হায়দরাবাদ, 10 মার্চ: হায়দরাবাদের বাসিন্দা, বর্তমানে সৌদিতে বসবাসকারী মহিলাকে মারধর ও জোর করে গৃহবন্দি করে রাখার ঘটনা সামনে এসেছে ৷ অভিযোগ মহিলার পাকিস্তানি স্বামী হুসেন তাঁকে মারধর করেন এবং গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন ৷ বর্তমানে ওই মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে সৌদির একটি হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন ৷ বিষয়টি জানতে পেরে মহিলার মা বিদেশমন্ত্রকের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সৌদিতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ৷
হায়দরাবাদের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা বিদেশমন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন ৷ সেখানে তিনি জানিয়েছেন, 2014 সালে পাকিস্তানের হুসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয় ৷ কিন্তু, পণে সোনা দিতে না পারায় হুসেন তাঁর স্ত্রীকে ভারতে রেখে চলে যান ৷ পরবর্তী সময়ে হুসেন তাঁর স্ত্রীকে সৌদি আরবে নিয়ে যান ৷ বর্তমানে তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে ৷ কিন্তু, গত কয়েকবছর ধরে হুসেন তাঁর স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন ৷ এমনকি ঘরে জোর করে আটকে রেখেছিলেন ৷
এরই মধ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশের বছর 17’র এক কিশোরীকে 20 হাজার রিয়ালের (সৌদির মুদ্রা) বিনিময়ে নিয়ে যায় এবং তাঁকে বিয়ে করে ৷ কয়েকদিন পর থেকে ওই কিশোরীকেও মারধর শুরু করেন হুসেন ৷ তাঁকেও আটকে রাখা হয় ভারতীয় মহিলা এবং তাঁর সন্তানদের সঙ্গে ৷ সম্প্রতি ভারতীয় ওই মহিলা সুযোগ বুঝে তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ৷ সঙ্গে বাংলাদেশের ওই কিশোরীও ছিলেন ৷ তাঁরা সৌদির একটি হোটেলে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকে ভারতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই মহিলা ৷
সব শোনার পর নির্যাতিতা মহিলার মা বিদেশমন্ত্রকের কাছে মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের ফিরিয়ে আনার আবেদন জানান ৷ বিষয়টি সামনে আসতেই হায়দরাবাদের এমবিটি দলের নেতা আমজাদুল্লাহ খান বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন ৷ জানা গিয়েছে, সৌদির ভারতীয় দূতাবাস থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ৷ ওই মহিলার সঙ্গে তাঁরা খুব শীঘ্রই দেখা করবেন দূতাবাসের সদস্যরা ৷ সেই মতো তাঁদের ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে ৷
আরও পড়ুন: