কলকাতা, 9 জুন: ফের শুটিংয়ে জট টলিপাড়ায় ৷ শুটিং করতে পারলেন না পরিচালক কিংশুক দে। সোমবার তাঁর আসন্ন বাংলা ছবি 'হ্যারি ওম'-এর শুটিং ছিল বাঘাযতীনের কাছে বিদ্যাসাগর কলোনিতে। কিন্তু এলেন না কোনও টেকনিশিয়ান। তাই শুটিংয়ের কাজ বন্ধ রাখতে হল কিংশুককে।
ইটিভি ভারত যোগাযোগ করে পরিচালক কিংশুক দে'র সঙ্গে। কিংশুক বলেন, "এর আগেও আমার শুটিং বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেটা 21 এপ্রিলের ঘটনা। অর্থাৎ যখন সুদেষ্ণা দির শুটিং আটকে দেওয়া হয়, তখন আমারটাও আটকে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আমি নিজের মতো করে আবার কাজ শুরু করি। কিন্তু সেখানেও বাধা পাই। ফের আটকে যায় শুটিং। শুটিং চলাকালীন কিছু লোক ফেডারেশন থেকে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আমাদের কাজে। তারা তাদের মেম্বারকে খোঁজার জন্য এসেছিল। কিন্তু তখন অলরেডি হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছিল যে কারওর শুটিংয়ে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। তা সত্তেও আমরা বাধাপ্রাপ্ত হই। হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছিল যদি আবারও আমাদের বাধা দেওয়া হয় তাহলে যেন আমরা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে জানাই। আমরা জানাব তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে।"
কিংশুক আরও বলেন, "আজ শুটিংয়ের কথা আমি কলাকুশলীদের সব ডিপার্টমেন্টের এইচও ডি'দের জানাই। কিন্তু তাঁরা কোনও সাড়া দেননি আমাকে। আমাদের শুটিং ছিল বাঘাযতীনের কাছে বিদ্যাসাগর কলোনিতে।" এদিন কিংশুকের পাশে এসে দাঁড়ান অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী।
অনির্বাণের কথায়, "সবাই সবটা জানে। টেকিনিশিয়ান ভাইয়েরা গত এক বছর ধরে আমাদের অনেকের সঙ্গে কাজ করতে আসছেন না। এটা চলছে গত বছর জুলাই মাস থেকে। আমরা কয়েকটা বেসিক প্রশ্ন রেখেছি। আর তার জন্য আমরা অপরাধী হয়েছি। সেই অপরাধ থেকেই মুক্তি ঘটছে না আমাদের। আগে তো তার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হই। তারপরে না হয় নাগরিক বা অভিনেতা বা পরিচালক হিসেবে কিছু দাবি করব।"
অনির্বাণ আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছিলেন গত বছর। সেটা এখনও গড়ে ওঠেনি।" কিংশুকের এই ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল সৌম্য মুখোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু-সহ আরও অনেকের। কবে আবার জট কাটিয়ে এই ছবির শুটিং শুরু হয় নজর থাকবে সেদিকে।