কলকাতা, 28 এপ্রিল: অভিনেতা ঈশান মজুমদারের কণ্ঠে বাংলা বছরের শুরুতেই হাজির নতুন বাংলা গান। 'ষোলো আনা বাঙালিয়ানা'। সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে এখন সারাবছরই গান আসছে আবার চলেও যাচ্ছে। অপেক্ষার অবকাশ কম। কিছু মনে দাগ কাটছে, কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ঈশানের গান নস্টালজিক করে তুলবে শ্রোতাদের ৷
ফুচকার স্বাদ থেকে শুরু করে কফি হাউসের বৌদ্ধিক পরিবেশ, দুর্গাপুজোর ভিড়, ভাসান, অঞ্জলি থেকে হালকা ঝাড়ি সবই মিস করে তারা যারা কলকাতার বাইরে থাকে। আবার ভিনদেশে বাঙালিরা একজোট হলে মনে করে যেন একটুকরো বাংলাকে পেয়ে গেছে তারা। তাদের জন্যই এবার একটা জমজমাট গান নিয়ে হাজির হয়েছেন অভিনেতা ঈশান মজুমদার। যে গানে লুকিয়ে আছে শৈশব, কৈশোর কারওর বা যৌবনেরও নস্ট্যালজিয়া। গানটি লিখেছেন ঈশান স্বয়ং। কণ্ঠও তাঁরই। ভিডয়োতে দেখা গিয়েছে ঈশান, পিকলু, আয়ানদীপ এবং সুরজিৎকে।
ঈশান বলেন, "আমি দীর্ঘকাল কলকাতার বাইরে কাটিয়েছি। পড়াশোনার সূত্রে, চাকরির সূত্রে। তারপর দীর্ঘ সময়ের পরে কলকাতা ফিরেছিলাম 2016 সালে। কলকাতার টানে, মা বাবার টানে এবং আমার পাড়ার টানে। ষোলো আনা বাঙালিয়ানা সেই বাঙালিদের গান যারা নিজেদের ভিটে ছেড়ে দেশের বাইরে কিংবা বাংলার বাইরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বাঙালি বলে আমাদের গর্ব বোধ করিয়েছেন। এই গানটি আমার বেঙ্গালুরুতে থাকতে লেখা। এখনও আমার অনেক প্রবাসী বন্ধুরা ভারতের ও পৃথিবীর বিভিন্ন কোণে আছেন। তাই আমার বিশ্বাস যে এই গানটা তাঁদের সবার গান।"
ঈশান আরও বলেন, "এখনও বিদেশে রেস কোর্স দেখলে ভিক্টোরিয়াকে আমরা মিস করি | এখনও বেঙ্গালুরুর ব্রিগেড রোড, ইউএসএর টাইমস স্কোয়ার বা ইউকের পিকাডিলই সার্কাস দেখলে মনটা কেন যেন পার্ক স্ট্রিট-পার্ক স্ট্রিট করে । মনটা চলে যায় চেলো কাবাব বা ওলি পাবে বা ফ্লুরিজ-এ।..." ঈশান বলেন, " আমরাই পারি এবং আমাদের ভালোবেসে এগিয়ে আসে নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধানের মানুষেরা। আপনারা বেঙ্গালুরু বা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে থাকুন না কেন এই গানটা আপনাদের গান। কলকাতাকে মিস করার গান। ষোলো আনা বাঙালির গান।"
প্রসঙ্গত, অভিনয়, গানের পাশাপাশি ঈশান সুলেখকও বটে। সম্প্রতি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কমিকস বই 'গোয়েন্দা গোগো ও ঘোঁতনপুরের ভূত' এবং 'ডিটেকটিভ গোগো অ্যান্ড দ্য ঘোউলস অফ ঘোঁতনপুর'।