নয়াদিল্লি, 15 এপ্রিল: কমেছে মুদ্রাস্ফীতি ৷ গত ছ'বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে চলতি বছরের মার্চে ৷ শাক-সবজি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রীর দাম কমেছে ৷ তাই তা 3.34 শতাংশে নেমে এসেছে ৷ এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান (স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন, এমওএসপিআই) মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য ৷
বিজেপি সরকারের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্ট (সিপিআই) মুদ্রাস্ফীতি ছিল 3.61 শতাংশ এবং গত বছরের মার্চে তা ছিল 4.85 শতাংশ ৷ 2019 সালের অগস্টে মুদ্রাস্ফীতি ছিল 3.28 শতাংশ ৷ তারপর থেকে এ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হার সবচেয়ে কম হয়েছে এই বছরের মার্চে ৷
খাদ্য সামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি কমেছে ৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে 3.75 শতাংশ থেকে মার্চে তা নেমে এসেছে 2.69 শতাংশে ৷ এক বছর আগে অর্থাৎ 2024 সালের মার্চে খাদ্যসামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি ছিল 8.52 শতাংশ ৷ গ্রামাঞ্চলে এই মুদ্রাস্ফীতি 2.82 শতাংশ এবং শহরে 2.48 শতাংশ বলে জানিয়েছে এমওএসপিআই রিপোর্ট ৷
রিপোর্ট অনুযায়ী, সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্যসামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে ৷ এর প্রধান কারণ শাক-সবজি, ডিম, শস্য এবং মাছ ও মাসের দামও কমেছে ৷ মার্চে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে একধাক্কায় অনেকটাই নীচে নেমেছে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্যসামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি ৷ চলতি বছরের মার্চে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি 3.25 শতাংশ (অস্থায়ী) ৷ আগের মাসে ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল 3.79 শতাংশ ৷
কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স-এর (সিএফপিআই) মাধ্য়মে সময়ের সঙ্গে বাজারে শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও অন্য সব খাদ্যসামগ্রীর দামের ওঠাপড়ার হিসাব এবং মুদ্রাস্ফীতির নির্ণয় করা হয় ৷ সিএফপিআই-এর ভিত্তিতে মার্চে গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যসামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি 2.82 শতাংশ ৷ ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল 4.06 শতাংশ ৷
শহরাঞ্চলে কিন্তু উল্টোটা হয়েছে ৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল 3.32 শতাংশ ৷ মার্চে তা সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে 3.43 শতাংশ (অস্থায়ী) ৷ এদিকে খাদ্যসামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি নিম্নমুখী ৷ ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যসামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি ছিল 3.15 শতাংশ ৷ মার্চে তা কমে 2.48 শতাংশ হয়েছে ৷
এছাড়া মার্চে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মুদ্রাস্ফীতি 1.48 শতাংশ, শিক্ষাখাতে মুদ্রাস্ফীতি 3.98 শতাংশ, স্বাস্থ্যখাতে মুদ্রাস্ফীতি 4.26 শতাংশ এবং পরিবহণ ও যোগাযোগে মুদ্রাস্ফীতি 3.30 শতাংশ হয়েছে ৷
সারা ভারতে প্রত্যেক বছর যে জিনিসগুলির মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বেশি হয়, তার মধ্যে প্রথম পাঁচে রয়েছে- নারকেল তেল (56.81 শতাংশ), নারকেল (42.05 শতাংশ), সোনা (34.09 শতাংশ), রুপো (31.57 শতাংশ) এবং আঙুর (25.55 শতাংশ) ৷ অন্যদিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের কয়েকটি জিনিসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতি বছরে নিম্নমুখী থাকে ৷ তেমন পাঁচটি জিনিস- আদা (-38.11 শতাংশ), টমেটো (-34.96 শতাংশ), ফুলকপি (-25.99 শতাংশ), জিরে (-25.86 শতাংশ) এবং রসুন (-25.22 শতাংশ) ৷
জাতীয় গড়ের ঊর্ধ্বে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে যে রাজ্যগুলিতে
কেরল, 6.59 শতাংশ
কর্ণাটক, 4.44 শতাংশ
ছত্তিশগড়, 4.25 শতাংশ
জম্মু-কাশ্মীর, 4 শতাংশ
মহারাষ্ট্র, 3.86 শতাংশ
যে রাজ্যগুলিতে মুদ্রাস্ফীতি জাতীয় গড়ের নীচে
তেলেঙ্গানা, 1.06 শতাংশ
দিল্লি, 1.48 শতাংশ
ঝাড়খণ্ড, 2.08 শতাংশ
রাজস্থান, 2.66 শতাংশ
গুজরাত, 2.63 শতাংশ