কলকাতা, 7 এপ্রিল: "যারা খুব নির্লজ্জ শান্তিতে তারাই আছে..." 'লজ্জা 2' (Lojja 2) নিয়ে আড্ডা দিতে বসে এই কথাই বলছিলেন জয়া থুড়ি প্রিয়াঙ্কা সরকার। হইচইয়ের 'লজ্জা' দর্শকের মনে অনেক প্রশ্ন তোলে, সামাজিক মাধ্যমে জয়ার স্বামীকে অনেক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়।
যদিও সেটাই প্রাপ্তি একজন অভিনেতার জীবনে। জয়াকে সে প্রতিনিয়ত মৌখিক নির্যাতন করে। অথচ 'মৌখিক নির্যাতন' কাকে বলে, সেটা খায় না মাথায় দেয় সেটাই জানে না সে।
অদিতি রায় পরিচালিত 'লজ্জা 2'-তে নিজেই বলে সেই কথা। 'লজ্জা'র পরে 'লজ্জা 2'তে জয়া অনেক সাহসী, প্রতিবাদী। প্রিয়াঙ্কার কথায়, 'লজ্জা 2' ভীষণভাবে বাস্তব সম্বলিত। স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই জয়ার পথের পথিক। মুখ খুলতে হবে। মুখ বন্ধ রাখলে চলবে না। খারাপ কাজ যে বা যারা করছে, যারা খারাপ কথা বলছে আসলে ওরাই নির্লজ্জ। যাকে বলছে সে নয়।
এই সিরিজে এমন সব শব্দের ব্যবহার আছে যা আমদর্শক পছন্দ করবে তেমনটা নয়। এই প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, "লজ্জা সবাই ভালোবেসেছে। আশা রাখি এই সিজনও সবাই ভালোবাসবে। আর পড়ে রইল সিরিজে ব্যবহৃত গালিগালাজের কথা। এটা এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। একটা বয়সের পরেও মানুষের বোধ হয় না যে এই ধরনের কথাগুলো যাকে বলছে তার কেমন লাগছে। বোধের অভাব অধিকাংশের মধ্যে। আমরা সেটাই দেখাতে চেয়েছি।"
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, "সবসময় মুখচোরা থাকলে চলবে না ৷ তা হলে সবাই তোমাকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ভেবে ফেলবে। চুপ থাকা মানেই উল্টোদিকের মানুষটার সব কথায় মান্যতা দিচ্ছি তেমনটা তো নয়। সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে। আমাদের এবারের গল্প সংসারের দরজা খুলে বাইরে পা বাড়িয়েছে। গোটা সমাজে ঢুকে গিয়েছে গল্প। আমাদের সমাজ আজও ভাবে মনোবিদের কাছে যাওয়া মানেই রোগী পাগল। জয়াও মনোবিদের কাছে যায়। বাকিটা তো আছেই লজ্জা 2-এ।"