কলকাতা, 11 এপ্রিল: খড়গপুরের চাঙ্গুয়ালে বাড়ি। ছোট্ট মাটির ঘরে বাবার কাছে ছোট থেকেই গান শেখা শুভজিতের। একটু বড় হতেই মায়ের সঙ্গে পানের দোকানেও বসত ছেলেটা। পাশাপাশি লেখাপড়া আর গান শেখাও ছিল বহাল। এরপর একদিন 'সুপার সিঙ্গার সিজন 3'-র মঞ্চে জায়গা করে নেওয়া।
চূড়ান্ত পর্ব অবধি মঞ্চে টিকে ছিলেন শুভজিৎ। মন জয় করেন দর্শকের। এবার সেরার সাফল্য এল ঘরে। ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নিজের রাজ্যে ফিরেছেন শুভজিৎ চক্রবর্তী। এহেন শুভজিৎ ইন্ডিয়ান আইডলে যাওয়া এবং টিকে থাকার লড়াইয়ের কাহিনি ভাগ করে নিল ইটিভি ভারতের সঙ্গে।
শুভজিৎ বলেন, "সকলের কাছ থেকে খুব ভালোবাসা পেয়েছি। এই কদিনে সবাই একটা পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। নিজের সঙ্গেই ছিল নিজের লড়াই। অন্যের গানে আমরা সবাই হাততালি দিতাম। এভাবেই কেটেছিল দিনগুলো। শ্রেয়া দি ছিলেন মায়ের মতো। অফস্ক্রিনে বাংলা ছাড়া কথাই বলতেন না। আর কোনওদিন খারাপ গাইলে বলতেন, "এটা ভালো হয়েছে। তবে, তুই আরও ভালো গাইতে পারিস।..."

কী বলছে খড়্গপুরের প্রতিবেশীরা? শুভজিৎ বলেন, "একটু বেশিই ভালোবাসছেন। যাঁরা অতটা গুরুত্ব দিতেন না তাঁরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন। যাঁরা ভাবতেন গান গেয়ে কিছু হবে না তাঁরা আশ্বস্ত হলেন। আমাকে নিয়ে অনেকে গর্বও করছেন।" শুভজিৎদের পানের দোকান আছে খড়গপুরে। শুভজিৎ ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে গিয়েও পান বানিয়েছেন। সকলকে টেস্ট করিয়েছেন ৷ সেখানে মা আর ছেলে মিলে পালা করে বসতেন। কোনওদিন গানের পাশাপাশি অন্য পেশার দরকার হলে পানের দোকানই পেশার স্থল থাকবে বলে জানিয়েছেন শুভজিৎ। আগামী দিনে প্লেব্যাক সিঙ্গার হতে চান শুভজিৎ।
নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে চান সাধনার মাধ্যমে। পাশাপাশি নিজের মাটির বাড়িটাকে পাকা করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে শুভজিতের উদ্যোগে। শোনা যায় রিয়েলিটি শো মানেই স্ক্রিপ্ট মেনে শট। সত্যিই কি? শুভজিৎ বলেন, "না। কিছু কিছু জিনিস স্ক্রিপ্ট মেনে হলেও বেশিটাই নয়। সবটাই স্বাভাবিক ঘটনা।" প্রসঙ্গত, শুভজিতের গানের সঙ্গী সুকন্যা সিনহা। সুপার সিঙ্গারের মঞ্চ থেকে ওঁদের আলাপ। শুভজিতের ভালো মন্দের ছায়াসঙ্গী সুকন্যা। গান শেখেন একসঙ্গে। একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েছেন তাঁরা।