সাগর (মধ্যপ্রদেশ), 14 সেপ্টেম্বর: দেউড়ি উন্নয়ন ব্লকের জৈতপুর কোপড়া গ্রামের একটি কুয়োয় তিন মহিলা এবং এক কিশোরীর দেহ পাওয়া গিয়েছে। শনিবার সকালে জৈতপুর কোপড়া গ্রামের ওই কুয়োয় চারটি দেহ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ জানা গিয়েছে, দুই মহিলাকে কুয়োয় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বাকি দুটি দেহ কুয়োয় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে এসডিপিও-সহ পুলিশ শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। কুয়ো থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করার জন্য এসডিআরএফ দলকেও ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। পরে সাগরের পুলিশ সুপারও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কীভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। যাদের দেহ পাওয়া গিয়েছে তারা প্রত্যেকেই একই পরিবারের বলেও জানিয়েছে পুলিশ ৷
দেউড়ি এসডিপিও শশিকান্ত সারিয়াম জানিয়েছেন, শনিবার সকালে থানায় খবর আসে জৈতপুর কোপড়া গ্রামের একটি কুয়োয় চার মহিলার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে কুয়ো থেকে দুই মহিলার দেহ ঝুলছে এবং এক মহিলা ও এক কিশোরী কুয়োয় মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ঝুলন্ত দুই মহিলার নাম ভারতী লোধি এবং আরতি লোধি। কুয়োয় পড়ে থাকা মহিলার নাম ভগবতী লোধি এবং মেয়েটির নাম রোমিকা লোধি। ভগবতী লোধি ওই কিশোরীর দিদিমা বলেও জানা গিয়েছে। যদিও এখনও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে পারেনি পুলিশ ৷ এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এসডিআরএফ দলকে ডেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুলিশ ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঝগড়া হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৷ সেই থেকেই কি এই পরিণতি তা নিয়ে অবশ্য ধন্ধে পুলিশ ৷ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত বছর একই পরিবারের সোনু লোধির স্ত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এই মামলায় মৃত ভারতী ও আরতি লোধির স্বামী বর্তমানে জেলে রয়েছে। অন্যদিকে, এক বছর আগে আত্মহত্যাকারী পুত্রবধূর পরিবারের সদস্যরা এসব লোকজনকে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করত ৷ যা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায়ও ঝগড়া হয়েছিল। বর্তমানে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেউড়িতে পাঠিয়েছে।