নয়াদিল্লি, 30 এপ্রিল: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জাতিভিত্তিক জনগণনার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ৷ একই সঙ্গে তিনি সাফ জানালেন, সরকার যেন পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয় কবে এই জাতিভিত্তিক জনগণনা হবে ৷
এই প্রসঙ্গে তিনি তেলেঙ্গানায় জাতিভিত্তিক জনগণনার কথা উল্লেখ করেন ৷ পাশাপাশি সাংবাদিকদের কাছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি স্পষ্ট করেন, পহেলগাঁওয়ে যা হয়েছে, তার জবাব প্রধানমন্ত্রীকেই দিতে হবে ৷ তাছাড়া এই হামলায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের শহিদের মর্যাদা দেওয়ারও দাবি জানান, রাজীব-তনয় ৷
आज मैं कानपुर में एक पीड़ित परिवार से मिला। उन्होंने मुझसे कहा कि आप अपने माध्यम से नरेंद्र मोदी जी को एक संदेश पहुंचा दीजिए।
— Congress (@INCIndia) April 30, 2025
लेकिन मैं उन सभी 28 परिवारों की ओर से प्रधानमंत्री जी से कहना चाहता हूं-
प्रधानमंत्री जी, हमारे बच्चे शहीद हुए हैं। हम चाहते हैं कि आप उन्हें शहीद का… https://t.co/PgNdUf9Wls
জাতিভিত্তিক জনগণনা
সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে রাহুল বলেন, "আমরা সংসদে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি তুলে আসছি ৷ নরেন্দ্র মোদি বলতেন, শুধু চারটি জাত রয়েছে ৷ হঠাৎ (ক্ষমতায় আসার) এগারো বছর বাদে জাতিভিত্তিক জনগণনার ঘোষণা করলেন ৷ কী হল জানি না ! তবে আমরা এই জাতিভিত্তিক জনগণনার সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি ৷ কিন্তু আমরা টাইমলাইন চাই ৷ আমরা জানতে চাই, এটা কবে হবে ?"
এই প্রসঙ্গে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস সরকার যে সমীক্ষা চালিয়েছে সেই বিষয়টিও উত্থাপন করেন রায়বরেলির সাংসদ ৷ তিনি বলেন, "জাতিভিত্তিক জনগণনার একটি মডেল হতে পারে তেলেঙ্গানা ৷ এই গণনা কীভাবে করা যেতে পারে তার ব্লু-প্রিন্টও মিলতে পারে ওখান থেকেই ৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তাব দিচ্ছি, জাতিভিত্তিক জনগণনার ডিজাইন আমরাই করে দিতে পারি ৷ কারণ, এই ডিজাইনটা খুব জরুরি ৷ বিহার ও তেলেঙ্গানা- দু'টি রাজ্যের ডিজাইনের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য ৷"
রাহুলের বক্তব্য, "শুধু সংরক্ষণ নয়, আমাদের প্রধান প্রশ্ন, দেশে দলিত ও ওবিসিদের কতটা ভাগ রয়েছে সেটা জানা ৷ জাতিভিত্তিক জনগণনায় সেটা একপ্রকারে জানা যাবে ৷ কিন্তু এই গণনাকে ছাপিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ৷ আমরা সংবিধানের 15 (5) নম্বর ধারার কথাও বলেছিলাম ৷ যেখানে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এটা আইন ৷ আমরা চাই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই আইনটি অবিলম্বে কার্যকর করা শুরু করুক ৷"
কংগ্রেস সাংসদ জানান, ইতিমধ্যে জনগণনার সময় পেরিয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে দল ৷ রাহুল জোর দিয়ে বলেন, "এই গণনা কবে হবে, আমরা সেই সময় জানতে চাই ৷ বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ নেই ৷ তাই বাজেটে এর জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট করতে হবে ৷ আমরা আমলাদের গণনা চাই না, মানুষের জনগণনা চাই ৷"
বুধবার সকাল থেকে মন্ত্রিসভার একাধিক কমিটির বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে ৷ এরপর বিকেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই জাতিভিত্তিক জনগণনা অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করেন ৷ দেশবাসী যখন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবের আশা করছে, ঠিক সেই সময় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক রাহুলকে প্রশ্ন করেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার কি পহেলগাঁওয়ের ঘটনা থেকে মানুষের মন ঘুরিয়ে দিতে এই ঘোষণা করল ? এর উত্তরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পরিষ্কার করে বলেন, "জল্পনা করা আমার কাজ নয় ৷ আমি তথ্য নিয়ে কাজ করি ৷ প্রধানমন্ত্রী কেন এই সময় এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জানতে আমি আগ্রহী নই ৷"
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা
এদিন রাহুল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে গিয়ে পহেলগাঁওয়ে নিহত শুভম দ্বিবেদীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ৷ পরে দিল্লির সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "আজ কানপুরে গিয়েছিলাম ৷ ওখানে এক মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম ৷ ঠান্ডা মাথায় তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে ৷ এভাবে আরও অনেককে মেরেছে ৷ যারা এই কাজ করেছে, তারা যে-ই হোক, যেখানেই থাকুক, তাদের এর দাম দিতে হবে ৷ যথোপযুক্ত দাম দিতে হবে ৷ তাদের যেন মনে থাকে, ভারতের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা যায় না ৷ আমরা সরকারের সঙ্গে সর্বদল বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে একটা লাইন বলেছি, যা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয় ৷ সব বিরোধীরাই জঙ্গি দমনের বিষয় সরকারকে 100 শতাংশ সমর্থন করছে এবং আগামিদিনেও করবে ৷"
পহেলগাঁও ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা-সহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ করেছে বিজেপি সরকার ৷ তারপরও সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা ৷ এই পরিস্থিতিতে রাহুলের স্পষ্ট বার্তা, "নরেন্দ্র মোদিকে অ্যাকশন নিতে হবে ৷ সব বিরোধীরা তাঁর সঙ্গে রয়েছে ৷ যারা এই কাজ করেছে, তাদের দাম দিতে হবে ৷"