ওয়েনাড় (কেরল), 18 ফেব্রুয়ারি: 'ওয়েনাড়ের ত্রাস'-কে ধরতে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে প্রশাসন ৷ বাঘের আতঙ্কের কারণে ওয়েনাড় সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পাঁচদিনের জন্য বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ তবে এই সময়ের মধ্যে অনলাইন ক্লাস চলবে । বাঘ-আতঙ্কের সমাধান না-হওয়া পর্যন্ত, অর্থাৎ বাঘ ধরা না-পড়া পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকছে । ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পড়ুয়াদের বিক্ষোভের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ এম রাজেশ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস হবে । তাঁর অভিযোগ, বাঘের উপস্থিতি আগে থেকেই জানা ছিল ৷ কিন্তু, প্রশাসন এটিকে গুরুতর বিপদ হিসেবে দেখেনি ৷ কারণ, বাঘটি এখনও কাউকে আক্রমণ করেনি । ডঃ রাজেশ শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে হোস্টেল এবং পেয়িং গেস্ট হিসাবে যাঁরা থাকেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । শিক্ষার্থীদের সন্ধের পরে একা বাইরে না-যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।
জানা গিয়েছে, প্রশাসন একাধিক জায়গায় বাঘের পায়ের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজেও রাস্তা পার হওয়ার সময় বাঘটিকে দেখা গিয়েছে, যা জনসাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে । থাভিঞ্জাল গ্রামের স্থানীয় কর্মী এবং প্রতিনিধিরা এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ার পর বিক্ষোভ করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ওয়ানাড়-কান্নুর মহাসড়ক অবরোধ করেন ।
ভারয়াল বনাঞ্চলের আওতাধীন কান্নোথুমালা, 44 মাইল, কাম্বিপালম এবং থালাপ্পুঝার আবাসিক এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর । স্থানীয়দের প্রতিবাদের পর, বন আধিকারিকরা এলাকায় একটি খাঁচা বসিয়েছেন । মোট 14টি ট্র্যাপ ক্যামেরা এবং দু’টি লাইভ ক্যামেরাও বসানো হয়েছে । বনাঞ্চল পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে । গত মাসে ওয়েনাড়ের চারটি জায়গায় কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছিল । বনমন্ত্রী ও জেলা কালেক্টরেটের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর বাঘটিকে 'মানুষখেকো' হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৷ সেই কারণে মানন্তবাদি পৌরসভার ডিভিশন 1 (পাঁচরাকোল্লি), ডিভিশন 2 (পিলাকাভু) ও 36 নং ডিভিশনে (চিরাক্কারা) 48 ঘণ্টার জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছিল ৷ যদিও, কার্ফু জারির 5 ঘণ্টার মধ্যে বাঘের দেহ উদ্ধার হয় ৷