গ্যাংটক, 6 জুন: প্রবল ধসে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা সিকিম প্রশাসনের । শুক্রবার সকালে আবহাওয়া পরিষ্কার হতেই উত্তর সিকিমের ছাটেনে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারে নামে বায়ুসেনা । এদিন সকালে দু'দফায় 63 জন পর্যটককে এয়ারলিফ্ট করে ছাটেন থেকে পাকইয়ং গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয় । সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের সিকিম ন্যাশনলাইজড ট্রান্সপোর্টের বাসে করে গ্যাংটকে নিয়ে যাওয়া হয় ।
উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের মধ্যে 17 জন উত্তর সিকিমের বাসিন্দা । ধসের কারণে সর্বস্ব হারিয়ে ওই স্থানীয় বাসিন্দারা ছাটেন এলাকায় আটকে ছিলেন । এদিন সকালে প্রথমে এমআই-02 ও এমআই 39 হেলিকপ্টারে করে 44 জনকে উদ্ধার করা হয় । পাশাপাশি এদিন এমআই-41 হেলিকপ্টারে করে 19 জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয় । এদিনের মতো এয়ারলিফ্ট প্রক্রিয়া শেষ বলে জানিয়েছেন সিকিমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব মিঙ্গমা টি শেরপা । এয়ারলিফ্টের পর ওই হেলিকপ্টারগুলোতে করে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।

এই বিষয়ে সচিব মিঙ্গমা টি শেরপা বলেন, "সব মিলিয়ে দু'দিনে মোট 126 জন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের এয়ারলিফ্ট করে উদ্ধার করা হয়েছে । যে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের জন্য আপাতত ত্রাণ শিবিরে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে । আগামিকাল ফের এয়ারলিফ্টের কাজ শুরু হবে ।"


এদিকে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, সিকিম প্রশাসন ও ভারতীয় সেনা অতি গুরুত্বপূর্ণ ফিডাং হয়ে সাঙ্গকেলাং হয়ে চুংথাং রোড পুনরায় স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছে । তবে আপাতত নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র হালকা যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে । এতদিন ওই সড়কটি ডেটখোলায় ব্যাপক ধসের কারণে বন্ধ হয়ে ছিল । ওই সড়কটি পুনরায় খুলে যাওয়ায় এবার উত্তর সিকিমে আটকে থাকা পর্যটক ও ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সড়কপথেও দ্রুত উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়েছে ।

