ETV Bharat / bharat

রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনায় রাজ কুশওয়াহার ভূমিকা কী ? শিলং হত্যাকাণ্ডে তদন্তে মিলল নয়া তথ্য - MEGHALAYA MURDER CASE

সোনম রঘুবংশীর বাবা দেবী সিং রঘুবংশীর ফ্য়াক্টরিতে চাকরি করতেন ধৃত রাজ কুশওয়াহা ৷ এইচআর ম্যানেজার ছিলেন তিনি ৷ একই দফতরে কাজ করতেন সোনমও ৷

MEGHALAYA MURDER CASE
গাজিপুর থেকে গ্রেফতার সোনম (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 9, 2025 at 5:36 PM IST

3 Min Read

ললিতপুর, 9 জুন: মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য ৷ প্রতি মুহূর্তে তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ এবার ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনায় 3 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ ধৃতরা প্রত্যেকেই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা ৷ এর আগে রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকেও ৷ তারও আগে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

শিলংয়ের মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ইন্দোরের নবদম্পতি ৷ কিছুদিন পর রাজার দেহ উদ্ধার হয় ৷ কিন্তু, নিখোঁজ ছিলেন স্ত্রী সোনম ৷ তাঁকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ৷ ঘটনার 15 দিন পর অবশেষে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সোনম রঘুবংশীকে ৷ তার আগে উত্তরপ্রদেশেরই ললিতপুর থেকে আকাশ রাজপুত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে, ইন্দোর থেকে রাজ কুশওয়াহা-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ সবমিলিয়ে এই ঘটনায় 4 জনকে গ্রেফতার করা হল ৷

MEGHALAYA MURDER CASE
ধৃত রাজ কুশওয়াহা (ইটিভি ভারত)


"ধৃতরা সকলেই এক পরিবারের"

সাম্প্রতিক গ্রেফতারি সম্পর্কে ললিতপুরের পুলিশ সুপার মহম্মদ মুস্তাক জানান, রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় আকাশ রাজপুত-সহ 3 জনকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ তাঁদের মধ্য়ে ইন্দোরের রাজ কুশওয়াহাও রয়েছেন ৷ শিলং পুলিশের দাবি, ধৃতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য ৷ প্রত্যেকেই ইন্দোরের বাসিন্দা ৷ কার নির্দেশে তাঁরা খুনটি করেছেন এবং কেন রাজা রঘুবংশীকে খুন করা হয়েছে ? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে বলে জানান ললিতপুরের পুলিশ সুপার ৷

কীভাবে সোনামের সন্ধান ?

মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়ম জানান, রাজ কুশওয়াহা সোনমের প্রেমিক। তাঁকে গ্রেফতারের পরই সোনমকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ । মধুচন্দ্রিমায় ঠিক কী হয়েছিল, তা খুব শীঘ্রই জানা যাবে ৷ এদিকে, দাদার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ কুশওয়াহার নাম সামনে আসতেই ভাই বিপুল রঘুবংশীর দাবি, তাঁর দাদার মৃত্যুতে সোনমের যোগ রয়েছে ৷ তাঁর আরও দাবি, "সোনমের বাবা দেবী সিং রঘুবংশীর ফ্য়াক্টরিতে চাকরি করতেন ধৃত রাজ কুশওয়াহা ৷ এইচআর ম্যানেজার ছিলেন তিনি ৷ একই দফতরে কাজ করতেন সোনমও ৷ এমনকী, তাঁরা দু'জনেই ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতেন ৷" বিপুল বলেন, "মেঘালয় সরকার মিথ্যে বলছে না ৷ আমি কখনও রাজ কুশওয়াহাকে সামনে দেখিনি ৷ তবে, তাঁর নাম শুনেছি ৷ এই ঘটনায় সোনম যুক্ত থাকতে পারেন ৷ দাদারা অসমের মা কামাক্ষ্য়ার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল ৷ সেখান থেকে শিলংয়ে ঘুরতে যায় ৷"

MEGHALAYA MURDER CASE
সোনম এবং রাজা রঘুবংশী (ইটিভি ভারত)

সোনাম-রাজের সম্পর্ক এবং অজানা ইতিহাস

জানা গিয়েছে, সোনমের বাবার অভ্রর কারখানা রয়েছে ৷ সেই কারখানায় রাজ কুশওয়াহা কাজ করতেন ৷ কারখানার এইচআর দফতরে কাজ করতেন সোনমও ৷ বিয়ের আগে সোনমের সঙ্গে রাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ এই আবহে অনুমান, স্বামী রাজা রঘুবংশীকে ভাড়াটে গুণ্ডা দিয়ে খুন করিয়েছেন সোনম ৷ অন্যদিকে সোনমের বাবার দাবি, ঘটনার দু'দিন আগে পর্যন্ত কারখানায় কাজে এসেছিলেন রাজ ৷ পাশাপাশি মেয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন ৷

পড়ুন: 'চোখ-মুখে আতঙ্ক, আমি ঠিক চিনতে পেরেছি', সোনমকে দেখেই অবাক ধাবার মালিক

ললিতপুর, 9 জুন: মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য ৷ প্রতি মুহূর্তে তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ এবার ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনায় 3 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ ধৃতরা প্রত্যেকেই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা ৷ এর আগে রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকেও ৷ তারও আগে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

শিলংয়ের মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ইন্দোরের নবদম্পতি ৷ কিছুদিন পর রাজার দেহ উদ্ধার হয় ৷ কিন্তু, নিখোঁজ ছিলেন স্ত্রী সোনম ৷ তাঁকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ৷ ঘটনার 15 দিন পর অবশেষে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সোনম রঘুবংশীকে ৷ তার আগে উত্তরপ্রদেশেরই ললিতপুর থেকে আকাশ রাজপুত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে, ইন্দোর থেকে রাজ কুশওয়াহা-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ সবমিলিয়ে এই ঘটনায় 4 জনকে গ্রেফতার করা হল ৷

MEGHALAYA MURDER CASE
ধৃত রাজ কুশওয়াহা (ইটিভি ভারত)


"ধৃতরা সকলেই এক পরিবারের"

সাম্প্রতিক গ্রেফতারি সম্পর্কে ললিতপুরের পুলিশ সুপার মহম্মদ মুস্তাক জানান, রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় আকাশ রাজপুত-সহ 3 জনকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ ৷ তাঁদের মধ্য়ে ইন্দোরের রাজ কুশওয়াহাও রয়েছেন ৷ শিলং পুলিশের দাবি, ধৃতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য ৷ প্রত্যেকেই ইন্দোরের বাসিন্দা ৷ কার নির্দেশে তাঁরা খুনটি করেছেন এবং কেন রাজা রঘুবংশীকে খুন করা হয়েছে ? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে বলে জানান ললিতপুরের পুলিশ সুপার ৷

কীভাবে সোনামের সন্ধান ?

মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়ম জানান, রাজ কুশওয়াহা সোনমের প্রেমিক। তাঁকে গ্রেফতারের পরই সোনমকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ । মধুচন্দ্রিমায় ঠিক কী হয়েছিল, তা খুব শীঘ্রই জানা যাবে ৷ এদিকে, দাদার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ কুশওয়াহার নাম সামনে আসতেই ভাই বিপুল রঘুবংশীর দাবি, তাঁর দাদার মৃত্যুতে সোনমের যোগ রয়েছে ৷ তাঁর আরও দাবি, "সোনমের বাবা দেবী সিং রঘুবংশীর ফ্য়াক্টরিতে চাকরি করতেন ধৃত রাজ কুশওয়াহা ৷ এইচআর ম্যানেজার ছিলেন তিনি ৷ একই দফতরে কাজ করতেন সোনমও ৷ এমনকী, তাঁরা দু'জনেই ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতেন ৷" বিপুল বলেন, "মেঘালয় সরকার মিথ্যে বলছে না ৷ আমি কখনও রাজ কুশওয়াহাকে সামনে দেখিনি ৷ তবে, তাঁর নাম শুনেছি ৷ এই ঘটনায় সোনম যুক্ত থাকতে পারেন ৷ দাদারা অসমের মা কামাক্ষ্য়ার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল ৷ সেখান থেকে শিলংয়ে ঘুরতে যায় ৷"

MEGHALAYA MURDER CASE
সোনম এবং রাজা রঘুবংশী (ইটিভি ভারত)

সোনাম-রাজের সম্পর্ক এবং অজানা ইতিহাস

জানা গিয়েছে, সোনমের বাবার অভ্রর কারখানা রয়েছে ৷ সেই কারখানায় রাজ কুশওয়াহা কাজ করতেন ৷ কারখানার এইচআর দফতরে কাজ করতেন সোনমও ৷ বিয়ের আগে সোনমের সঙ্গে রাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ এই আবহে অনুমান, স্বামী রাজা রঘুবংশীকে ভাড়াটে গুণ্ডা দিয়ে খুন করিয়েছেন সোনম ৷ অন্যদিকে সোনমের বাবার দাবি, ঘটনার দু'দিন আগে পর্যন্ত কারখানায় কাজে এসেছিলেন রাজ ৷ পাশাপাশি মেয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন ৷

পড়ুন: 'চোখ-মুখে আতঙ্ক, আমি ঠিক চিনতে পেরেছি', সোনমকে দেখেই অবাক ধাবার মালিক
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.