কন্যাকুমারী, 1 জুন: দীর্ঘ 45 ঘণ্টার ধ্যান ভঙ্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । দক্ষিণ ভারতের শেষ ভূ-খণ্ড কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ধ্যানে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শনিবার দুপুরে ধ্যান ভঙ্গ করেন তিনি। শেষ দফার নির্বাচানের প্রচার শেষ হওয়ার অব্যবহিত পরেই তাঁর ধ্যানে বসা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কর্ম তরজা হয়নি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী নেতা-নেত্রীরা বলছেন এভাবে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির পালটা দাবি, প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানের সঙ্গে নির্বাচনী আচরণ বিধির কোনও সম্পর্ক নেই। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ।
বিবেকানন্দ রকের ধ্যান মণ্ডপে একসময় ধ্যানে মগ্ন হয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ । সেখানেই ধ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী । কথিত আছে এখান থেকেই এক আদর্শ ভারতের ধারনা গড়ে তুলেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ । নিজের একাধিক ভাষণে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ তুলে ধরেন মোদি। এবার স্বামীজির মতো একই জায়গায় ধ্যান করলেন প্রধানমন্ত্রী ।
এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মমতা আগেই বলে রেখেছিলেন মোদির ধ্যানের দৃশ্য টেলিভিশনে দেখানো হলে তাঁর দল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে। এরপর শনিবার রাজনৈতিক আক্রমণের ধার আরও অনেকটা বাড়ান আরজেজি নেতা তেজস্বী যাদব। বিহারের এই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ধ্যানের নামে ফোটো শুট করছেন মোদি।"
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কন্যাকুমারী এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। কথিত আছে, এই কন্যাকুমারীতে ভগবান শিবের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন দেবী পার্বতী। শুধু তাই নয়, এক পায়ে দাঁড়িয়ে শিবের জন্য অপেক্ষা করেন তিনি। কিন্তু তিনি আসেননি। পরে দেবী পার্বতীর মন্দির তৈরি হয়। কন্যাকুনমারী এসে প্রথমেই সেই মন্দিরেই পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। আরও পরে লঞ্চে চড়ে পৌঁছে যান বিবেকানন্দ রকে। সেখানেই ধ্যানে বসেন মোদি । তাঁর ধ্যানের বিভিন্ন সময়ের ছবি ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। শেষমেশ ধ্যান ভঙ্গ করলেন তিনি।