মেরঠ, 25 মার্চ: সৌরভ-হত্যা মামলায় নয়া মোড় ৷ স্ত্রী মুসকানের পর তার প্রেমিক সাহিল শুক্লাও জেল সুপারের কাছে একজন সরকারি আইনজীবী চেয়ে আবেদন করেছে। এর আগে, মুসকানও একজন সরকারি আইনজীবীর দাবিও করেছিল। এখনও পর্যন্ত দু’জনের পরিবারের কেউই তাদের সঙ্গে দেখা করতে জেলে যাননি । মুসকানের পরিবার তার পক্ষে মামলা লড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল । সাহিলের পরিবারের সদস্যরাও একই পথে হেঁটেছেন । তাঁরা সাহিলের সঙ্গে দেখা করবেন না এবং তার পক্ষে আবেদনও করবেন না বলে জানিয়েছেন।
জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা বলেন, ‘‘উভয় অভিযুক্তের আবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে । প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পর তারা উভয়ই সরকারি আইনজীবী পাবে । দু’জনেরই অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে । আপাতত দু’জনকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ।’’

মুসকানের বাবা প্রমোদ রাস্তোগি বলেন, ‘‘সৌরভ যদি 2022 সালে মুসকানকে ডিভোর্স দিত, তাহলে আজ আমাদের এই সব দেখতে হত না । সাহিল মুসকানকে মাদকাসক্ত করে তুলেছিল । সাহিলই সবচেয়ে বড় অপরাধী ।’’ মা কবিতা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে মুসকান সৌরভের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে । তাকে ফাঁসি দেওয়া উচিত। আমাদের জামাইয়ের ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত ।’’
মুসকান একবারের জন্যও মেয়ের কথা বলেনি: জেল সুপারিনটেনডেন্ট জানিয়েছেন, মুসকান-সাহিল দু’জনেই জেল থেকে বেরিয়ে আসতে চায় ।পরিবারের কথা তাদের বিশেষ মনে নেই । মুসকান তার মেয়ের কথাও মনে রাখেনি । সে কেমন আছে তা জানতে চায়নি।
মুসকান সেলাইয়ের কাজ করবে অথবা ফুটবল তৈরি করবে: মহিলাদের জেলে ফুটবল সেলাই এবং সেলাইয়ের অন্য কাজ শেখানো হয় । মুসকানের কাছে জানতে চাওয়া হবে, সে কী করতে চায় । এরপর তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ।
মুসকানের গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা হবে: জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা বলেন, ‘‘জেলের নিয়ম অনুসারে, মহিলা বন্দির অবস্থা দেখে ডাক্তাররা নিজেরাই গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে বলেন । এরপর জেলা হাসপাতালে তার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা হয় । ডাক্তাররা এখনও এই পরীক্ষার সুপারিশ করেননি ।’’