কলকাতা, 30 এপ্রিল: মা হওয়ার পর ধারাবাহিকে এক কথায় 'গ্র্যান্ড কামব্যাক' হল শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিকের। 5 মে থেকে টিভির পর্দায় 'বুলেট সরোজিনী' ধারাবাহিকে একজন প্রথিতযশা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী তথা ব্যক্তিত্বময়ী এক নারী চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। এই ধারাবাহিক নিয়েই ইটিভি ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ আড্ডা দিলেন অভিনেত্রী। উঠে এল মাতৃত্বের নানা দিক। উঠে এল দীঘার জগন্নাথ ধাম থেকে পুরীতে অনেকদিন না যেতে পারার আফসোসের কথা।...
উল্লেখ্য, সবার চোখ এই মুহূর্তে দিঘার জগন্নাথ ধামের দিকে। সেখানে প্রায় দু'দিন আগে থেকেই হাজির নচিকেতা চক্রবর্তী থেকে দেব, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, অরিন্দম শীল, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিগন্ত বাগচী, লাভলি মৈত্র, ডোনা গাঙ্গুলী, অদিতি মুন্সী। কিন্তু অনুপস্থিত কাঞ্চন মল্লিক ও তাঁর ঘরণী শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিক। কিন্তু কেন?
শ্রীময়ী জানান, "দলকে কাঞ্চন আগেই জানিয়ে দিয়েছে কারণ। আসলে কাঞ্চনদের বাড়িতে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে এয়ো স্ত্রী'দের আলতা, সিঁদুর দেওয়ার রেওয়াজ আছে। এটা আমাদের করতেই হয়। তাই অক্ষয় তৃতীয়ায় আমরা বেরোই কী করে। গত বছর কৃষভি আমার গর্ভে ছিল। এবার ওকে কোলে নিয়ে আমার অক্ষয় তৃতীয়া কাটবে। অনেকদিন পুরীও যাওয়া হয়নি আমার শুটিংয়ের জন্য। ধারাবাহিকে কাজ করলে ছুটি অনেক কমই পাওয়া যায়। তবে, খুব সুন্দর মন্দির হয়েছে শুনলাম দিঘায়। যাবো তো নিশ্চয়ই।"
'বুলেট সরোজিনী' ধারাবাহিকে শ্রীময়ীর এই চরিত্রের লুকের মধ্যে আছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। টিপের কারুকার্য 'কৃষ্ণকলি' ধারাবাহিকেও ছিল, এখানেও আছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "একদিন মেক আপ না তুলে বাড়ি গেছি। মেয়ে এত সাজগোজ, আর এরকম বড় টিপ কপালে দেখে কেঁদে ফেলেছে। ভাবছিল হয়ত, এ আবার কোত্থেকে এল!"
রাগিনী চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রটা কি নেগেটিভ? শ্রীময়ী বলেন, "চরিত্রটা আসলে ধূসর। যার বাইরেটা যতটা কঠিন, ভিতরটা ততটা নয়। তা হলে কেমন? খোলসা করলেন না শ্রীময়ী।
একরত্তি কৃষভিকে দাদু, দিদার কাছে রেখে শুটিংয়ে আসছেন। তাই ফ্লোরে এসে মেয়ের জন্য মন খারাপ হয় তার। আপাদমস্তক সংসারী মানুষ শ্রীময়ী। চারপাশের নিজের মানুষগুলোকে নিয়েই তাঁর জগৎ। কিন্তু অভিনয় তাঁর নেশা এবং পেশাও বটে। তাই বেশিদিন দূরে থাকতে পারেননি তার থেকে। তাই ছোট্ট কৃষভিকে দাদু-দিদার কাছে রেখেই রোজ শুটিংয়ে যান শ্রীময়ী। বাড়ি ফিরে গোটা সময়টা মেয়েকেই দেন। তাঁর কথায়, "14 ঘণ্টা শুটিংয়ে থাকি, বাকি 10 ঘণ্টা বাড়িতে। তারপর যখন ফিরি মেয়ে আমাকে ভাবে অতিথি। তবু কাজটা তো করতেই হবে। মেয়েকেও বড় হয়ে দেখতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত প্রত্যেকটা মেয়ের। জানতে হবে যে রোজগার করতে হবে ওকেও। মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়াটা জরুরি।"