ঝাঁসি, 27 এপ্রিল: অপারেশনের সময় রোগীর পেটে তোয়ালে বা যন্ত্রপাতি ভুলে যাওয়ার খবর আগেও শোনা গিয়েছে ৷ এবার অস্ত্রোপচারে গাফিলতির কারণে হাত নষ্ট হয়ে গেল রোগীর ৷ অভিযোগ, চিকিৎসক মাঝ পথে অস্ত্রোপচার থামিয়ে দোসা খেতে চলে যান ৷ প্রায় 2 ঘণ্টা পর ফিরে শেষ করেন বাকি অস্ত্রোপচারের কাজ ৷ এই অকারণ বিলম্ব আর গাফিলতির জেরেই সংক্রমণ ঘটে রোগীর হাতে ৷ গুরগাঁওয়ের মেদান্তায় তার আবার অস্ত্রোপচারের পর আপাতত সুস্থ আছেন ওই রোগী ৷
ঝাঁসির নওয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা ওই রোগী ৷ তাঁর বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ৷ গত বছরের শেষ দিকে তিনি ঘরে পড়ে গিয়েছিল । সেই সময়েই তাঁর বাঁ হাতে চোট লাগে। এক্স-রে রিপোর্টে জানা যায় কনুইয়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে । এরপরই পরিবারের সদস্যরা শহরের একটি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসকের পরামর্শে 22 ডিসেম্বর ঝাঁসির ওই হাসপাতালে ভরতি হন ৷ সেখানে এক অর্থোপেডিক সার্জন পরামর্শ দেন তাঁর হাতের অস্ত্রোপচার করাতে ৷
রোগীর অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই জানতে পারেন, যে চিকিৎসক তাঁকে দেখেছেন, চিকিৎসা করেছেন, তিনি অস্ত্রোপচার করবেন না, করবেন তাঁর ছেলে । তিনিও অর্থোপেডিক সার্জন ৷ রোগীর অভিযোগ, তাঁর হাত অসাড় করে অস্ত্রোপচার চলছিল ৷ তবে চোখ খোলা থাকায় তিনি সব কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন এবং বুঝতে পারছিলেন ৷ তিনি শুনতে পান অস্ত্রোপচারের মাঝে হঠাৎই কর্তব্যরত চিকিৎসক 'খিদে পেয়েছে' বলে মসলা দোসা খেতে চলে যান । প্রায় দু‘ঘণ্টা পর ফিরে এসে বাকি অস্ত্রোপচার শেষ করেন। নিয়ম মতো কয়েকদিন পর ছুটি হয়ে যায় তাঁর ৷ তবে অস্ত্রোপচারের বেশ কয়েরকমাস কেটে গেলও ওই রোগীর হাত ঠিক হয় না ৷ তাঁরপরই তিনি ফের ওই চিকিৎসকের কাছে যান ৷ তিনি সমস্যাটি দেখতে অস্বীকার করেন ৷ এমনকী তাঁর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ওই রোগীর ৷
সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নওয়াবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই রোগী। এসএসপির কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঝাঁসির সিএমওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে, তিনি তা নিতে অস্বীকার করা হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ রোগীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাবেন তিনি, যাতে তাঁর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা আর কারও সঙ্গেই না হয় ৷
আরও পড়ুন: