গাজিপুর, 9 জুন: অবশেষে 15 দিনের মাথায় সন্ধান মিলেছে শিলংয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ সোনম রঘুবংশীর ৷ পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে, স্বামী রাজা রঘুবংশীকে সে ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে খুন করিয়েছে ৷ সোমবার সোনমকে গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তারপর সামনে আসে মেঘালয় মধুচন্দ্রিমা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷
রবিবার রাত 1টা নাগাদ ধাবা মালিকের কাছে থেকে ফোন নিয়ে কথা বলতে চায় সোনম ৷ বিধ্বস্ত ও চোখ-মুখে আতঙ্কের ছাপ থাকা সোনমকে দেখে সন্দেহ ধাবা মালিকের ৷
কী জানা গেল ধাবার মালিকের থেকে ?
- জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে সোনমকে গাজিপুরের যে ধাবায় দেখা যায় তারই মালিক পুলিশকে ফোন করে ৷ তিনি জানান, নিখোঁজ থাকা সোনম তাঁর দোকানে এসেছে ৷ ধাবার মালিক সাহিল যাদবের কথায়, "গতকাল রাত 1টা নাগাদ সোনম এখানে আসে। ওকে খুব অস্থির দেখাচ্ছিল ৷ কাঁদছিলও মাঝে মাঝে ৷ আমার কাছে এসে সোনম বলে মোবাইল দিতে ৷ পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাই । আমি দেখেই চিনতে পারি ও সোনম ইন্দোরের বাসিন্দা ৷ সোনম যে কেন এত ঘাবড়ে রয়েছে তা দেখে আমার সন্দহ হয় ৷ ওকে বসতে বলি ৷"

তিনি আরও বলেন, "কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে সোনমকে নিয়ে যায়। আমি দিদির পরিবারের নম্বর সেভ করে রেখেছি। আমার আশঙ্কাই সত্যি হয় ৷ ওই মহিলা শিলংয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সোনমই ৷ পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু কোথায় নিয়ে গিয়েছে তা আমার জানা নেই ৷"
এখনও যে প্রশ্নগুলির উত্তর অজানা :
- যখন সোনমকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তার চুল এলোমেলো ছিল এবং ময়লা কালো রঙের জামাকাপড় পরে ছিল। তার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল সে বিধ্বস্ত ৷ এখন প্রশ্ন উঠছে, যে 25 মে থেকে নিখোঁজ সোনম তার স্বামী রাজার মৃত্যুর পর কোথায় ছিল ? এতদিন তিনি কী করেছিলেন ? শিলং থেকে গাজিপুরেই বা কীভাবে পৌঁছল ? কেউ কি তাকে এখানে নিয়ে এসেছিল ? স্বামীর খুনে যে অভিযুক্তদের নাম সোনমের সঙ্গে জড়িয়েছে তাদের সঙ্গে কী অন্য কোনও যোগসূত্র রয়েছে তার ? সোনমের সঙ্গে কি খারাপ কিছু ঘটেছে ? এই প্রশ্নগুলির উত্তর এখনও অধরা ৷

- বর্তমানে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই মামলায় তদন্তভারে নেই। ইউপি পুলিশ জানিয়েছে, মেঘালয় পুলিশ এই রহস্য সমাধানে নিযুক্ত ৷ সোনমকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। শিলং পুলিশ ললিতপুর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। তারা সকলেই ইন্দোরের বাসিন্দা ও একই পরিবারের ৷ মেঘালয় পুলিশ সোনমকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এবং এই পুরো রহস্যের কিনারা করবে ৷
উল্লেখ্য, দিনপাঁচেক আগে মেখালয়ের ওয়েই সোডং জলপ্রপাতের কাছের গভীর খাদে রাজা রঘুবংশীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় ৷ 20 তারিখ রাজা ও সোনম ইন্দোর থেকে হামিনুনের উদ্দেশে শিলংয়ে রওনা দেন ৷ তিনি ও তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী গত 25 মে থেকে নিখোঁজ ছিল ৷ আর গতকাল গাজিপুরে সোনমকে দেখতে পাওয়া যায় ৷