সালেম ও সাহারানপুর, 26 এপ্রিল: তামিলনাড়ুর সালেমে আতশবাজি বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল 4 জনের ৷ শুক্রবার রাতে ওই এলাকার দ্রৌপদী আম্মান মন্দিরে উৎসব উদযাপনের জন্য একটি বাইকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আতশবাজি ৷ তখন ওই বাজির বান্ডিল বিস্ফোরণে দুই শিশু-সহ 4 জনের মৃত্যু হয় ৷ অন্যদিকে, শনিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় 3 জনের ৷ ঘটনার সময় কারখানায় কাজ করছিলেন 9 শ্রমিক ৷
জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর বিস্ফোরণটি ঘটেছে রাত 9টার দিকে ৷ সালেম জেলার কাদাইয়ামপট্টির কাছে কাঞ্চনায়ক্কানপট্টিতে প্রায় 27 বছর পর দ্রৌপদী আম্মান মন্দির উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই এলাকায় 29 বছর বয়সি সেলভারাজ বাইকে করে 300 কেজি আতশবাজি নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ ওই উৎসবে এই আতশবাজি ব্যবহার করার কথা ছিল। পুসারিপট্টির পুরনো সিনেমা হল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাইকটি ৷ রাস্তার পাশে তখন আবর্জনা জ্বলছিল। ওই জ্বলন্ত আবর্জনার মধ্যে পড়ে যায় বাইকটি ৷ সঙ্গে সঙ্গেই আতশবাজিতে আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণ ঘটে ৷

সেলভারাজের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পাশাপাশি দুই নাবালক এবং এক ব্যক্তির প্রাণ যায় ৷ তিনি প্রথমে গুরুতর আহত হন ৷ তারপর কোট্টায়ামেদের বাসিন্দা 20 বছরের লোকেশকে চিকিৎসার জন্য সালেমের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে, দুর্ঘটনার সময় আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওমালুরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ সঞ্জীব কুমার ঘটনাটি তদন্ত করছেন। এই ঘটনায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন শোকপ্রকাশ করেন ও মৃতদের পরিবারকে 3 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য়ের কথা ঘোষণা করেছেন ৷
অন্য়দিকে, উত্তরপ্রদেশে সাহারানপুরের বাজি কারখানায় শনিবার সকাল 7টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয় ৷ সে সময় 9 জন শ্রমিক কারখানায় কাজ করেছিলেন ৷ নিহালখেদি গ্রামের কাছে অবস্থিত এই কারখানা থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কারখানাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তাঁদের থেকেই পুলিশ জানতে পেরেছে মৃতদেহের টুকরো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল ৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 3 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷