এই ওরাল ক্য়ানসার পেনফুল হতে পারে তবে নিরাময়ও অনেকক্ষেত্রে সম্ভব হয় ৷
আরও পড়ুন: