ETV Bharat / entertainment

'ভেবেছিলাম খুঁত ধরব, ট্যানট্রাম দেখানোর সুযোগই দিল না...'- শর্মিলা ঠাকুর - SHARMILA TAGORE ON PURATAWN MOVIE

14 বছর পর বাংলা ছবিতে দেখা মিলল শর্মিলা ঠাকুরের। সুমন ঘোষের ছবিতে গাইলেন গানও ৷

sharmila-tagore-backs-in-bengali-film-puratawn
শর্মিলা ঠাকুর (ইটিভি ভারত/সিনেমার পোস্টার)
author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : April 12, 2025 at 10:09 AM IST

3 Min Read

কলকাতা, 12 এপ্রিল: পরনে ঘিয়ে রঙা সিল্কের শাড়ি। ম্যাচিং ব্লাউজ। লম্বা হার। ছিমছাম সাজ। সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন, ঘর যেন আলোয় আলোকিত। তিনি শর্মিলা ঠাকুর। শুক্রবারই মুক্তি পেল সুমন ঘোষ পরিচালিত বাংলা ছবি 'পুরাতন'। এই ছবির মাধ্যমেই 14 বছর পর বাংলা ছবিতে দেখা মিলল শর্মিলা ঠাকুরের। ছবির মুক্তির জন্য শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও জন্মভূমিতে হাজির হয়েছেন বেগম সাহেবা। ছবির প্রিমিয়ারের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেন শর্মিলা ঠাকুর।

এদিন ইটিভি ভারতের তরফে প্রশ্ন রাখা হয় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ করে কেমন লেগেছে তাঁর? তিনি বলেন, "খুব ভালো লেগেছে। আমি ওঁকে চিনতাম। এর আগে বহু মঞ্চে বহু জায়গায় দেখা হয়েছে ওঁর সঙ্গে। তবে, এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অনুভূতি এই প্রথম। অভিনেত্রী হিসেবে তো ভালোই। সহকর্মী হিসেবেও দারুণ ৷ আর প্রযোজক হিসেবে তো অভিযোগ করার সুযোগই দিল না কোনও। ভেবেছিলাম কিছু না কিছু নিয়ে একটা দুটো খুঁত ধরব। ওঁর এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার শর্মিষ্ঠা তো সুযোগই দিল না কিছু করার (সহাস্যে)। ভেবেছিলাম গাড়িটা নিয়ে একটা অভিযোগ তুলব। সেটাও দেখলাম পারলাম না। ট্যানট্রাম দেখানোর সুযোগই দিল না ঋতু আর ওর টিম।"

এই ছবিতে গানও গেয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর। পরিচালক সুমন ঘোষের অনুরোধে ছবিতে রয়েছে শর্মিলা ঠাকুরের গান ৷ অভিনেত্রী বলেন, " এই বয়সে কেউ গাইলে যেমন গাইতে পারে আমি তেমনই গেয়েছি। আমার বাড়ির উপরে একটা ফ্লাইট পাথ আছে। যতবার গাইছি ততবার একটা করে প্লেন আসছে। তাই গানের অনেকগুলো ক্লিপিংস সুমনকে পাঠাতে হয়েছে, কোনটা ও ছবিতে রাখবে আর কোনটা রাখবে না সেটা দেখে নিতে পারবে। সব মিলিয়ে একটা দুর্দান্ত জার্নি ছিল 'পুরাতন'।"

তিনি যখন হিট ছবি 'ছায়াসূর্য' ছবিতে অভিনয় করেন তখন তাঁর বয়স বড়জোর 18। সালটা 1963। কেরিয়ারের বয়স বড়জোর তিন বছর। ওই সময়েই একাধিক তাবড় তাবড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন। একইসঙ্গে ওই সময়েই তাঁর তুলনায় অনেক বেশি গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী টলিউডে রাজ করছেন। তাঁকে তখন 'ছায়াসূর্য' করার সাহস জুগিয়েছিলেন কে? অভিনেত্রী বলেন, "ছায়াসূর্যর পরিচালক পার্থপ্রতীম চৌধুরী ও তাঁর স্ক্রিপ্ট। এত ভালো স্ক্রিপ্ট ছিল আর এত ভালো করে উনি বুঝিয়েছিলেন যে ভরসা করতে পেরেছিলাম নিজেকে যে কাজটা করতে পারব।"

14 বছর পর নিজের ভাষায় কাজ। কতটা উপভোগ করলেন? অভিনেত্রী বলেন, "সবাই মিলেমিশে একটা সুন্দর কাজ করেছি। একটা ভালো কাজ করেছি। খুব চ্যালেঞ্জিং একটা লোকেশন ছিল। অনেকটা দূর ছিল আমি যেখানে থাকতাম সেখান থেকে। যেতেই প্রায় ঘণ্টা তিনেক লাগত। তখন তো খুব ঠাণ্ডা। ডিসেম্বর মাস। মশাও ছিল খুব। এত সব সত্ত্বেও বলব, দারুণ লেগেছে। নিজের ভাষা বলে কথা। নিজের ভাষা হলে যেটা সুবিধা সেটা হল ভাব প্রকাশটা সাবলীল হয়। আর ইম্প্রোভাইজ করা যায় চট করে। অন্য ভাষায় সেটা সময় লাগে।"

উল্লেখ্য, নন্দনে 'নায়ক' দেখানো হয়েছে সম্প্রতি। আবার 'পুরাতন'ও দেখানো হবে। প্রসঙ্গ তুলতেই খুশি হন শর্মিলা ঠাকুর। বলেন, "আমি কিছুদিন আগেই দেখলাম। কী ভালো একটা ছবি। কী সুন্দর কাজ। কী সুন্দর অভিনয় উত্তম দা'র, সুমিতা সান্যালের। আমারও অভিনয় ছিল। কী সুন্দর ফোটোগ্রাফি। রেস্টোর্ড ছবি। কিন্তু কী অসাধারণ!" পরিবার কতটা খুশি এতদিন পর বাংলা ছবিতে ফেরা নিয়ে?

অভিনেত্রী বলেন, "পরিবার, বন্ধু বান্ধব সবাই খুশি। 'মামি'তে যখন দেখানো হল আমার পরিবার-সহ বন্ধুবান্ধব সবাই এসেছিল দেখতে। ভালো ছবি, তাই সবাই বলেছিল ভালো হয়েছে।" আপনি নাকি আর বাংলা ছবি করবেন না? শর্মিলা ঠাকুর হেসে বলেন, "ইচ্ছা আছে। কিন্তু সমস্যা হল বয়স হচ্ছে। শরীর দেবে না।..."

কলকাতা, 12 এপ্রিল: পরনে ঘিয়ে রঙা সিল্কের শাড়ি। ম্যাচিং ব্লাউজ। লম্বা হার। ছিমছাম সাজ। সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন, ঘর যেন আলোয় আলোকিত। তিনি শর্মিলা ঠাকুর। শুক্রবারই মুক্তি পেল সুমন ঘোষ পরিচালিত বাংলা ছবি 'পুরাতন'। এই ছবির মাধ্যমেই 14 বছর পর বাংলা ছবিতে দেখা মিলল শর্মিলা ঠাকুরের। ছবির মুক্তির জন্য শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও জন্মভূমিতে হাজির হয়েছেন বেগম সাহেবা। ছবির প্রিমিয়ারের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেন শর্মিলা ঠাকুর।

এদিন ইটিভি ভারতের তরফে প্রশ্ন রাখা হয় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ করে কেমন লেগেছে তাঁর? তিনি বলেন, "খুব ভালো লেগেছে। আমি ওঁকে চিনতাম। এর আগে বহু মঞ্চে বহু জায়গায় দেখা হয়েছে ওঁর সঙ্গে। তবে, এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অনুভূতি এই প্রথম। অভিনেত্রী হিসেবে তো ভালোই। সহকর্মী হিসেবেও দারুণ ৷ আর প্রযোজক হিসেবে তো অভিযোগ করার সুযোগই দিল না কোনও। ভেবেছিলাম কিছু না কিছু নিয়ে একটা দুটো খুঁত ধরব। ওঁর এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার শর্মিষ্ঠা তো সুযোগই দিল না কিছু করার (সহাস্যে)। ভেবেছিলাম গাড়িটা নিয়ে একটা অভিযোগ তুলব। সেটাও দেখলাম পারলাম না। ট্যানট্রাম দেখানোর সুযোগই দিল না ঋতু আর ওর টিম।"

এই ছবিতে গানও গেয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর। পরিচালক সুমন ঘোষের অনুরোধে ছবিতে রয়েছে শর্মিলা ঠাকুরের গান ৷ অভিনেত্রী বলেন, " এই বয়সে কেউ গাইলে যেমন গাইতে পারে আমি তেমনই গেয়েছি। আমার বাড়ির উপরে একটা ফ্লাইট পাথ আছে। যতবার গাইছি ততবার একটা করে প্লেন আসছে। তাই গানের অনেকগুলো ক্লিপিংস সুমনকে পাঠাতে হয়েছে, কোনটা ও ছবিতে রাখবে আর কোনটা রাখবে না সেটা দেখে নিতে পারবে। সব মিলিয়ে একটা দুর্দান্ত জার্নি ছিল 'পুরাতন'।"

তিনি যখন হিট ছবি 'ছায়াসূর্য' ছবিতে অভিনয় করেন তখন তাঁর বয়স বড়জোর 18। সালটা 1963। কেরিয়ারের বয়স বড়জোর তিন বছর। ওই সময়েই একাধিক তাবড় তাবড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন। একইসঙ্গে ওই সময়েই তাঁর তুলনায় অনেক বেশি গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী টলিউডে রাজ করছেন। তাঁকে তখন 'ছায়াসূর্য' করার সাহস জুগিয়েছিলেন কে? অভিনেত্রী বলেন, "ছায়াসূর্যর পরিচালক পার্থপ্রতীম চৌধুরী ও তাঁর স্ক্রিপ্ট। এত ভালো স্ক্রিপ্ট ছিল আর এত ভালো করে উনি বুঝিয়েছিলেন যে ভরসা করতে পেরেছিলাম নিজেকে যে কাজটা করতে পারব।"

14 বছর পর নিজের ভাষায় কাজ। কতটা উপভোগ করলেন? অভিনেত্রী বলেন, "সবাই মিলেমিশে একটা সুন্দর কাজ করেছি। একটা ভালো কাজ করেছি। খুব চ্যালেঞ্জিং একটা লোকেশন ছিল। অনেকটা দূর ছিল আমি যেখানে থাকতাম সেখান থেকে। যেতেই প্রায় ঘণ্টা তিনেক লাগত। তখন তো খুব ঠাণ্ডা। ডিসেম্বর মাস। মশাও ছিল খুব। এত সব সত্ত্বেও বলব, দারুণ লেগেছে। নিজের ভাষা বলে কথা। নিজের ভাষা হলে যেটা সুবিধা সেটা হল ভাব প্রকাশটা সাবলীল হয়। আর ইম্প্রোভাইজ করা যায় চট করে। অন্য ভাষায় সেটা সময় লাগে।"

উল্লেখ্য, নন্দনে 'নায়ক' দেখানো হয়েছে সম্প্রতি। আবার 'পুরাতন'ও দেখানো হবে। প্রসঙ্গ তুলতেই খুশি হন শর্মিলা ঠাকুর। বলেন, "আমি কিছুদিন আগেই দেখলাম। কী ভালো একটা ছবি। কী সুন্দর কাজ। কী সুন্দর অভিনয় উত্তম দা'র, সুমিতা সান্যালের। আমারও অভিনয় ছিল। কী সুন্দর ফোটোগ্রাফি। রেস্টোর্ড ছবি। কিন্তু কী অসাধারণ!" পরিবার কতটা খুশি এতদিন পর বাংলা ছবিতে ফেরা নিয়ে?

অভিনেত্রী বলেন, "পরিবার, বন্ধু বান্ধব সবাই খুশি। 'মামি'তে যখন দেখানো হল আমার পরিবার-সহ বন্ধুবান্ধব সবাই এসেছিল দেখতে। ভালো ছবি, তাই সবাই বলেছিল ভালো হয়েছে।" আপনি নাকি আর বাংলা ছবি করবেন না? শর্মিলা ঠাকুর হেসে বলেন, "ইচ্ছা আছে। কিন্তু সমস্যা হল বয়স হচ্ছে। শরীর দেবে না।..."

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.