গয়া, 9 এপ্রিল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাতনিকে গুলি করে খুন স্বামীর ! খুনের পর থেকেই সন্ধান মিলছে না অভিযুক্তর। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ । বেশ কয়েকটি সূত্র ধরে শুরু হয়েছে তদন্ত। ঘটনাটি বিহারের গয়ার ৷ মৃতের নাম সুষমা দেবী (32) ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির নাতনি ৷
গয়ার এসএসপি আনন্দ কুমার বলেন, "আতারি থানার তেতুয়া গ্রামে একজন মহিলাকে তাঁর স্বামী খুন করেছেন ৷ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে ৷ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে আমরা তদন্তে আরও এগিয়ে যাব ৷ অভিযুক্ত স্বামীকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে ৷" তেতুয়া গ্রামে 'বিকাশ মিত্র' হিসেবে কাজ করতেন সুষমা দেবী ৷ কোনও একটি এলাকার কী ধরনের উন্নয়ন প্রয়োজন তা খুঁজতে প্রশাসনকে সাহায্য করেন এই 'বিকাশ মিত্র'রা । বিহারের প্রতিটি জেলায় স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের এই কাজে নিয়োগ করা হয় । বেতন 25 হাজার টাকার কাছাকাছি ।
आज दिनांक 09.04.2025 को अतरी थाना को सूचना मिली कि टेटूआ गांव में एक महिला की उसके पति के द्वारा गोली मारकर हत्या कर दी गई है।
— GAYA POLICE (गया (बिहार) पुलिस ) (@GAYAPOLICEBIHAR) April 9, 2025
प्राप्त सूचना से वरीय पुलिस पदाधिकारी को अवगत कराते हुए थानाध्यक्ष, अतरी थाना के द्वारा तत्क्षण घटनास्थल पर पहुंचकर घटनास्थल को संरक्षित किया गया । (1/4) pic.twitter.com/ecr1uLZmqL
খুনের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আতারি থানার পুলিশ ৷ দুর্ঘটনাস্থলটিকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ ৷ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ৷ তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে ৷ এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ সুষমা দেবী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির দূর সম্পর্কের নাতনি।
স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামী রমেশ তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। তিনি মনে করতেন, সুষমা বিবাহ-বহির্ভূত কোনও সম্পর্কে জড়িত ৷ এই সন্দেহ থেকে তাঁর মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয় ৷ তারপরই তিনি এমন চরম পথ বেছে নেন বলে অভিযোগ ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বুধবার রমেশ সিং কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন ৷ তিনি স্ত্রীকে জবরদস্তি একটি ঘরে নিয়ে যান এবং দরজা বন্ধ করে দেয় ৷ এরপর তিনি স্ত্রী সুষমা দেবীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এরপর রমেশ সিং দরজা খুলে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান ৷
মৃতার বোন পুনম কুমারী বলেন, "জামাইবাবু বাইরে থেকে এসে দ্রুত বাড়ির ভিতরে চলে যান ৷ আমার দিদিকে একটি ঘরে বন্ধ করে গুলি করেন ৷ খুন করে ও পালিয়ে যান ৷ ওঁর কঠিন শাস্তি হোক ৷" পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ৷ পুলিশের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হবে ৷