নয়াদিল্লি, 6 জুন: ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান এবং কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ৷ মধ্য এশিয়ার এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ একই সঙ্গে পাঁচ দেশের বিদেশমন্ত্রীদের আলোচনায় সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিও উঠে এসেছে ৷
এক্স-এর পোস্টে, জয়শঙ্কর তাঁর বৈঠকের বিস্তৃত রূপরেখা বর্ণনা করেছেন। জয়শঙ্কর লিখেছেন, "তুর্কমেনিস্তানের বিদেশমন্ত্রী রশিদ মেরেদভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত । আমাদের সহযোগিতা, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ, স্বাস্থ্য এবং জ্বালানি খাতে আরও গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ এবং প্রকাশের প্রতি তিনি তীব্র করেছেন ৷ তাঁর এই নিন্দাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ৷"
জয়শঙ্কর হায়দরাবাদ হাউসের বৈঠকের কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন। বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত এই দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, বিস্তৃত এবং শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য মধ্য এশিয়া সংলাপের চতুর্থ সংস্করণ আয়োজন করতে চলেছে । কাজাখস্তান, কিরগিজ, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীরা শুক্রবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কনক্লেভে যোগ দিচ্ছেন।
অন্য একটি পোস্টে জয়শঙ্কর বলেন, "তাজিকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী সিরোজিদ্দিন মুহরিদ্দিনের সঙ্গে একটি সুষ্ঠু বৈঠক হয়েছে ৷ আমাদের অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত ৷ গভীর বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সংযোগ সম্পর্ক-সহ আমাদের সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মতামত ভাগ করে নেওয়া হয়েছে ।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, "কাজাখস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী মুরাত নুর্তলুর সঙ্গে বৈঠক হয় ৷ সন্ত্রাসবাদের প্রতি তাঁর জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা করছি। রাজনৈতিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জ্বালানি সহযোগিতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মধ্য এশিয়া অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সম্প্রসারণের বিষয়েও কথা হয়েছে ৷"
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের বিদেশমন্ত্রী ঝিনবেক কুলুবায়েভের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় তাদের সমর্থন এবং সংহতির জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। ব্যাঙ্কিং, শিক্ষা, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংযোগ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । আজকের সহযোগিতা কর্মসূচিতে স্বাক্ষর আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার ক্ষেত্রে একটি পদক্ষেপ ৷"