সুস্থ থাকার জন্য, খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান পাই । এগুলি আমাদের স্বাস্থ্যের যথাযথ যত্ন নেওয়া যায় । আমরা যদি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করি, তাহলে আমরা অনেক রোগ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারব । সবুজ শাকসবজি খেলে ওজনও কমে ।
সাধারণত মানুষ রান্না করা সবজি খেতে পছন্দ করে, কিন্তু আমরা আপনাকে বলি যে কাঁচা সবজিতে রান্না করা সবজির চেয়ে বেশি ফাইবার থাকে। এগুলিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণও অনেক বেশি । কোন কোন সবজি কাঁচা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় । বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ৷
কোন সবজি কাঁচা খাওয়া উচিত ?
গাজর রান্না না করে কাঁচা খাওয়াই ভালো । রান্না করার সময় এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম নষ্ট হয়ে যায় ।
কাঁচা রসুন খাওয়ার ফলেও প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় ।
পার্সলে এমন একটি সবজি যার ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম । আপনি এটি স্যালাড হিসেবে খেতে পারেন । এটি আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে ।
সালাদ হিসেবে টমেটো কাঁচা খেতে পারেন । টমেটো রান্না করলে টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন সি কমে যায়।
শসাও কাঁচা খাওয়া উচিত । কারণ এতে 90 শতাংশ জল থাকে । এমন পরিস্থিতিতে, রান্না করে খেলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাবে ।
ব্রোকলি খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে । এতে উপস্থিত সালফোরাফেন নামক যৌগ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক । এটিও কাঁচা খাওয়া উচিত ।
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে আপনি হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন । এটি রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে ।
লাল এবং হলুদ ক্যাপসিকামে জলের পরিমাণ ভালো । এমন পরিস্থিতিতে, এগুলি আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে কার্যকর । এটাও কাঁচা খাওয়া উচিত । অন্যথায় এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে ৷
কাঁচা শাকসবজি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে:
আপনার খাদ্যতালিকায় কাঁচা শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করলে, এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । এটি আপনার হার্টকেও সুস্থ রাখে ।
কাঁচা সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে । এইসময় পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা রাখে, যা ওজন কমানোর জন্য সহজ করে তোলে ।
কাঁচা শাকসবজি খেলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তিতে ভরপুর থাকেন ।
হজমশক্তি ভালো করার জন্য আপনি কাঁচা শাকসবজিও খেতে পারেন ।
https://pmc.ncbi.nlm.nih.gov/articles/PMC3649719/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)