কলকাতা: দেশে ডেঙ্গি জ্বর ছড়ানোর অনেক কারণ রয়েছে ৷ এই নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ তাই এই সময়ে নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন ৷
ডেঙ্গি এডিস (এডিস ইজিপ্টি) মশার কামড়ে ছড়ায় এবং অনেক গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে ৷ সেখানে একই সময়ে অনেক ধরনের ভাইরাস সক্রিয় হতে পারে । ডেঙ্গি জ্বর খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি রোগ ৷ এই রোগটি বর্ষাকালে খুব সাধারণ, কারণ এই মরশুমে আমাদের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে ডেঙ্গি মশা হয় । এই ভাইরাল রোগটি অ্যান্টি-বায়োটিক দ্বারা নিরাময় করা যায় না । জেনে নিন, ডেঙ্গির উপসর্গ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে ৷
ডেঙ্গির অন্যান্য লক্ষণ: খুব বেশি জ্বর তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে (104 ডিগ্রি ফারেনহাইট), মাথাব্যথা, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা গ্রন্থি, ক্লান্তি, খিদে কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব, চোখের ব্যথা ইত্যাদি ৷
এছাড়াও, ডেঙ্গির অবস্থা আরও গুরুতর হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:
ক্লান্তি এবং অস্থিরতা, তীব্র পেটে ব্যথা, বমি হওয়া, অত্যধিক তৃষ্ণা, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, দুর্বলতা, মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া, বমি বা মলে রক্ত, ফ্যাকাশে বা ঠান্ডা ত্বক ইত্যাদি ৷ যদি এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন ৷
অন্যদিকে, ডেঙ্গি থেকে রক্ষা পেতে আমাদের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ?
মশা থেকে রক্ষা পেতে মশারি ব্যবহার করা প্রয়োজন ৷
আপনার শরীর ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরুন ৷
মশা নিরোধক ব্যবহার করুন ৷
বাড়ির আশেপাশে জল জমতে দেবেন না ৷
নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন ৷
ডাক্তারের পরামর্শ
চিকিৎসক ডাঃ রাজা রাও বলেন, "এই রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ৷ বিশেষত এই সময়ে যখন অনেক দেশে ডেঙ্গি বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে ৷"
তিনি জানান, ডেঙ্গি নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকার নেই ৷ তবে অসাবধানতা মারাত্মক হতে পারে । যদিও ডেঙ্গির কোনও সুনির্দিষ্ট নিরাময় নেই ৷ তবে জ্বর নিয়ন্ত্রণে প্যারাসিটামল-সহ তরল গ্রহণ করা যেতে পারে ৷
ডেঙ্গি চিকিৎসার ঘরোয়া প্রতিকার
আপনার বাড়িতে তুলসি গাছ লাগাতে ভুলবেন না । ডেঙ্গি মশা বিভিন্ন ধরনের আছে ।
বাড়ির ভিতরে ও আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেবেন না । মনে রাখবেন ডেঙ্গি মশা বেশিরভাগই পরিষ্কার জলে পাওয়া যায় ।
সকালে এবং সন্ধ্যায় নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করুন । অনেক সময় ডেঙ্গি মশাকে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না কিন্তু এর ডিম জলে থাকে । তাই কীটনাশক ব্যবহার করলে ভালো । এদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি যাতে কীটনাশক শরীরে কোনও ক্ষতি না করে ৷
বাড়িতে মশা নিরোধক ব্যবহার করুন । নিজেকে এবং আপনার সন্তানকে পুরো গ্লাভস পরতে এবং রাতে মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দিন । বিশেষ করে দিনের বেলায় আরও সতর্ক থাকুন । এই সময় বেশি করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলালেবুর রস এবং লেবুর রস খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ এটি হজমে সাহায্য করে ৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যান্টিবডি বাড়ায় যা ক্লান্ত শরীরকে শক্তি দেয় ।
Ref:-https://www.who.int/news-room/fact-sheets/detail/dengue-and-severe-dengue
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য পুষ্টিবিদ-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত মতামত ও প্রচলিত ধারণার উপর ভিত্তি করে লেখা ৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)