ETV Bharat / bharat

নেই জল-শৌচালয়, অসমের ডিটেনশন সেন্টারের দুর্বিষহ অবস্থায় উদ্বেগে সুপ্রিম কোর্ট - SC on ASSAM DETENTION CENTRES

SC on ASSAM DETENTION CENTRES: বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ অসমের ডিটেনশন সেন্টারগুলির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । রাজুবালা দাসের আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত সে বিষয়ে কী বলেছে, জানতে প্রতিবেদনটি পড়ুন ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 26, 2024, 5:50 PM IST

ETV BHARAT
অসমের ডিটেনশন সেন্টারের দুর্বিষহ অবস্থায় উদ্বেগে সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল চিত্র)

নয়াদিল্লি, 26 জুলাই: দুর্বিষহ অবস্থা অসমের ডিটেনশন সেন্টারগুলির ৷ এই নিয়ে আজ উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালত বলে, সেন্টারগুলিতে নেই যথাযথ শৌচাগার ৷ নেই কোনও চিকিৎসার সুবিধা ৷

বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ মসিহের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ অসম সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী একজন আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করে, সুবিধা প্রদান কার দায়, কেন্দ্রীয় সরকার না রাজ্য সরকারের ? আইনজীবী বলেন, তাঁর কাছে শুধু নির্বাসনের বিষয়ে নির্দেশ আছে । আবেদনকারীর পক্ষের শীর্ষ আইনজীবী কলিন গনসালভেস বলেন, সুযোগ-সুবিধা খুবই খারাপ এবং এই নির্বাসন কেন্দ্রে আছেন তিন হাজার জন ৷

তিনি বলেন, "অবশ্যই সেখানে যেতে হবে এবং সেখানকার মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে হবে, যেমনটা করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷" নির্বাসন কেন্দ্রগুলিতে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য কারা দায়ী সে বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশনা নিতে বলেন বিচারপতি ওকা । সন্দেহজনক নাগরিকত্ব এবং বিদেশি বলে মনে করা ব্যক্তিদের রাখা হয় ডিটেনশন সেন্টারে ।

গনসালভেস বলেন যে, রাজ্য 17 জনকে নির্বাসন করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা আমাদের তালিকা দেয়নি ৷ তাঁর কথায়, "আমরা ভেবেছিলাম যে এগুলো স্বেচ্ছায় নির্বাসন । আমরা অসমের আইনজীবীদের কাছ থেকে শুনেছি যে কয়েকজন ব্যক্তিকে, যাঁদেরকে নির্বাসনের প্রস্তাব করা হয়েছে, আসলে তাঁদের মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে ৷"

যাদের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তাঁদের নির্বাসন দেওয়া হচ্ছে কি না, তা রাষ্ট্রকে অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখতে হবে বলে জানান গনসালভেস । তাঁর কথায়, "হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে কোনও আইনি সহায়তা প্রদান করা হয় না... এবং তাঁদের অবশ্যই আমাদের জানাতে হবে যে, এটি স্বেচ্ছায় নাকি অনিচ্ছাকৃত এবং বাংলাদেশ সরকার সম্মত হয়েছে কি না ৷"

বিচারপতি ওকা বলেন, প্রথমে আদালত সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় ৷ তিনি ট্রানজিট ক্যাম্পে সুযোগ-সুবিধার অবস্থা নিয়ে রিপোর্টটি খতিয়ে দেখেছেন বলে জানান ৷ বিচারপতি ওকা বলেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সুযোগ-সুবিধা খুবই খারাপ । পর্যাপ্ত জলের সরবরাহ নেই, সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা নেই । উপযুক্ত শৌচাগার নেই । রিপোর্টে খাবার ও চিকিৎসা স্বাস্থ্যের সুবিধার কথাও বলা হয়নি ৷"

বেঞ্চ অসম স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে যে, রিপোর্টে উল্লিখিত সুযোগ-সুবিধাগুলি নিশ্চিত করার জন্য আরও একবার পরিদর্শন করা নিশ্চিত করতে হবে ৷ পাশাপাশি পরিবেশিত খাবারের গুণমান এবং পরিমাণ ও রান্নাঘরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং চিকিৎসা সুবিধাগুলিও নিশ্চিত করতে হবে । বেঞ্চ বলেছে, "সচিব আজ থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি নতুন রিপোর্ট জমা দেবেন ৷" কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাসনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছে আদালত ।

রাজুবালা দাসের আবেদনের শুনানিতে এদিন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে অসম রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট দেখতে বলেছে । এর আগে, শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে অসমের ট্রানজিট ক্যাম্পে আটক 17 জন বিদেশিকে বিতাড়িত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে বলেছে । সুপ্রিম কোর্ট অসম স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির একজন আধিকারিককে সেখানে উপলব্ধ সুবিধার প্রকৃতি জানতে ডিটেনশন সেন্টারে যেতে বলেছে ।

নয়াদিল্লি, 26 জুলাই: দুর্বিষহ অবস্থা অসমের ডিটেনশন সেন্টারগুলির ৷ এই নিয়ে আজ উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালত বলে, সেন্টারগুলিতে নেই যথাযথ শৌচাগার ৷ নেই কোনও চিকিৎসার সুবিধা ৷

বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ মসিহের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ অসম সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী একজন আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করে, সুবিধা প্রদান কার দায়, কেন্দ্রীয় সরকার না রাজ্য সরকারের ? আইনজীবী বলেন, তাঁর কাছে শুধু নির্বাসনের বিষয়ে নির্দেশ আছে । আবেদনকারীর পক্ষের শীর্ষ আইনজীবী কলিন গনসালভেস বলেন, সুযোগ-সুবিধা খুবই খারাপ এবং এই নির্বাসন কেন্দ্রে আছেন তিন হাজার জন ৷

তিনি বলেন, "অবশ্যই সেখানে যেতে হবে এবং সেখানকার মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে হবে, যেমনটা করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷" নির্বাসন কেন্দ্রগুলিতে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য কারা দায়ী সে বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশনা নিতে বলেন বিচারপতি ওকা । সন্দেহজনক নাগরিকত্ব এবং বিদেশি বলে মনে করা ব্যক্তিদের রাখা হয় ডিটেনশন সেন্টারে ।

গনসালভেস বলেন যে, রাজ্য 17 জনকে নির্বাসন করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা আমাদের তালিকা দেয়নি ৷ তাঁর কথায়, "আমরা ভেবেছিলাম যে এগুলো স্বেচ্ছায় নির্বাসন । আমরা অসমের আইনজীবীদের কাছ থেকে শুনেছি যে কয়েকজন ব্যক্তিকে, যাঁদেরকে নির্বাসনের প্রস্তাব করা হয়েছে, আসলে তাঁদের মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে ৷"

যাদের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তাঁদের নির্বাসন দেওয়া হচ্ছে কি না, তা রাষ্ট্রকে অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখতে হবে বলে জানান গনসালভেস । তাঁর কথায়, "হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে কোনও আইনি সহায়তা প্রদান করা হয় না... এবং তাঁদের অবশ্যই আমাদের জানাতে হবে যে, এটি স্বেচ্ছায় নাকি অনিচ্ছাকৃত এবং বাংলাদেশ সরকার সম্মত হয়েছে কি না ৷"

বিচারপতি ওকা বলেন, প্রথমে আদালত সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় ৷ তিনি ট্রানজিট ক্যাম্পে সুযোগ-সুবিধার অবস্থা নিয়ে রিপোর্টটি খতিয়ে দেখেছেন বলে জানান ৷ বিচারপতি ওকা বলেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সুযোগ-সুবিধা খুবই খারাপ । পর্যাপ্ত জলের সরবরাহ নেই, সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা নেই । উপযুক্ত শৌচাগার নেই । রিপোর্টে খাবার ও চিকিৎসা স্বাস্থ্যের সুবিধার কথাও বলা হয়নি ৷"

বেঞ্চ অসম স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে যে, রিপোর্টে উল্লিখিত সুযোগ-সুবিধাগুলি নিশ্চিত করার জন্য আরও একবার পরিদর্শন করা নিশ্চিত করতে হবে ৷ পাশাপাশি পরিবেশিত খাবারের গুণমান এবং পরিমাণ ও রান্নাঘরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং চিকিৎসা সুবিধাগুলিও নিশ্চিত করতে হবে । বেঞ্চ বলেছে, "সচিব আজ থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি নতুন রিপোর্ট জমা দেবেন ৷" কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাসনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছে আদালত ।

রাজুবালা দাসের আবেদনের শুনানিতে এদিন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে অসম রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট দেখতে বলেছে । এর আগে, শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে অসমের ট্রানজিট ক্যাম্পে আটক 17 জন বিদেশিকে বিতাড়িত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে বলেছে । সুপ্রিম কোর্ট অসম স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির একজন আধিকারিককে সেখানে উপলব্ধ সুবিধার প্রকৃতি জানতে ডিটেনশন সেন্টারে যেতে বলেছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.