ETV Bharat / bharat

বাবা-মা নয়, 'পেরেন্টস' নামে পরিচিত হবেন রূপান্তরকামী জিয়া-শাহাদ, ঐতিহাসিক রায় আদালতের - KERALA TRANSGENDER COUPLE

অন্য রূপান্তরকামী দম্পতির থেকে তাঁদের জীবনটা একটু আলাদা ৷ তাঁরা সন্তানের জন্মদাত্রী মা ও বাবা ৷ এদিকে রূপান্তরকামী ৷

Ziya and Shahad Kerala Transgender Couple
ঐতিহাসি (বাঁদিক থেকে) শাহাদ ও জিয়া (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 3, 2025 at 2:28 PM IST

3 Min Read

এরনাকুলাম, 3 জুন: তাঁরা সন্তানের বাবা কিংবা মা নন ৷ সরকারের খাতায় সন্তানের জন্মের শংসাপত্রে জিয়া-শাহাদের নাম থাকবে 'পেরেন্টস' হিসেবে ৷ সোমবার এই রূপান্তরকামী দম্পতির সন্তানের জন্মের শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় এমনই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট ৷ শিশুর ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেদের পরিচয় 'পেরেন্টস' হিসেবে রাখতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন জিয়া-শাহাদ ৷

হাইকোর্টের বিচারপতি জিয়াদ রহমানের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় ৷ বিচারপতি রূপান্তরকামী দম্পতির পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দেন ৷ তাই সরকারিভাবে তাঁরা এখন সন্তানের 'পেরেন্টস' ৷ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শাহাদ ও জিয়া তাঁদের সন্তানের নাম রাখেন সাবিয়া শাহাদ ৷ নিজেদের মতো করে বাঁচার লড়াইয়ে একসময় ঘর ছেড়েছিলেন শাহাদ ও জিয়া ৷ শাহাদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ৷ আর জিয়া নৃত্যশিল্পী ৷

গোড়ার কথা

জিয়া-শাহাদ রূপান্তরকামী দম্পতি ৷ বিগত পাঁচ বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে থাকেন ৷ রূপান্তরকামী হওয়ার পথে একটি পর্যায়ে তাঁরা সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৷ দু'জনেরই হরমোন থেরাপি হয় ৷ কিন্তু তারপরও শাহাদ সন্তান ধারণের সক্ষম ছিলেন ৷ এমন সময়ে শাহাদ ও জিয়া সন্তান ধারণের প্রস্তুতি নেন ৷

শাহাদ অন্তঃসত্ত্বা হন ৷ 2023 সালের 8 ফেব্রুয়ারি কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেন তিনি ৷ তাই তিনিই সন্তানের জন্মদাত্রী মা ৷ আর জিয়া সন্তানের জন্মদাতা বাবা ৷ এরপর দু'জনেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন সম্পূর্ণ করেছেন ৷ জিয়া এখন রূপান্তরকামী মহিলা ও শাহাদ রূপান্তরকামী পুরুষ ৷ সেদিক থেকে সন্তানের পরিচয় দিতে গেলে জিয়া তার মা এবং শাহাদ বাবা ৷

জন্মের শংসাপত্রে জটিলতা

এই পরিস্থিতিতে সন্তানের জন্মের শংসাপত্রে বাবা ও মায়ের জায়গায় কার নাম থাকবে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় ৷ কোঝিকোড় পুরনিগম দম্পতির সন্তানের জন্মের শংসাপত্রে 'মা' পরিচয়ে শাহাদের নাম এবং 'বাবা'র জায়গায় জিয়ার নাম উল্লেখ করে ৷ এতে আপত্তি করেন কেরলের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার দম্পতি ৷

তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন ৷ তাই শাহাদ বাবা আর জিয়া মা ৷ তাই এই শংসাপত্রে কোনও নির্দিষ্ট পরিচয়ের উল্লেখ করার দরকার নেই ৷ তার বদলে 'পেরেন্টস'-এর জায়গায় তাঁদের নাম লেখা থাকুক ৷ নতুবা পরবর্তীকালে সন্তানের আধার কার্ড-সহ অন্য সব আইনি প্রক্রিয়ায় জন্মপরিচয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে ৷

তাছাড়া বাবার শরীর থেকে সন্তানের জন্ম হয়েছে- ভবিষ্যতে এই ঘটনাতেও জটিলতা তৈরি হতে পারে ৷ কোঝিকোড় পুরনিগম জিয়া-শাহাদ দম্পতির আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ তারা জানায়, কেরল সরকারের 1999 সালের জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্তকরণ আইনের 12 নম্বর ধারা অনুযায়ী এই শংসাপত্র জারি করা হয়েছে ৷ আইন মেনে বাবার নামে জিয়া এবং মায়ের নাম শাহাদ হিসাবে উল্লেখ করা আছে ৷ এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা ৷

এরনাকুলাম, 3 জুন: তাঁরা সন্তানের বাবা কিংবা মা নন ৷ সরকারের খাতায় সন্তানের জন্মের শংসাপত্রে জিয়া-শাহাদের নাম থাকবে 'পেরেন্টস' হিসেবে ৷ সোমবার এই রূপান্তরকামী দম্পতির সন্তানের জন্মের শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় এমনই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট ৷ শিশুর ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেদের পরিচয় 'পেরেন্টস' হিসেবে রাখতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন জিয়া-শাহাদ ৷

হাইকোর্টের বিচারপতি জিয়াদ রহমানের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় ৷ বিচারপতি রূপান্তরকামী দম্পতির পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দেন ৷ তাই সরকারিভাবে তাঁরা এখন সন্তানের 'পেরেন্টস' ৷ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শাহাদ ও জিয়া তাঁদের সন্তানের নাম রাখেন সাবিয়া শাহাদ ৷ নিজেদের মতো করে বাঁচার লড়াইয়ে একসময় ঘর ছেড়েছিলেন শাহাদ ও জিয়া ৷ শাহাদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ৷ আর জিয়া নৃত্যশিল্পী ৷

গোড়ার কথা

জিয়া-শাহাদ রূপান্তরকামী দম্পতি ৷ বিগত পাঁচ বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে থাকেন ৷ রূপান্তরকামী হওয়ার পথে একটি পর্যায়ে তাঁরা সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৷ দু'জনেরই হরমোন থেরাপি হয় ৷ কিন্তু তারপরও শাহাদ সন্তান ধারণের সক্ষম ছিলেন ৷ এমন সময়ে শাহাদ ও জিয়া সন্তান ধারণের প্রস্তুতি নেন ৷

শাহাদ অন্তঃসত্ত্বা হন ৷ 2023 সালের 8 ফেব্রুয়ারি কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেন তিনি ৷ তাই তিনিই সন্তানের জন্মদাত্রী মা ৷ আর জিয়া সন্তানের জন্মদাতা বাবা ৷ এরপর দু'জনেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন সম্পূর্ণ করেছেন ৷ জিয়া এখন রূপান্তরকামী মহিলা ও শাহাদ রূপান্তরকামী পুরুষ ৷ সেদিক থেকে সন্তানের পরিচয় দিতে গেলে জিয়া তার মা এবং শাহাদ বাবা ৷

জন্মের শংসাপত্রে জটিলতা

এই পরিস্থিতিতে সন্তানের জন্মের শংসাপত্রে বাবা ও মায়ের জায়গায় কার নাম থাকবে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় ৷ কোঝিকোড় পুরনিগম দম্পতির সন্তানের জন্মের শংসাপত্রে 'মা' পরিচয়ে শাহাদের নাম এবং 'বাবা'র জায়গায় জিয়ার নাম উল্লেখ করে ৷ এতে আপত্তি করেন কেরলের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার দম্পতি ৷

তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন ৷ তাই শাহাদ বাবা আর জিয়া মা ৷ তাই এই শংসাপত্রে কোনও নির্দিষ্ট পরিচয়ের উল্লেখ করার দরকার নেই ৷ তার বদলে 'পেরেন্টস'-এর জায়গায় তাঁদের নাম লেখা থাকুক ৷ নতুবা পরবর্তীকালে সন্তানের আধার কার্ড-সহ অন্য সব আইনি প্রক্রিয়ায় জন্মপরিচয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে ৷

তাছাড়া বাবার শরীর থেকে সন্তানের জন্ম হয়েছে- ভবিষ্যতে এই ঘটনাতেও জটিলতা তৈরি হতে পারে ৷ কোঝিকোড় পুরনিগম জিয়া-শাহাদ দম্পতির আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ তারা জানায়, কেরল সরকারের 1999 সালের জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্তকরণ আইনের 12 নম্বর ধারা অনুযায়ী এই শংসাপত্র জারি করা হয়েছে ৷ আইন মেনে বাবার নামে জিয়া এবং মায়ের নাম শাহাদ হিসাবে উল্লেখ করা আছে ৷ এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.