আজও পুজোর মেলায় যাই আর অঞ্জলিটা শাশুড়ির সঙ্গেই দিই- তৃণা সাহা
তৃণার কথায়, "মানুষের মধ্যে রেডিয়তে মহালয়া শোনার অভ্যাস কমে গেছে। টিভিতেই বেশি দেখে মানুষ। আমরাও দেখি।"

By ETV Bharat Entertainment Team
Published : September 11, 2025 at 11:46 AM IST
কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: এবার বাংলা টেলিভিশনের মহালয়াতে মা অন্নপূর্ণার রূপে ধরা দেবেন তৃণা সাহা। এমন চরিত্র পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে করেন অভিনেত্রী। মহালয়ার ভোরে অভিনেত্রী তৃণা সাহা হাজির হবেন মা অন্নপূর্ণার ভূমিকায়। এমন এক চরিত্রে অভিনয় করে আপ্লুত তিনি।
অভিনেত্রী বলেন, "এরকম চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি তো ভীষণ এনজয় করেছি। খুব ভালো অভিজ্ঞতা হল এবারেও। এই ধরনের চরিত্র করা খুব সম্মানের। কিন্তু আমি কতটা পেরেছি জানি না। তবে, চেষ্টা করেছি। আমার রিল লাইফের বর শিবের ভূমিকায় ইন্দ্রজিৎ বসু। ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা তো ভালোই। মেক আপ আর্টিস্টরা চেষ্টা করেছেন অন্নপূর্ণার যেমন লুক সেটা নিপূণভাবে ফুটিয়ে তোলার। দেবী অন্নপূর্ণা খুব স্নিগ্ধ, সুন্দর গয়না পরেন। বাকিটার জন্য মহালয়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে।"
তৃণার কাছে ছোট পর্দায় মহালয়ার সেরা দুর্গা কে? তৃণার কথায়, "আবার কে? কোয়েল মল্লিক। শুটিংয়ে আমি তো শুধু কোয়েল দি'কেই দেখছিলাম। কোয়েল দি'র চোখে অদ্ভুত একটা পাওয়ার আছে। ছোট থেকে কোয়েল দি'র সিনেমা তো জাস্ট লুটে নিতাম। আর এখন শো করতে গেলে কোয়েল দি'র হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ গানটাই গাই।"

আজও কি ভোরে মহালয়া শোনা বা দেখা হয়?
অভিনেত্রীর জবাব, "আমি জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি। রেডিয়তে মহালয়া শোনার অভ্যাস আমার বরাবরই আছে। খুব মনে পড়ে, দিদা, দাদু ভোর চারটে বাজলেই রেডিও চালিয়ে দিত। আর বাবা, মা, জ্যাঠা, জেঠি চা খেতে খেতে মহালয়া শুনত আর আমি, ভাই বোনেরা বসে বসে শুনতাম। তখন ওটা অভ্যাসের মধ্যেই ছিল। আজকাল অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। মানুষের মধ্যে রেডিয়তে মহালয়া শোনার অভ্যাস কমে গেছে। টিভিতেই বেশি দেখে মানুষ। আমরাও দেখি। এমনও হয়েছে মহালয়া শোনা আর দেখার পর ঘুমোতে গেছি। ছোটবেলাটা খুব মিস করি।"
তৃণার পুজোর প্ল্যান?
প্ল্যান করব না কোনও এবার পুজোয়। ষষ্ঠী অবধি শুটিং করব। তারপর রেস্ট নেব, পুজো উপভোগ করব যখন যেমন সুবিধা হবে। আর একটা কথা হল, পুজো পরিক্রমা করতে গিয়ে আমাদের অনেক ঠাকুর দেখা হয়ে যায়। আর হয়ত অনেকেই জানেন না, আমি আজও ছোটবেলার মতো পুজোর মেলাতে যাই। পাপড়ি চাট খাই, ফুচকা খাই। এই কটা দিন নো ডায়েট। সব খাই। আর অষ্টমীর অঞ্জলি দিই শাশুড়ির সঙ্গে। আগে মা ঠাম্মির সঙ্গে দিতাম। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গেই যাই অঞ্জলি দিতে। আর দশমীতে সিঁদুর খেলা মাস্ট।

