কলকাতা, 16 এপ্রিল: আদালত বলেছে কারওর কাজে যেন বাধা সৃষ্টি না হয়। তবুও সুদেষ্ণা রায়ের আগামী ছবির শুটিংয়ে হাজির হলেন না টেকনিশিয়ানেরা। 18 এপ্রিল থেকে 'স্বপ্ন হলেও সত্যি' ছবির শুটিং শুরু করার কথা ছিল পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের। তার আগে বুধবার অর্থাৎ 16 এপ্রিল ছিল ছবির সেট এবং ড্রেসিং ঠিক করার দিন। কিন্তু কাজে এলেন না কোনও টেকনিশিয়ান। ওদিকে শুটিং শুরুর ঠিক ছ'দিন আগে কোনও কারণ না দেখিয়েই এই কাজ থেকে সরে পড়েন প্রোডাকশন ম্যানেজার। সরে পড়েছেন আর্ট ডিরেক্টরও। সোশাল মিডিয়ায় লাইভে এসে জানালেন পরিচালক ৷
এই ব্যাপারে সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে ইটিভি ভারতের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি বিধ্বস্ত। কিছু বলার অবস্থাতেই আর নেই। আমি অবাক হয়ে গেলাম যাঁদের সঙ্গে এতকাল কাজ করেছি, যাঁদের সঙ্গে এতদিন ধরে কাজ করতে করতে বড় হয়েছি তাঁরাই আজ এটা করলেন।!" উল্লেখ্য, এর আগে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, শ্রীজিৎ রায়ও এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন ৷ তারও আগে রাহুল মুখোপাধ্যায়। আর এবার পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ও ।
সুদেষ্ণা রায় এদিন আরও জানান, " আমার দীর্ঘ 20 বছরের পুরনো প্রোডাকশন ম্যানেজার শুটিং শুরুর ছ’দিন আগে আচমকা কাজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি যে গিল্ডের সদস্য সেই গিল্ড এবং ফেডারেশনকে ই-মেল করে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানাই। আর এই ই-মেলে আদানপ্রদান হওয়ার মধ্যেই একে একে সরে দাঁড়ান এই ছবির সঙ্গে যুক্ত বাকি টেকনিশিয়ানরাও।" তা হলে কি ডিএইআই সংগঠনের সম্পাদক হওয়ার কারণেই কোপ এসে পড়ল তাঁর উপরেও? প্রশ্ন উঠছে এই নিয়েও।
যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গেও। তিনি বলেন, "শুনেছি সুদেষ্ণা দি একটা লাইভ করেছেন। কিন্তু আমার দেখা হয়নি। আগে দেখে নিই উনি কী বলেছেন। তারপর জানাতে পারব আমার মতামত।"
এদিন লাইভে পরিচালক সুদেষ্ণা বলেন, "কোনও কারণ ছাড়াই কেন সরে পড়লেন বুঝতে পারছি না। কত কাজ আমরা একসঙ্গে করেছি। কেউ নিজেই জানিয়েছেন কাজটা করতে পারবেন না। কেউ বা অন্য কারওর মারফত জানিয়েছেন৷ অথচ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে কারওর কাজে যেন বাঁধা না দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা বাধাপ্রাপ্ত হলাম। একটা প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। প্রযোজক যেটুকু টাকা দিয়েছিলেন সেটাও নষ্ট হল।" এখন এই বিষয়ে স্বরূপ বিশ্বাস কী প্রতিক্রিয়া দেন, শুটিং জট কাটে কি না, দেখা যাক ৷