ললিতপুর, 9 জুন: মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য ৷ প্রতি মুহূর্তে তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ এবার ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনায় 3 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ ধৃতরা প্রত্যেকেই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা ৷ এর আগে রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকেও ৷ তারও আগে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
শিলংয়ের মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ইন্দোরের নবদম্পতি ৷ কিছুদিন পর রাজার দেহ উদ্ধার হয় ৷ কিন্তু, নিখোঁজ ছিলেন স্ত্রী সোনম ৷ তাঁকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ৷ ঘটনার 15 দিন পর অবশেষে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সোনম রঘুবংশীকে ৷ তার আগে উত্তরপ্রদেশেরই ললিতপুর থেকে আকাশ রাজপুত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে, ইন্দোর থেকে রাজ কুশওয়াহা-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ সবমিলিয়ে এই ঘটনায় 4 জনকে গ্রেফতার করা হল ৷

"ধৃতরা সকলেই এক পরিবারের"
সাম্প্রতিক গ্রেফতারি সম্পর্কে ললিতপুরের পুলিশ সুপার মহম্মদ মুস্তাক জানান, রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় আকাশ রাজপুত-সহ 3 জনকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ তাঁদের মধ্য়ে ইন্দোরের রাজ কুশওয়াহাও রয়েছেন ৷ শিলং পুলিশের দাবি, ধৃতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য ৷ প্রত্যেকেই ইন্দোরের বাসিন্দা ৷ কার নির্দেশে তাঁরা খুনটি করেছেন এবং কেন রাজা রঘুবংশীকে খুন করা হয়েছে ? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে বলে জানান ললিতপুরের পুলিশ সুপার ৷
কীভাবে সোনামের সন্ধান ?
মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়ম জানান, রাজ কুশওয়াহা সোনমের প্রেমিক। তাঁকে গ্রেফতারের পরই সোনমকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ । মধুচন্দ্রিমায় ঠিক কী হয়েছিল, তা খুব শীঘ্রই জানা যাবে ৷ এদিকে, দাদার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ কুশওয়াহার নাম সামনে আসতেই ভাই বিপুল রঘুবংশীর দাবি, তাঁর দাদার মৃত্যুতে সোনমের যোগ রয়েছে ৷ তাঁর আরও দাবি, "সোনমের বাবা দেবী সিং রঘুবংশীর ফ্য়াক্টরিতে চাকরি করতেন ধৃত রাজ কুশওয়াহা ৷ এইচআর ম্যানেজার ছিলেন তিনি ৷ একই দফতরে কাজ করতেন সোনমও ৷ এমনকী, তাঁরা দু'জনেই ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতেন ৷" বিপুল বলেন, "মেঘালয় সরকার মিথ্যে বলছে না ৷ আমি কখনও রাজ কুশওয়াহাকে সামনে দেখিনি ৷ তবে, তাঁর নাম শুনেছি ৷ এই ঘটনায় সোনম যুক্ত থাকতে পারেন ৷ দাদারা অসমের মা কামাক্ষ্য়ার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল ৷ সেখান থেকে শিলংয়ে ঘুরতে যায় ৷"

সোনাম-রাজের সম্পর্ক এবং অজানা ইতিহাস
জানা গিয়েছে, সোনমের বাবার অভ্রর কারখানা রয়েছে ৷ সেই কারখানায় রাজ কুশওয়াহা কাজ করতেন ৷ কারখানার এইচআর দফতরে কাজ করতেন সোনমও ৷ বিয়ের আগে সোনমের সঙ্গে রাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ এই আবহে অনুমান, স্বামী রাজা রঘুবংশীকে ভাড়াটে গুণ্ডা দিয়ে খুন করিয়েছেন সোনম ৷ অন্যদিকে সোনমের বাবার দাবি, ঘটনার দু'দিন আগে পর্যন্ত কারখানায় কাজে এসেছিলেন রাজ ৷ পাশাপাশি মেয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন ৷