নয়াদিল্লি, 12 এপ্রিল: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার বেড়েছে। 4 এপ্রিল, 2025 তারিখে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ 676.3 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় 10.9 বিলিয়ন ডলার বেশি। 2025 সালের মার্চ মাসের শেষ নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ 7.9 বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বজুড়ে শুল্ক যুদ্ধের আবহে ভারতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি:
এক সপ্তাহে 10.9 ডলারের এই বৃদ্ধি এমন এক সময়ে এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের প্রতি মুদ্রা বাজারের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী ডলারের দাম ব্যাপকভাবে কমেছে। শুক্রবার ডলারের দাম ইউরোর তুলনায় তিন বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডলার কেনার পাশাপাশি, আরবিআই-এর হাতে থাকা নন-ডলার সম্পদের মূল্যায়ন বৃদ্ধির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদও বৃদ্ধি পেয়েছে:
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সবচেয়ে বড় অংশ হল বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, 4 এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে FCA 9.1 বিলিয়ন ডলার বেড়ে 574.09 বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে থাকা ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যের ওঠানামার প্রভাব।
ভারতের সোনার রিজার্ভও বেড়েছে:
আরবিআই-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের সোনার রিজার্ভও 1.567 মিলিয়ন ডলার বেড়ে 79.36 বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (IMF) ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ 46 মিলিয়ন ডলার বেড়ে 4.46 বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে:
ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের ফলে বিশ্বে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের (SBP) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ 23 মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ 15.75 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় 43 গুণ বেশি ৷ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে 26 বিলিয়ন ডলার হয়ে গিয়েছে । অর্থাৎ, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাংলাদেশের চেয়ে 26 গুণ বেশি ৷
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাংলাদেশের চেয়ে 26 গুণ, পাকিস্তানের চেয়ে 42 গুণ বেশি