কলকাতা, 23 এপ্রিল: "মনটা ভালো নেই। কাশ্মীরের বন্ধুরা ভেঙে পড়েছে। তবে, এই কাশ্মীরকে আগে দেখেনি কেউ।" মঙ্গলবার কাশ্মীরে জেহাদিদের হত্যালীলার প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানালেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
কী দোষ ছিল সদ্য বিবাহিত দম্পতির হানিমুনে যাওয়ার মধ্যে? কোথায় অপরাধ ছিল বৈষ্ণবঘাটার বিতান অধিকারীর নৈহাটির বড়মাকে পুজো দিয়ে পরিবার নিয়ে কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে যাওয়ার মধ্যে? বেড়াতে গিয়ে সবটা বুঝে ওঠার আগেই জঙ্গিদের গুলিতে কেন ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন আরও কয়েকজন?... ভূস্বর্গ কাশ্মীরের চেহারা দেখলে রাগ, দুঃখ, যন্ত্রণা, ক্ষোভ একসঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে ৷
এমন কাশ্মীর কেউ আগে কখনও দেখেনি কেন বললেন বাংলার অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়? আসলে কাশ্মীরে তাঁর নিত্য যাতায়াত। অভিনেতা বলেন, "কাশ্মীরে আমার কত বন্ধুবান্ধব। এই কাশ্মীরকে আগে কেউ দেখেনি। আমরা 1990-এর ঘটনাও জানি, কী হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে। এটা কিন্তু 2025। ভারত সরকার এখন কিন্তু আর মেনে নেবে না এটাকে। ওরা পারলে পাতাল থেকে খুঁড়ে বের করে জেহাদিদের মারবে। আর আজকের কাশ্মীর অনেক পাল্টে গেছে। ওখানকার যুবদল রাস্তায় নেমে র্যালি করেছে মঙ্গলবার রাতে। স্লোগান দিচ্ছে 'কাতিলোকো পানিশমেন্ট চাহিয়ে'। পর্যটকদের অন্যায়ভাবে গুলি করার প্রতিবাদে মোম হাতে রাস্তায় নেমেছে আমার কাশ্মীরি ভাইয়েরা। এই কাশ্মীরকে কেউ আগে দেখেনি।..."
তিনি আরও বলেন, "আমার মনটা আজ খুব খারাপ। যখন থেকে খবরটা পেয়েছি অনেক বন্ধুর সঙ্গে কথা হয়েছে। বন্ধুরাও ভেঙে পড়েছে খুব। জেহাদিরা এগুলো ইচ্ছে করে করছে। যেহেতু কাশ্মীর আবার নতুন করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেন হয়েছে, ওখানে সিনেমার প্রিমিয়ার হচ্ছে, সিনেমা হল হয়েছে, ট্যুরিজম বিরাট আকারে চলছে এটাকে বন্ধ করার জন্য জেহাদিরা আবার উঠে পড়ে লেগেছে। এবং এতে ক্ষতি কাদের হবে? কাশ্মীরিদের। আমার বন্ধুরা বলছে, আমরা সবাই তো ট্যুরিজমের উপর নির্ভরশীল। তাই সবার আগে তো পেটে লাথিটা আমাদের উপরেই পড়বে। আবার এখানে কার্ফু হবে, রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে ৷ সবকিছুর ক্ষতি হবে আবার।"
প্রসঙ্গত,অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় প্রায়ই যান কাশ্মীরে। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন তাঁর কাশ্মীরি বন্ধুরা। তাঁদের জন্য আজ বেজায় চিন্তিত অভিনেতা।"