নয়াদিল্লি, 11 অগস্ট: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বছর দেড়েক আগে শেয়ারবাজারের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় আদানির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিল ৷ এখন সেই অভিযোগের জালে ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি (SEBI)-এর নামও জড়িয়ে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংস্থা । হিন্ডেনবার্গের উল্লেখিত আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত আদানি গ্রুপের একটি কোম্পানিতে সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচের অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয়েছে মার্কিন সংস্থার রিপোর্টে । যদিও, হিন্ডেনবার্গের করা এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাধবী পুরি বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচ ৷
রবিবার সকালে বিবৃতি দিয়ে মাধবী পুরি বুচ এবং ধবল বুচ বলেছেন, "এটি দুর্ভাগ্যজনক যে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বিরুদ্ধে সেবি তদন্তের ব্যবস্থা নিয়েছে এবং শো কজ নোটিশ জারি করেছে, তার পালটা হিসাবে তাঁদের চরিত্রহননের চেষ্টা করছে এই সংস্থা ।"
মার্কিন শর্ট-সেলিং সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ করেছে যে, সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ এবং তাঁর স্বামীর আদানির আর্থিক কেলেঙ্কারিতে (আদানি মানি সিফোনিং স্ক্যান্ডাল) ব্যবহৃত তহবিলে অংশীদারিত্ব রয়েছে ৷ একটি ব্লগে হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করেছে, আদানি সম্পর্কে তার বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করার 18 মাস পরেও সেবি মরিশাস এবং অফশোর শেলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কোনও রকম আগ্রহ দেখায়নি । মরিশাসের আদানি গ্রুপের 'কালো টাকা'র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মার্কিন শর্ট-সেলিং সংস্থা তার অভিযোগে জানিয়েছে যে, হুইসেলব্লোয়ার-এর (Whistleblower) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেবি প্রধান মাধবী পুরি বুচের স্বামী ধাওয়াল বুচ আদানির বিতর্কিত ফান্ডে অংশীদারিত্ব করেছেন। ওই ফান্ডের টাকা আদানির আর্থিক কেলেঙ্কারিতে (আদানি মানি সিফোনিং স্ক্যান্ডাল) ব্যবহৃত হয়েছে ।
রবিবার সকালের বিবৃতিতে এই সমস্ত অভিযোগকে অসত্য, ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বুচ দম্পতি । তাঁদের দাবি, প্রয়োজনে যে কোনও কর্তৃপক্ষকে সমস্ত নথিপত্র তাঁরা প্রমাণ হিসাবে দিতে প্রস্তুত ।