ETV Bharat / health

ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে রক্ত ​​পড়লে ঝুঁকি হতে পারে - Bleeding Gums

Causes Of Bleeding Gums: অনেকের ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। এমনটা হলে অবজ্ঞা করা ঠিক নয় ৷ এটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 18, 2024, 10:42 PM IST

Causes Of Bleeding Gums News
মাড়িতে রক্ত পড়ার কারণ (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা: দাঁত নিয়ে সমস্যার শেষ নেই । অনেকেই দাঁত থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যায় ভোগেন। তার জন্য মুঠোমুঠো ওষুধ খেয়েও দেখেছেন । কিন্তু আদতে লাভের লাভ কিছু হয় না। মাড়ি দিয়ে কেন এভাবে রক্ত ​​পড়ে তা অনেকেই জানেন না । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, জেনে বা না জেনে করা কিছু ভুল মাড়ির ক্ষতি করতে পারে । দীর্ঘদিন এই অবস্থা চলতে থাকলে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷

কেউ কেউ ব্লাড থিনার ব্যবহার করেন । এরফলে মাড়ি থেকে সহজেই রক্ত ​​পড়তে পারে । এছাড়াও যারা অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, অ্যালার্জি এবং রক্তচাপের ওষুধ ব্যবহার করেন তাদের মুখ শুকিয়ে যায় । এগুলিও মাড়ির ক্ষতি করতে পারে ।

দিনে দু'বার ব্রাশ করা ভালো: বিশেষজ্ঞরা জানান, দাঁত ব্রাশ করার সময় যদি আপনার রক্ত ​​পড়ে তবে এটি মাড়ির রোগের প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণ হতে পারে । মুখের মধ্যে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া দাঁতে জমে প্লাকে পরিণত হয় । যদি সঠিকভাবে ব্রাশ না করা হয়, তাহলে মাড়ি ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায় । ফলে এটি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় । তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেওয়া হয় । এটিও বলা হয় দাঁতের মাঝের অংশগুলি একটি পাতলা সুতো দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে ।

ধূমপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপায়ীদের মাড়ির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ । তামাকের রাসায়নিক উপাদান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় । এটি মাড়ির সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হ্রাস করে । এছাড়াও ধূমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মাড়ি দ্রুত সারবে না ৷ বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি দীর্ঘমেয়াদি মাড়ির রোগের কারণ হতে পারে ।

2018 সালে 'জার্নাল অফ পিরিওডন্টোলজি' (Journal of Periodontology)-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, ধূমপায়ীদের মাড়ির রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি । স্পেনের ইউনিভার্সিটি কমপ্লুটেনস ডি মাদ্রিদের পিরিওডন্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ৷

গর্ভাবস্থায়: গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনের প্রভাবে মাড়িতে বেশি রক্ত ​​সরবরাহ হয় । এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মাড়ি ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায় । এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানান, প্লাক সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মাড়িতে বেশি আক্রমণ করতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের সঠিকভাবে ব্রাশ করার এবং মিষ্টি খাওয়া এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । এতে মুখের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায় । তাদের মধ্যে মাড়ি ফুলে যায় । ফলে অনেক সময় ব্রাশ করার সময় রক্ত ​​বের হয় । তাই ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত ৷

অবশেষে খুব জোরে ব্রাশ করা সংবেদনশীল মাড়ির ক্ষতি করতে পারে । অতএব, বিশেষজ্ঞরা নরম ব্রাশ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷

কলকাতা: দাঁত নিয়ে সমস্যার শেষ নেই । অনেকেই দাঁত থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যায় ভোগেন। তার জন্য মুঠোমুঠো ওষুধ খেয়েও দেখেছেন । কিন্তু আদতে লাভের লাভ কিছু হয় না। মাড়ি দিয়ে কেন এভাবে রক্ত ​​পড়ে তা অনেকেই জানেন না । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, জেনে বা না জেনে করা কিছু ভুল মাড়ির ক্ষতি করতে পারে । দীর্ঘদিন এই অবস্থা চলতে থাকলে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷

কেউ কেউ ব্লাড থিনার ব্যবহার করেন । এরফলে মাড়ি থেকে সহজেই রক্ত ​​পড়তে পারে । এছাড়াও যারা অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, অ্যালার্জি এবং রক্তচাপের ওষুধ ব্যবহার করেন তাদের মুখ শুকিয়ে যায় । এগুলিও মাড়ির ক্ষতি করতে পারে ।

দিনে দু'বার ব্রাশ করা ভালো: বিশেষজ্ঞরা জানান, দাঁত ব্রাশ করার সময় যদি আপনার রক্ত ​​পড়ে তবে এটি মাড়ির রোগের প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণ হতে পারে । মুখের মধ্যে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া দাঁতে জমে প্লাকে পরিণত হয় । যদি সঠিকভাবে ব্রাশ না করা হয়, তাহলে মাড়ি ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায় । ফলে এটি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় । তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেওয়া হয় । এটিও বলা হয় দাঁতের মাঝের অংশগুলি একটি পাতলা সুতো দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে ।

ধূমপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপায়ীদের মাড়ির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ । তামাকের রাসায়নিক উপাদান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় । এটি মাড়ির সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হ্রাস করে । এছাড়াও ধূমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মাড়ি দ্রুত সারবে না ৷ বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি দীর্ঘমেয়াদি মাড়ির রোগের কারণ হতে পারে ।

2018 সালে 'জার্নাল অফ পিরিওডন্টোলজি' (Journal of Periodontology)-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, ধূমপায়ীদের মাড়ির রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি । স্পেনের ইউনিভার্সিটি কমপ্লুটেনস ডি মাদ্রিদের পিরিওডন্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ৷

গর্ভাবস্থায়: গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনের প্রভাবে মাড়িতে বেশি রক্ত ​​সরবরাহ হয় । এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মাড়ি ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায় । এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানান, প্লাক সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মাড়িতে বেশি আক্রমণ করতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের সঠিকভাবে ব্রাশ করার এবং মিষ্টি খাওয়া এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । এতে মুখের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায় । তাদের মধ্যে মাড়ি ফুলে যায় । ফলে অনেক সময় ব্রাশ করার সময় রক্ত ​​বের হয় । তাই ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত ৷

অবশেষে খুব জোরে ব্রাশ করা সংবেদনশীল মাড়ির ক্ষতি করতে পারে । অতএব, বিশেষজ্ঞরা নরম ব্রাশ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.