কলকাতা, 17 মে: বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত 'সোনার কেল্লায় যকের ধন' (Sonar Kellay Jawker Dhan)। 30 মে-র অপেক্ষায় এখন দর্শকরা ৷ ট্রেলারও হাজির ইতিমধ্যেই। এদিন ছবি নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick), গৌরব চক্রবর্তী, সুপ্রভাত দাস, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, জ্যামি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছবির সঙ্গীত পরিচালক রথীজিৎ ভট্টাচার্য।
কোয়েল মল্লিক বলেন, "বাঙালি মানেই ভ্রমণ রসিক৷। কুমার (গৌরব) খেতে ভালোবাসে ৷ তাকে অনস্ক্রিন, অফস্ক্রিন দুই জায়গাতেই লেগ পুল করে বিমল (পরমব্রত)। সোনার কেল্লা, জয়সলমির, রাজস্থান, থ্রিলার সব মিলিয়ে 'সোনার কেল্লায় যকের ধন' সকলের দেখার মতো ছবি। আমি 'যকের ধন'-এ ছিলাম না। তবে, 'সাগরদ্বীপে যকের ধন'-এ ছিলাম। প্রথম ছবি থেকেই হিট 'যকের ধন' ফ্রাঞ্চাইজি। আমিও এর অংশ হওয়ায় খুশি। "
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অনুসন্ধানমূলক বা ডিটেক্টিভ থ্রিলার যে হতে পারে সেটা প্রথম দেখিয়েছিল 'সোনার কেল্লা'। ছোটবেলায় দেখা প্রথম বাঙালি ডিটেকটিভ নিঃসন্দেহে ফেলুদা এবং বাংলায় প্রথম ডিটেকটিভ ভিত্তিক ছবি হল 'সোনার কেল্লা'। আমি জয়সলমীর আগেও গিয়েছি। পা দেওয়া মাত্রই ওখানে 'সোনার কেল্লা'র নস্টালজিয়া ফিরে আসে। ওখানে যে এত মানুষ বাংলায় কথা বলেন, তার অন্যতম কারণ হল বহু বাঙালি মানুষ ওখানে যান 'সোনার কেল্লা'র টানে। আর সেই টানে আমরাও গিয়েছি।"
গৌরব চক্রবর্তীর কথায়, "আমি সচরাচর যেসব ছবি করি সেখানে অ্যাকশনের সুযোগ থাকে না৷ পর্দায় যখনই দুষ্টু লোককে মারার একটু সুযোগ হয় দারুণ লাগে। এখানে সেটা হয়েছে। ক্যামেরার সামনে মারপিট করার সুপ্ত বাসনা থাকেই। কিন্তু এই ছবিতে সেটা খুব অর্গানিকভাবে এসেছে৷ এমন নয় যে জোর করে অ্যাকশন সিন আনা হয়েছে। সোনার কেল্লা আমার পছন্দের সেরা তিনটি সিনেমার মধ্যে একটা। আর সেই ছবিকে ট্রিবিউট দিয়ে একটা ছবি তৈরি হচ্ছে, আর সেখানে মুখ্য চরিত্রে পাঠ করাটা নিঃসন্দেহে আনন্দের।" তিনি আরও বলেন, "বাবা যখন দেখবে তখন বলবে ৷ এই ছবিটা নিয়ে এখনও সেভাবে কিছু বলেনি। অপেক্ষা করে আছে বলবে বলে।"
তাঁর কথার রেশ টেনে পরমব্রত বলেন, "বেনু কাকু প্রথম যকের ধনে অভিনয় করেছেন। মানে 2017 সালে যখন হয় প্রথম যকের ধন, তখন মুখ্য খলচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।" ছবিতে 'সোনার কেল্লা'র মুকুলের চরিত্রে সুপ্রভাত দাস। মুকুল এখন মধ্যবয়সি। তিনি বলেন, " এই ছবিতে কাজ করে ভালো তো লেগেছেই। কিন্তু প্রথমে শুনে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। যখন আমাকে বলা হল যে আমাকে মুকুল হিসেবে ভাবা হচ্ছে, আমি ভাবলাম কীভাবে আমি হতে পারি? সে তো কুশল দা করেছেন কত বছর আগে।"
সুপ্রভাত আরও বলেন, "যাই হোক আনন্দ হয়েছে এটা ভেবে যে সত্যজিৎ বাবুর একটা চরিত্র আমি করতে পারছি। দুটো বড় ঘটনা ঘটে গেল আমার জীবনে। এক হল, অঞ্জন দত্তর সঙ্গে 'চালচিত্র এখন' করতে গিয়ে মৃণাল সেনের মহাজন (চালচিত্র এখন-এ নাম পালটে রাখা হয় মাধবন) আর এখানে সত্যজিৎ রায়ের মুকুল। কাজটা ভালো মতো করেছি। সৌগতর লেখা, সায়ন্তনের পরিচালনায় ছবিটা সবার ভালো লাগবে বলে আমি আশাবাদী।"
সাহেব চট্টোপাধ্যায় নিজের চরিত্র সেভাবে খোলসা করেননি এদিন। তিনি বলেন, "ওটা রহস্যই থাক। প্রথমে এক রকম পরে আরেক রকম। খুব ভালো লেগেছে কাজটা করে। অসম্ভব সুন্দর একটা ছবি। তার সঙ্গে রথীজিতের দুর্দান্ত ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর। সব মিলিয়ে দারুণ।" ছবিতে আরাবল্লির এক ডাকাতের ভূমিকায় জ্যামি বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের চরিত্র নিয়ে আশাবাদী তিনি। রথীজিৎ বলেন, "সায়ন্তন আমার সঙ্গে মিউজিক নিয়ে কথা বলতে অনেকবার বসেছে। চেয়েছিলাম যেন নতুন থিম করতে। সাউন্ডটা যেন আবার 2025-এর মতো না হয় ৷ সত্যজিৎ বাবুর সঙ্গে যেন সামঞ্জস্য থাকে। ওই সময়টাকে মাথায় রেখে মিউজিক করেছি। নতুন অভিজ্ঞতা হল আমার।"
ফিরবে 'সোনার কেল্লা'র স্মৃতি, যকের ধনের খোঁজে পরম-কোয়েল, হাজির ট্রেলার