বেঙ্গালুরু, 28 মার্চ: উত্তরপ্রদেশের মেরঠে স্বামীকে নারকীয়ভাবে হত্যাকাণ্ডে পুরো দেশ তোলপাড় ৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই এবার বেঙ্গালুরুতে ঘটল আরও এক হাড়হিম করা ঘটনা ৷ স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে সুটকেসে ভরে ফেলে স্বামী ৷ তারপর তা বাথরুমে লুকিয়ে রেখে শ্বশুর ও শাশুড়িকে ফোন করে জানায়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু এলাকার দোদ্দা কাম্মনাহাল্লির ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় গত মাসেই থাকতে আসেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা রাকেশ ও তার স্ত্রী গৌরী সাম্বেকর (32) ৷ দু'জনই বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ৷ অভিযুক্ত রাকেশ সাম্বেকর, গৌরীর বাবা-মাকে তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর কথা জানান। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফে খবর যায় কর্ণাটক পুলিশের কাছে। এরপর বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু পুলিশ খবর পেতেই পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে।

দক্ষিণ-পূর্ব বিভাগের ডিসিপি সারা ফতিমা বলেন, "যখন বেঙ্গালুর পুলিশ সেখানে পৌঁছয়, তখন দেখা যায় বাড়িটির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ভিতরে ঢুকতেই বাড়ির বাথরুম থেকে ওই মহিলার দেহ সুটকেস বন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।" পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং কেন এমন ঘটনা সে ঘটাল তা শীঘ্রই জানা যাবে ৷ ময়নাতদন্তের পরেই আঘাতের প্রকৃতি ও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। খুনের পর রাকেশ পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। এবিষয়ে হুলিমাভু থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাকেশ এবং গৌরীর বিয়ে হয়েছিল 2 বছর আগে ৷ এক মাস আগেই দোদ্দাকম্মানাহল্লিতে একটি বাড়ি কিনেছিলেন। দু'জনেই একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করত এবং তাঁদের কাজ বাড়ি থেকেই চলত ৷ আর আচমকায় এই ঘটনা সামনে আসে ৷