লখনউ, 24 এপ্রিল: আবারও সংসদের নিম্নকক্ষে ফিরতে চান অখিলেশ যাদব। আর তাই নিজের চেনা কনৌজ আসন থেকেই লড়তে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। 2000 সালে এখান থেকেই সংসদীয় যাত্রা শুরু হয়েছিল মুলায়ম-তনয়ের। আরও একবার কনৌজ থেকে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে দিল সমাজবাদী পার্টি। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘোষণার আগেই দলীয় সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন উত্তরপ্রদেশে আগের থেকে কম আসন পেতে চলেছে বিজেপি।
অতীতে একাধিকবার এই কনৌজ কেন্দ্র থেকে জিতেছেন অখিলেশ। 2012 সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া পর নিজের ছেড়ে আসা আসনে স্ত্রী ডিম্পলকে দাঁড় করেন। উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন ডিম্পল। 2014 সালে গোটা উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির ভরাডুবি হলেও এই আসনে জয় আসে। কিন্তু 2019 সালে সাইকেলকে হারিয়ে দেয় পদ্ম। স্ত্রী না পারলেও অখিলেশ সংসদে যান, আজমগড় আসন থেকে। তিন বছর বাদে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন অখিলেশ। তবে এবার আরও একবার সংসদীয় নির্বাচনের ময়াদনে দেখা যাবে তাঁকে।
দেশের যে সমস্ত রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট ভালোভাবে দানা বেঁধেছে তার মধ্যে আছে উত্তরপ্রদেশ। 80টি আসনের মধ্যে 62টি পেয়েছে সপা । কংগ্রেসের হাতে 17টি আসন। অন্য এক জোট শরিক লড়ছে বাকি আসনটি থেকে। কনৌজ সমাজবাদীদের গড় বলেই জাতীয় রাজনীতিতে চিহ্নিত হয়ে এসেছে একটা বড় সময় ধরে। মুলয়াম নিজেও এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন অতীতে। এবার সেখান থেকে তেজপ্রতাপ যাদবের নাম ঘোষিত হয় । তবে তিনদিনের মধ্যেই প্রার্থী বদলে গেল । দলের প্রধান অখিলেশের উপরেই আস্থা রাখল সাইকেল শিবির।
আসন সংখ্যার নিরিখে উত্তরপ্রদেশ চিরকাল দিল্লির রাস্তা দেখিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে। 2014 এবং 2019 সালে বিজেপির জয়ে উত্তরপ্রদেশ বড় ভূমিকা পালন করেছিল। গুরুত্ব বুঝে অধুনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে 2014 সালে উত্তরপ্রদেশের ভোটের দায়িত্ব দেয় বিজেপি। দারুণ ফল করে বিজেপি। 2019 সালেও বিরোধীদের কার্যত মাথা তুলতে দেয়নি গেরুয়া শিবির। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে চায় বিরোধীরা। এদিকে, অখিলেশের নাম ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বড় দাবি করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সভা থেকে তাঁর দাবি, এবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপির আসন কমবে। তার পরপরই অখিলেশের নাম ঘোষণা হয়ে গেল ।
আরও পড়ুন: