নয়াদিল্লি, 5 অগস্ট: ওবিসি-র শংসাপত্র বাতিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট ৷ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপিলে সুপ্রিম কোর্ট আজ নোটিশ জারি করেছে ৷
সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা এবং কোটা প্রদানের জন্য ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত জাতিগুলির সরকারি চাকরিতে অপর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্বের পরিমাণগত তথ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জমা দিতে বলেছে আদালত ৷ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) তালিকায় 77টি শ্রেণি, যার বেশিরভাগই মুসলমান, তাদের অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়া ব্যক্তিগত মামলাকারীদেরও শীর্ষ আদালত নোটিশ জারি করেছে ।
2010 সালের পর থেকে অর্থাৎ তৃণমূল জমানায় দেওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ভিভিশন বেঞ্চ ৷ যাঁদের শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাভুক্ত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী সমীক্ষা চালিয়েছিল এবং কাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ কলকাতা হাইকোর্ট গত 22 মে-র রায়ে পশ্চিমবঙ্গে 2010 সাল থেকে মঞ্জুর করা বেশ কয়েকটি শ্রেণির ওবিসি মর্যাদা বাতিল করে, রাজ্যে পরিষেবা এবং পদগুলিতে এই ধরনের সংরক্ষণকে বেআইনি বলে জানায় ৷
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে, তারই শুনানিতে আজ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ বলে, "স্থগিতাদেশের আবেদন-সহ নোটিশ জারি করুন (রাজ্য সরকার কর্তৃক দাখিল করা রায়ে)। পশ্চিমবঙ্গ এই আদালতের সামনে একটি হলফনামা দাখিল করবে, যাতে 77টি সম্প্রদায়কে ওবিসি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য অনুসরণ করা প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা থাকবে: (1) সমীক্ষার প্রকৃতি; (2) ওবিসি হিসাবে মনোনীত 77 জনগোষ্ঠীর তালিকায় কোনও সম্প্রদায়ের বিষয়ে কমিশনের (রাজ্য অনগ্রসর প্যানেল) সঙ্গে পরামর্শের অভাব ছিল কি না এগুলি জানাবে ৷" ওবিসিদের উপ-শ্রেণিবিভাগের জন্য রাজ্য কোনও পরামর্শ করেছে কি না, তাও জানতে চেয়েছে বেঞ্চ ৷
হাইকোর্ট বলেছিল, এই সম্প্রদায়গুলিকে ওবিসি হিসাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে 'ধর্মই একমাত্র মাপকাঠি' বলে মনে হচ্ছে ৷ 77 শ্রেণির মুসলমানদের পিছিয়ে পড়া হিসাবে তুলে ধরলে তা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সার্বিকভাবে অপমানজনক ।"
সব মিলিয়ে হাইকোর্ট 2010 সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রদত্ত 77টি শ্রেণি সংরক্ষণ এবং 2012 সালের আইনের ভিত্তিতে 37টি শ্রেণিকে বাতিল করে । (পিটিআই)