ETV Bharat / entertainment

বাংলা ছবিতে 'ফেরা' সঞ্জয় মিশ্রার, সঙ্গে ঋত্বিক-সোহিনী - SANJAY MISHRA IN BENGALI CINEMA

'ফেরা' হতে চলেছে এক গভীর আবেগপ্রবণ ও মননশীল সিনেমাটিক জার্নি এমনটাই দাবি নির্মাতাদের।

sanjay-mishra-set-to-make-his-debut-in-bengali-cinema-phera-with-ritwick-chakraborty-sohini-sarkar
বাংলা ছবিতে ফেরা সঞ্জয় মিশ্রার (Special Arrangement)
author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : June 7, 2025 at 10:10 AM IST

3 Min Read

কলকাতা, 7 জুন: প্রথমবার বাংলা ছবিতে দেখা যাবে বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রাকে (Sanjay Mishra) ৷ অসাধ্য সাধন করেছেন পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী ৷ তাঁর পরিচালনায় আসছে নতুন বাংলা ছবি 'ফেরা'। প্রযোজনায় প্রদীপ কুমার নন্দী। সঞ্জয় মিশ্রার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার। সঙ্গীত পরিচালনায় অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। দক্ষ অভিনেতা এবং হৃদয়স্পর্শী কাহিনির মিশেলে 'ফেরা' হতে চলেছে এক গভীর আবেগপ্রবণ ও মননশীল সিনেমাটিক জার্নি এমনটাই দাবি নির্মাতাদের।

জীবনের প্রথম বাংলা ছবি নিয়ে সঞ্জয় মিশ্র বলেন, "বাংলা একটা মধুর ভাষা ৷ এই বাংলার মাটিতেই জন্ম নিয়েছেন সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের মতো পরিচালকেরা। নন্দী মুভিজ এবং পৃথা চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করে আমি সমৃদ্ধ হলাম। এই ইন্ডাস্ট্রির আরও প্রতিভাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই আগামী দিনে। আমি আশাবাদী এই ছবির গল্প সকলের ভালো লাগবে।"

ছবি প্রসঙ্গে ঋত্বিক চক্রবর্তী বলেন, "ফেরা ছবির অংশ হতে পেরে আমি ভীষণ উৎসাহিত। পৃথা যেভাবে ভাবেন এবং তাঁর গল্পগুলোকে পর্দায় তুলে ধরেন — সেই সংবেদনশীলতা আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গির আমি সবসময়ই প্রশংসা করেছি। কিংবদন্তি অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা আমার কাছে এক বিরাট সম্মানের বিষয়, আমি ভীষণভাবে মুখিয়ে আছি।"

সোহিনী সরকারের কথায়, “ফেরায় আমার চরিত্রটি যদিও সংক্ষিপ্ত, তবে গল্পের প্রেক্ষিতে এর গভীর প্রভাব রয়েছে। অনেক সময় চরিত্রের দৈর্ঘের চেয়ে প্রভাবটাই বড় হয়ে ওঠে। এই সিনেমাটির অংশ হতে পেরে আমি খুবই খুশি।"

গল্পের প্রেক্ষাপট

গল্পের দিকে তাকালে দেখা যায়, সব সম্পর্কের ভাষা উচ্চারণে প্রকাশ পায় না। কিছু অনুভব শুধু নীরবতার ভিতরেই বাঁচে। পান্নালাল, এককালের ফুটবল খেলোয়াড়। আজ অবসরপ্রাপ্ত। একা থাকে মফস্বলের পুরনো বাড়িতে । তার ছেলে পলাশ, শহরের এক কর্পোরেট কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজার। রোজ লড়ছে চাকরি বাঁচিয়ে চলার জন্য। জীবনের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুই পুরুষ আকস্মিক এক ঘটনার কারণে এসে পড়ে এক ছাদের তলায়।

'ফেরা' কোনও দ্বন্দ্বের গল্প নয়। এ এক নীরব সহাবস্থানের ছবি-যেখানে কথা কম, অস্বস্তি বেশি। তবু একটা বোঝাপড়া ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। এই গল্প জিজ্ঞেস করে- সাফল্য মানে ঠিক কী? পরিচালক পৃথা বলেন, "ফেরা এমন এক গল্প, যেটা বড় করে কিছু বলে না ৷ বরং যেটা বলা হয় না, তাকেই জায়গা দেয়। এই ছবি আমার কাছে অনেকটা নিজের ভিতরে ফিরে তাকানোর চেষ্টা। আমার নিজের বড় হয়ে ওঠা যেহেতু মফস্বলের ছোট্ট শহরে, তাই এই ছবির প্রতিটা চরিত্রকেই আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি এবং খানিকটা বেঁচেছি। মফস্বল ছেড়ে বড় শহরের রোজনামচাতে বহুবার মনে হয়েছে আমরা কতটা ছুটছি, কেন ছুটছি, আর সেই দৌড়ের শেষে আদৌ কিছু বদলায় কি না-এই সব প্রশ্ন।"

প্রদীপ কুমার নন্দী বলেন, "ফেরা আমাদের একটি বিশেষ প্রচেষ্টা । প্রথিতযশা অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্র তাঁর প্রথম বাংলা ফিচার ফিল্মের যাত্রা শুরু করছেন আমাদের ব্যানারে এবং এই ছবির পরিচালনায় রয়েছেন পৃথা চক্রবর্তী এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।"

কলকাতা, 7 জুন: প্রথমবার বাংলা ছবিতে দেখা যাবে বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রাকে (Sanjay Mishra) ৷ অসাধ্য সাধন করেছেন পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী ৷ তাঁর পরিচালনায় আসছে নতুন বাংলা ছবি 'ফেরা'। প্রযোজনায় প্রদীপ কুমার নন্দী। সঞ্জয় মিশ্রার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার। সঙ্গীত পরিচালনায় অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। দক্ষ অভিনেতা এবং হৃদয়স্পর্শী কাহিনির মিশেলে 'ফেরা' হতে চলেছে এক গভীর আবেগপ্রবণ ও মননশীল সিনেমাটিক জার্নি এমনটাই দাবি নির্মাতাদের।

জীবনের প্রথম বাংলা ছবি নিয়ে সঞ্জয় মিশ্র বলেন, "বাংলা একটা মধুর ভাষা ৷ এই বাংলার মাটিতেই জন্ম নিয়েছেন সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের মতো পরিচালকেরা। নন্দী মুভিজ এবং পৃথা চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করে আমি সমৃদ্ধ হলাম। এই ইন্ডাস্ট্রির আরও প্রতিভাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই আগামী দিনে। আমি আশাবাদী এই ছবির গল্প সকলের ভালো লাগবে।"

ছবি প্রসঙ্গে ঋত্বিক চক্রবর্তী বলেন, "ফেরা ছবির অংশ হতে পেরে আমি ভীষণ উৎসাহিত। পৃথা যেভাবে ভাবেন এবং তাঁর গল্পগুলোকে পর্দায় তুলে ধরেন — সেই সংবেদনশীলতা আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গির আমি সবসময়ই প্রশংসা করেছি। কিংবদন্তি অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা আমার কাছে এক বিরাট সম্মানের বিষয়, আমি ভীষণভাবে মুখিয়ে আছি।"

সোহিনী সরকারের কথায়, “ফেরায় আমার চরিত্রটি যদিও সংক্ষিপ্ত, তবে গল্পের প্রেক্ষিতে এর গভীর প্রভাব রয়েছে। অনেক সময় চরিত্রের দৈর্ঘের চেয়ে প্রভাবটাই বড় হয়ে ওঠে। এই সিনেমাটির অংশ হতে পেরে আমি খুবই খুশি।"

গল্পের প্রেক্ষাপট

গল্পের দিকে তাকালে দেখা যায়, সব সম্পর্কের ভাষা উচ্চারণে প্রকাশ পায় না। কিছু অনুভব শুধু নীরবতার ভিতরেই বাঁচে। পান্নালাল, এককালের ফুটবল খেলোয়াড়। আজ অবসরপ্রাপ্ত। একা থাকে মফস্বলের পুরনো বাড়িতে । তার ছেলে পলাশ, শহরের এক কর্পোরেট কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজার। রোজ লড়ছে চাকরি বাঁচিয়ে চলার জন্য। জীবনের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুই পুরুষ আকস্মিক এক ঘটনার কারণে এসে পড়ে এক ছাদের তলায়।

'ফেরা' কোনও দ্বন্দ্বের গল্প নয়। এ এক নীরব সহাবস্থানের ছবি-যেখানে কথা কম, অস্বস্তি বেশি। তবু একটা বোঝাপড়া ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। এই গল্প জিজ্ঞেস করে- সাফল্য মানে ঠিক কী? পরিচালক পৃথা বলেন, "ফেরা এমন এক গল্প, যেটা বড় করে কিছু বলে না ৷ বরং যেটা বলা হয় না, তাকেই জায়গা দেয়। এই ছবি আমার কাছে অনেকটা নিজের ভিতরে ফিরে তাকানোর চেষ্টা। আমার নিজের বড় হয়ে ওঠা যেহেতু মফস্বলের ছোট্ট শহরে, তাই এই ছবির প্রতিটা চরিত্রকেই আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি এবং খানিকটা বেঁচেছি। মফস্বল ছেড়ে বড় শহরের রোজনামচাতে বহুবার মনে হয়েছে আমরা কতটা ছুটছি, কেন ছুটছি, আর সেই দৌড়ের শেষে আদৌ কিছু বদলায় কি না-এই সব প্রশ্ন।"

প্রদীপ কুমার নন্দী বলেন, "ফেরা আমাদের একটি বিশেষ প্রচেষ্টা । প্রথিতযশা অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্র তাঁর প্রথম বাংলা ফিচার ফিল্মের যাত্রা শুরু করছেন আমাদের ব্যানারে এবং এই ছবির পরিচালনায় রয়েছেন পৃথা চক্রবর্তী এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.