ওয়াশিংটন, 16 এপ্রিল: শুল্ক নিয়ে সামঝোতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে চিনকে ৷ বোয়িং চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্য়েই চিনকে উদ্দেশ্য করে এমনটাই জানাল মার্কিন প্রশাসন ৷ মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্য়ারোলিন লেভিট বলেন, "এবার আমাদের সঙ্গে চুক্তির জন্য চিনকেই এগিয়ে আসতে হবে ৷ এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের কিছু করার নেই ৷ বল এখন চিনের কোর্টে ৷" তিনি আরও বলেন, "আকারে বড় হলেও বিশ্বের বাকি দেশগুলির সঙ্গে চিনের কোনও পার্থক্য নেই ৷" সুতরাং, বেজিংয়ের উপর শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও ছাড় দেওয়া হবে না, তা আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন মার্কিন প্রেস সচিব ৷
নতুন শুল্কনীতির আওতায় চিনা পণ্যের উপর 145 শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা ৷ এরপর দুই দেশের মধ্য়ে শুল্ক যুদ্ধ আরও প্রকোট হয়ে ওঠে ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় বেজিং ৷ এই আবহে, আমেরিকার কাছ থেকে বিমান নির্মাণে আর কোনও বরাত নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় চিনের তরফে ৷ সূত্রের খবর, একাধিক অসামরিক বিমান নির্মাণ সংস্থাকে এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয় সরকারের তরফে ৷
চিনের এই সিদ্ধান্তকে মোটেই ভালোভাবে নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ ওভাল অফিসের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, বোয়িং চুক্তি থেকে বেড়িয়ে এসেছে চিন ৷ সুতরাং, সামঝোতার জন্য এবার তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে ৷ মঙ্গলবার সেই একই কথা জানান ট্রাম্প সরকারের প্রেস সচিব ৷
চিনের উপর সর্বজনীন মোট 145 শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প সরকার । এরপর মার্কিন পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক বৃদ্ধি করে বেজিং ৷ আগে শুল্ক বাড়িয়ে 84 শতাংশ করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ৷ তারপর আমেরিকা শুল্ক বৃদ্ধি করায় ফের শুল্ক বাড়িয়ে 125 শতাংশ করে বেজিং ৷