নয়াদিল্লি, 13 জুন: জি-7 সামিটে যোগদানের জন্য ইতালি পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে জি-7 সম্মেলনে এবার অংশ নিল ভারত ৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই নিয়ে পঞ্চমবার এই সামিটে অংশ নিলেন তিনি ৷ এই সফরে একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর ৷ আর ইতালি যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার জানান, এই সম্মেলনের নজর থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শক্তি, আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরের দিকে ৷
তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ইউরোপের দেশটিতে রওনা হওয়ার আগে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 13 থেকে 15 জুন ইতালির আপুলিয়া প্রদেশের বোরগো এগনাজিয়ার বিলাসবহুল রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-7 শীর্ষ সম্মেলন ৷ ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং গাজার সংঘাত সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মোদি ইতালি সফরের আগে বলেন, "ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির আমন্ত্রণে আমি 14 জুন জি-7 আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ইতালির আপুলিয়ায় যাচ্ছি ৷"
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, তৃতীয় মেয়াদে জি-7 শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তাঁর প্রথম ইতালি সফরের জন্য তিনি আনন্দিত। মোদির কথায়, "আউটরিচ সেশনে আলোচনার সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শক্তি, আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরের উপর বাড়তি নজর দেওয়া হবে ৷" তিনি আরও বলেন, "এটি ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জি-20 শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফল এবং আসন্ন জি-7 শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলের মধ্যে বৃহত্তর সমন্বয় করার উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ৷ গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার আরও একটি সুযোগ হবে বলে আশাবাদী ৷" ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন মোদি। মোদির কথায়, "প্রধানমন্ত্রী মেলোনির গত বছর ভারতে দুটি সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক এজেন্ডায় নতুন অগ্রগতির সহায়ক ছিল ৷" প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, "আমরা ভারত-ইতালি কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সুসংহত করতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।" শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
ইতালি সফরের আগে মোদি বলেন, "আমি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করার জন্যও মুখিয়ে ৷" জি-7 গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, কানাডা এবং জাপান। ইতালি জি-7-এর বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে ৷ ইতালির মতে, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের যুদ্ধ নীতিগুলিকে ক্ষুণ্ণ করেছে ৷ যার জেরে ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বজুড়ে ৷ বিশ্বব্যাপী একাধিক সংকটও তৈরি হয়েছে। জি-7 মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে সমান গুরুত্ব দেবে বলেও জানানো হয়েছে আয়োজক দেশের তরফে। এবার বেশ কয়েকটি দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ ভারত ছাড়াও আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের 11টি উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। (পিটিআই)